ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “ “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ” দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইকবালসহ মোট ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাজধানীতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন ও এনবিআর ঘেরাও চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ “এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র আয়োজনে পেশেন্ট ফোরাম টাঙ্গাইলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্যের প্রচারণা বাকেরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। টাঙ্গাইলে তিন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

কানাই বলাই দিঘী -পটুয়াখালী।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ১নং কাছিপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কানাই-বলাই দিঘী(Kanai Bolai Dighi)। কানাই-বলাই দিঘীতে মানুষরা আসে তাদের মনবাসনা পূরণ, মানত ও নিজেকে পবিত্র করার জন্য এবং তা ঠিকঠাক ভাবেই পূরণ হয়। হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে আসে মনবাসনা পূরণের লক্ষ্যে, দিঘীর জলে দুধ, কলা দিতে ও স্নান করতে। বিশ্বাস, ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিয়ে হাজারও মানুষ শত বছর ধরে কানাই-বলাই দিঘীতে আসে মুক্তিলাভের আশায়। যুগযুগ ধরে চলে আসা বিশ্বাসের কানাই-বলাই দিঘীটি আজ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। দিঘীটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় দুইশ’ মিটার ও প্রস্থ ছিল একশ’ চল্লিশ মিটার যা বর্তমানে বিভিন্ন আগাছা, কচুরিপানা ও মাটিতে ভরে এক তৃতীয়াংশ হয়ে গেছে।
কথিত আছে, প্রায় শত বছর আগে কাছিপাড়া গ্রামের দিঘীর পাশে হিন্দু ধর্মবলম্বী কানাই-বলাই নামে দুই ভাই থাকতো। দুই ভাই প্রতিদিন ভোর রাতে উঠে পাশের সকল হিন্দু বাড়িতে নাম কীর্তন করতো, একদিন সকালবেলা দুই ভাই স্নান করছিল খেজুর গাছের ঘাট ভেবে দুটি বিশালাকার গজাল মাছের উপর বসে। শরীরে সাবান দেয়ার সময় মাছ দুটি জলের গভীরে চলে যায় দুই ভাইকে নিয়ে। এরপর আর কোনোদিন দুই ভাইয়ের দেখা মেলেনি। তারপর থেকেই এ দিঘীটি কানাই-বলাই দিঘী নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
এরপর ছড়াতে থাকে নানা মিথ। স্থানীয় এক মহিলা জানালেন, এখানে যারা ভালো মন নিয়ে আসে তাদের সকল ইচ্ছে পূরণ হয় দেখেছি, আর যারা কানাই-বলাই দিঘীকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে না বা কটূক্তি করে তাদের বিপদ হয়। তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় বিশ বছর আগে তৎকালীন কাছিপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে এসে কানাই-বলাই দিঘী তল্লাশি করার সময় এক ছাত্র জলের নিচে কি যেন দেখতে পায় এবং সেটা জলের নিচ থেকে কারও কাছে বলতে বারণ করে। তারপরেও সেই ছেলে তা সবাইকে বলে দেয়। পরে দিঘীর পাড়েই ছেলেটি অসুস্থ হয়। তার কিছুদিন পরেই সেই ছেলেটা মারা যায়।’ এরকম আরও একটা মিথ হলো- প্রায় ষোল বছর আগে কানাই-বলাই দিঘী সত্য না মিথ্যা এটা পরীক্ষা করার জন্য আসে উপজেলার মাধবপুরা গ্রামের এক মহিলা তিনিও জলের নিচে কি আছে সেটা দেখার জন্য ডুব দেয় দিঘীর জলে, সেই মহিলা ডুব দেয়ার চার দিন পরে তার লাশ ভেসে উঠে। এলাকার লোকজন বলেন, এই দিঘী থেকে ক্ষতি হয়েছে গুটি কয়েক লোকের কারণ তারা এটাকে অবিশ্বাস করতো বলে কিন্তু যুগ যুগ ধরে এর সুবিধা ভোগ করে আসছে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানষ আসে কানাই-বলাই দীঘিতে।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “

