আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ লঘূচাপের প্রভাব ও অবিরাম বর্ষনে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার অর্ধ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ২/৩ ফুট পানির নীচে ডুবে গেছে এতে বিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক চরম দূর্ভোগে পরেছেন। ১৪ টি বিদ্যালয় ভবনে পানি ঢুকে পরায় ক্লাস নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, সাগরে লঘূচাপের প্রভাবে দশমিনায় টানা তিন দিন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও তেতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর বোরহান ইউনিয়নের ১১টি এবং চর হাদীর ৩টি বিদ্যালয় ২/৩ ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ও বেঞ্চ,টেবিল চেয়ারের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছেন শিক্ষকরা। ওই বিদ্যালয়গুলোর সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় নৌকায় করে বিদ্যালয়ে আসছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আছে অর্ধ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। ১৩৩ নম্বর চরবোরহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, ২/৩ ফুট পানির নীচে ডুবে আছে চর বোরহান ও চর শাহজালালের ১১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনি বলেন, কলার ভেলা ও নৌকায় করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও বিদ্যালয়ের বেঞ্চ টেবিল ডুবে থাকায় ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না।
১২৮ নম্বর চরহাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিমন হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে থাকায় ক্লাস নেওয়া যায়নি।
২২ নম্বর মধ্যে গুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, তার বিদ্যালয়ে পানি জমে থাকায় হাটু পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, চরাঞ্চলের ১৪টি বিদ্যালয় দুই তিন ফুট পানির নীচে ডুবে আছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক বিদ্যালয়ের মাঠ নীচু থাকায় পানিতে ডুবে আছে। পানিতে বিদ্যালয়গুলোর কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা নির্ধান করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।