ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই

রকিবুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটির সুফল পাচ্ছেন না নদীর দুই পাড়ের দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এ অবস্থায় দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে চলাচল নির্বিঘ্ন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারের পাশেই আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে আসা একটি খাল রয়েছে ।
কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে চরদৌলতখান ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়। ‘অনূর্ধ্ব একশ মিটার ব্রিজ উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৬ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ওই খালের ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়,যা চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুটির তিনটি স্প্যানসহ মূল কাজ গত বছরই শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয় এতোদিন। সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় উভয় পাড়ের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা কাঠ দিয়ে মাচা তৈরি করে চলাচল করছে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুইদিন মিয়ারহাটে গ্রামীণ হাট বসে।হাটে এই সেতু দিয়ে মালামাল নিয়ে  আসতে খুবই কষ্ট হয় তাদের।এছাড়াও সেতুর অপর পাড়ের শিক্ষার্থীরা
মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার সেতুতে উঠতে কষ্ট হয় তাই অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে আসতে চায় না। আগে এই খালটি পাড় হওয়ার জন্য নৌকা ছিল। ব্রিজ হওয়ায় এখন নৌকা সরিয়ে ফেলায় কষ্ট করে সবাই ব্রিজের মাচা বেয়েই পার হচ্ছে।তাই
সেতুটির দুই পারে দ্রুত মাটি ভরাট করে মানুষ ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
সেতুর সংযোগ সড়ক কেন নির্মাণ হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালকিনি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, “আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই ব্রিজের দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।আশা করছি, চলতি মাসেই আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দিতে পারব।”
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই

আপডেট টাইম ০৮:১৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
রকিবুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটির সুফল পাচ্ছেন না নদীর দুই পাড়ের দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এ অবস্থায় দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে চলাচল নির্বিঘ্ন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারের পাশেই আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে আসা একটি খাল রয়েছে ।
কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে চরদৌলতখান ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়। ‘অনূর্ধ্ব একশ মিটার ব্রিজ উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৬ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ওই খালের ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়,যা চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুটির তিনটি স্প্যানসহ মূল কাজ গত বছরই শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয় এতোদিন। সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় উভয় পাড়ের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা কাঠ দিয়ে মাচা তৈরি করে চলাচল করছে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুইদিন মিয়ারহাটে গ্রামীণ হাট বসে।হাটে এই সেতু দিয়ে মালামাল নিয়ে  আসতে খুবই কষ্ট হয় তাদের।এছাড়াও সেতুর অপর পাড়ের শিক্ষার্থীরা
মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার সেতুতে উঠতে কষ্ট হয় তাই অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে আসতে চায় না। আগে এই খালটি পাড় হওয়ার জন্য নৌকা ছিল। ব্রিজ হওয়ায় এখন নৌকা সরিয়ে ফেলায় কষ্ট করে সবাই ব্রিজের মাচা বেয়েই পার হচ্ছে।তাই
সেতুটির দুই পারে দ্রুত মাটি ভরাট করে মানুষ ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
সেতুর সংযোগ সড়ক কেন নির্মাণ হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালকিনি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, “আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই ব্রিজের দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।আশা করছি, চলতি মাসেই আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দিতে পারব।”