কানাই বলাই দিঘী -পটুয়াখালী।

আপডেট টাইম ১১:৫৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ১নং কাছিপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কানাই-বলাই দিঘী(Kanai Bolai Dighi)। কানাই-বলাই দিঘীতে মানুষরা আসে তাদের মনবাসনা পূরণ, মানত ও নিজেকে পবিত্র করার জন্য এবং তা ঠিকঠাক ভাবেই পূরণ হয়। হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে আসে মনবাসনা পূরণের লক্ষ্যে, দিঘীর জলে দুধ, কলা দিতে ও স্নান করতে। বিশ্বাস, ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিয়ে হাজারও মানুষ শত বছর ধরে কানাই-বলাই দিঘীতে আসে মুক্তিলাভের আশায়। যুগযুগ ধরে চলে আসা বিশ্বাসের কানাই-বলাই দিঘীটি আজ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। দিঘীটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় দুইশ’ মিটার ও প্রস্থ ছিল একশ’ চল্লিশ মিটার যা বর্তমানে বিভিন্ন আগাছা, কচুরিপানা ও মাটিতে ভরে এক তৃতীয়াংশ হয়ে গেছে।
কথিত আছে, প্রায় শত বছর আগে কাছিপাড়া গ্রামের দিঘীর পাশে হিন্দু ধর্মবলম্বী কানাই-বলাই নামে দুই ভাই থাকতো। দুই ভাই প্রতিদিন ভোর রাতে উঠে পাশের সকল হিন্দু বাড়িতে নাম কীর্তন করতো, একদিন সকালবেলা দুই ভাই স্নান করছিল খেজুর গাছের ঘাট ভেবে দুটি বিশালাকার গজাল মাছের উপর বসে। শরীরে সাবান দেয়ার সময় মাছ দুটি জলের গভীরে চলে যায় দুই ভাইকে নিয়ে। এরপর আর কোনোদিন দুই ভাইয়ের দেখা মেলেনি। তারপর থেকেই এ দিঘীটি কানাই-বলাই দিঘী নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
এরপর ছড়াতে থাকে নানা মিথ। স্থানীয় এক মহিলা জানালেন, এখানে যারা ভালো মন নিয়ে আসে তাদের সকল ইচ্ছে পূরণ হয় দেখেছি, আর যারা কানাই-বলাই দিঘীকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে না বা কটূক্তি করে তাদের বিপদ হয়। তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় বিশ বছর আগে তৎকালীন কাছিপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে এসে কানাই-বলাই দিঘী তল্লাশি করার সময় এক ছাত্র জলের নিচে কি যেন দেখতে পায় এবং সেটা জলের নিচ থেকে কারও কাছে বলতে বারণ করে। তারপরেও সেই ছেলে তা সবাইকে বলে দেয়। পরে দিঘীর পাড়েই ছেলেটি অসুস্থ হয়। তার কিছুদিন পরেই সেই ছেলেটা মারা যায়।’ এরকম আরও একটা মিথ হলো- প্রায় ষোল বছর আগে কানাই-বলাই দিঘী সত্য না মিথ্যা এটা পরীক্ষা করার জন্য আসে উপজেলার মাধবপুরা গ্রামের এক মহিলা তিনিও জলের নিচে কি আছে সেটা দেখার জন্য ডুব দেয় দিঘীর জলে, সেই মহিলা ডুব দেয়ার চার দিন পরে তার লাশ ভেসে উঠে। এলাকার লোকজন বলেন, এই দিঘী থেকে ক্ষতি হয়েছে গুটি কয়েক লোকের কারণ তারা এটাকে অবিশ্বাস করতো বলে কিন্তু যুগ যুগ ধরে এর সুবিধা ভোগ করে আসছে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানষ আসে কানাই-বলাই দীঘিতে।