ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা নারায়ণগঞ্জের বন্দর ষষ্ঠ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহন ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেএ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রামগঞ্জে ২টি কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

অবিরাম বর্ষনে দশমিনায় অর্ধশতাধিক বিদ্যালয় পানির নীচে

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ লঘূচাপের প্রভাব ও অবিরাম বর্ষনে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার অর্ধ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ২/৩ ফুট পানির নীচে ডুবে গেছে এতে বিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক চরম দূর্ভোগে পরেছেন। ১৪ টি বিদ্যালয় ভবনে পানি ঢুকে পরায় ক্লাস নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, সাগরে লঘূচাপের প্রভাবে দশমিনায় টানা তিন দিন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও তেতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর বোরহান ইউনিয়নের ১১টি এবং চর হাদীর ৩টি বিদ্যালয় ২/৩ ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ও বেঞ্চ,টেবিল চেয়ারের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছেন শিক্ষকরা। ওই বিদ্যালয়গুলোর সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় নৌকায় করে বিদ্যালয়ে আসছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আছে অর্ধ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। ১৩৩ নম্বর চরবোরহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, ২/৩ ফুট পানির নীচে ডুবে আছে চর বোরহান ও চর শাহজালালের ১১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনি বলেন, কলার ভেলা ও নৌকায় করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও বিদ্যালয়ের বেঞ্চ টেবিল ডুবে থাকায় ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না।
১২৮ নম্বর চরহাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিমন হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে থাকায় ক্লাস নেওয়া যায়নি।
২২ নম্বর মধ্যে গুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, তার বিদ্যালয়ে পানি জমে থাকায় হাটু পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, চরাঞ্চলের ১৪টি বিদ্যালয় দুই তিন ফুট পানির নীচে ডুবে আছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক বিদ্যালয়ের মাঠ নীচু থাকায় পানিতে ডুবে আছে। পানিতে বিদ্যালয়গুলোর কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা নির্ধান করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

অবিরাম বর্ষনে দশমিনায় অর্ধশতাধিক বিদ্যালয় পানির নীচে

আপডেট টাইম ০১:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ লঘূচাপের প্রভাব ও অবিরাম বর্ষনে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার অর্ধ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ২/৩ ফুট পানির নীচে ডুবে গেছে এতে বিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক চরম দূর্ভোগে পরেছেন। ১৪ টি বিদ্যালয় ভবনে পানি ঢুকে পরায় ক্লাস নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, সাগরে লঘূচাপের প্রভাবে দশমিনায় টানা তিন দিন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও তেতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর বোরহান ইউনিয়নের ১১টি এবং চর হাদীর ৩টি বিদ্যালয় ২/৩ ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ও বেঞ্চ,টেবিল চেয়ারের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছেন শিক্ষকরা। ওই বিদ্যালয়গুলোর সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় নৌকায় করে বিদ্যালয়ে আসছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আছে অর্ধ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। ১৩৩ নম্বর চরবোরহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, ২/৩ ফুট পানির নীচে ডুবে আছে চর বোরহান ও চর শাহজালালের ১১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনি বলেন, কলার ভেলা ও নৌকায় করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও বিদ্যালয়ের বেঞ্চ টেবিল ডুবে থাকায় ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না।
১২৮ নম্বর চরহাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিমন হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে থাকায় ক্লাস নেওয়া যায়নি।
২২ নম্বর মধ্যে গুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, তার বিদ্যালয়ে পানি জমে থাকায় হাটু পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, চরাঞ্চলের ১৪টি বিদ্যালয় দুই তিন ফুট পানির নীচে ডুবে আছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক বিদ্যালয়ের মাঠ নীচু থাকায় পানিতে ডুবে আছে। পানিতে বিদ্যালয়গুলোর কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা নির্ধান করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।