ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “ “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ” দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইকবালসহ মোট ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাজধানীতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন ও এনবিআর ঘেরাও চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ “এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র আয়োজনে পেশেন্ট ফোরাম টাঙ্গাইলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্যের প্রচারণা বাকেরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। টাঙ্গাইলে তিন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

মতলব উত্তর থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ

মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক আলীর বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে হয়রানি করার অভিযোগ এনে বুলু বেগম নামে এক নারী চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৯ আগস্ট ওই নারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২০ সালে সফিকুল ইসলাম বালুচর গ্রামের নাজমা বেগম এর পুত্র জিয়াউল রফিক ও পাঁচআনী গ্রামের মোশাররফ মুক্তারের স্ত্রী নাদিয়া আক্তার থেকে স্থানীয় পালালোকদী মৌজার হাল ১৫৩৯ দাগে ৬ শতক জমি খরিদ করে। সফিকুল ইসলাম উক্ত ভূমিতে ৩ তলা বিল্ডিং নির্মাণাধীন। নাজমা বেগম নানান ছুতোয় সফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৭ টি মামলা করে কোন ফলাফল না পেয়ে সর্বশেষ সফিকুল ইসলাম ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তানদের জড়িত করে বিগত ১৬ ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর কোর্টে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এলাকায় কথিত আছে নাজমা বেগমের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল ও এসআই মোঃ মোবারক আলী বিবাদী সফিকুল ইসলাম ও তাঁর পুত্রদের বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা রিপোর্ট দেন। সফিকুল ইসলাম ও তার পুত্রদ্বয় আদালতের সমন নোটিশ পেয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় বিগত ০৩ আগস্ট জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত সফিকুল ইসলাম এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
সফিকুল ইসলাম কারাগারে থাকায় নাজমা বেগম স্থানীয় বালুচর গ্রামের মৃত আবুল কালাম সরকারের পুত্র শাহাদাত সরকার, মৃত মফিজুল ইসলাম সরকারের পুত্র মনির হোসেন সরকার, কলাকান্দা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীন এর পুত্র সফিকুল ইসলাম, বাড়ুরকান্দি গ্রামের সুজন সহ ২৫-৩০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীরা সফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে গত ০৫ আগস্ট সকাল ৯টার সময় হামলা চালায়। এতে সফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী ও পুত্রগণ সহ উক্ত বিল্ডিংয়ে ভাড়ায় চালিত মাদরাসা সুপার আহাম্মদ উল্লাহ, মাদ্রাসার এতিম ছাত্রসহ ভাড়াটিয়াগণ আহত হয়। নাজমা বেগম এর ভাড়া করা সন্ত্রসীরা মাদ্রাসায় থাকাতে  ধর্মীয় পুস্তক আছড়ে ফেলে এবং মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে সফিকুল ইসলামের স্ত্রী বুলু বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে ওসি শাহজাহান কামাল উক্ত অভিযোগ গ্রহন না করে উল্টো অভিযোগকারী বুলু বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে বুলু বেগম উপায়ান্ত না পেয়ে বিগত ০৮ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর আদালতে দরখাস্ত ৯১৩/২২, ফৌঃ কাঃ বি আইনের ১৪৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং বিগত ১০ আগস্ট সফিকুল ইসলাম জামিন পায়। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেন এসআই মনির হোসেন। বাদীর অভিযোগ আছে, সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ায় এসআই মনির হোসেনকে হাইমচর বদলী করে দিয়েছেন ওসি।
গত ২৪ আগস্ট দুপুরে ওসি শাহজাহান কামাল ও এসআই মোঃ মোবারক আলীর ইন্ধনে শাহাদাত সরকার, মনির হোসেন সরকার, মিল্টন সরকার, সুজন ও নাজমা বেগম আরো ৮/১০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বাদী বুলু বেগম ও তার স্বামী সফিকুল ইসলামকে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে কুপিয়ে আহত করে। বুলু বেগম ও সফিকুল ইসলাম চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় এবং মতলব আমলী আদালত, চাঁদপুর বিগত ২৫ আগস্ট মামলা দায়ের করিলে আদালত থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ওসি শাহজাহান কামাল বিভিন্ন তালবাহানা করে কিন্তু আদালতের আদেশ থাকায় মামলাটি এফআইআর করতে বাধ্য হয় এবং তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এসআই মো. মোবারক আলীর নিকট তদন্ত ভার দেন।
পরে বিগত ২৫ আগস্ট রাত ৯ টা থেকে ১১ টা ও বিগত ২৮ আগস্ট বিকাল ৩ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ওসি শাহজাহান কামাল ও এস আই মোঃ মোবারক আলী এফআইআর ভুক্ত আসামীদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করে বাদীপক্ষ বুলু বেগম এর বিপক্ষে আসামি নাজমা বেগম কে দিয়ে নিজে অভিযোগ লিখে মতলব উত্তর থানার মামলা নং ২৮/২৬৪ তারিখ ২৮ আগস্ট রাত ১১.০৫টা রুজু করেন। এবং অভিযোগের শুরুতেই বাদী উল্লেখ করেন থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ করেন। এলাকায় জনশ্রæতি আছে ওসি শাহজাহান কামাল নাজমা বেগম থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে বাদীপক্ষে বুলু বেগমের পরিবারকে হয়রানি করতেছে। বাদী বুলু বেগম বিজ্ঞ আদালতে গত ২৯ আগস্ট বাদীর করা জি আর ২৬০/২২ইং মামলায় দরখাস্ত দিয়ে ওসি শাহজাহান কামাল ও এস আই মো. মোবারক আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত আদেশ প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, যে কেউ মামলা করতে পারে। তদন্ত করে দোষী হলে ব্যবস্থা নিবে। ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে বলেন, এগুলো ভুয়া কথা।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “

মতলব উত্তর থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ

আপডেট টাইম ১০:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক আলীর বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে হয়রানি করার অভিযোগ এনে বুলু বেগম নামে এক নারী চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৯ আগস্ট ওই নারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২০ সালে সফিকুল ইসলাম বালুচর গ্রামের নাজমা বেগম এর পুত্র জিয়াউল রফিক ও পাঁচআনী গ্রামের মোশাররফ মুক্তারের স্ত্রী নাদিয়া আক্তার থেকে স্থানীয় পালালোকদী মৌজার হাল ১৫৩৯ দাগে ৬ শতক জমি খরিদ করে। সফিকুল ইসলাম উক্ত ভূমিতে ৩ তলা বিল্ডিং নির্মাণাধীন। নাজমা বেগম নানান ছুতোয় সফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৭ টি মামলা করে কোন ফলাফল না পেয়ে সর্বশেষ সফিকুল ইসলাম ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তানদের জড়িত করে বিগত ১৬ ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর কোর্টে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এলাকায় কথিত আছে নাজমা বেগমের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল ও এসআই মোঃ মোবারক আলী বিবাদী সফিকুল ইসলাম ও তাঁর পুত্রদের বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা রিপোর্ট দেন। সফিকুল ইসলাম ও তার পুত্রদ্বয় আদালতের সমন নোটিশ পেয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় বিগত ০৩ আগস্ট জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত সফিকুল ইসলাম এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
সফিকুল ইসলাম কারাগারে থাকায় নাজমা বেগম স্থানীয় বালুচর গ্রামের মৃত আবুল কালাম সরকারের পুত্র শাহাদাত সরকার, মৃত মফিজুল ইসলাম সরকারের পুত্র মনির হোসেন সরকার, কলাকান্দা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীন এর পুত্র সফিকুল ইসলাম, বাড়ুরকান্দি গ্রামের সুজন সহ ২৫-৩০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীরা সফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে গত ০৫ আগস্ট সকাল ৯টার সময় হামলা চালায়। এতে সফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী ও পুত্রগণ সহ উক্ত বিল্ডিংয়ে ভাড়ায় চালিত মাদরাসা সুপার আহাম্মদ উল্লাহ, মাদ্রাসার এতিম ছাত্রসহ ভাড়াটিয়াগণ আহত হয়। নাজমা বেগম এর ভাড়া করা সন্ত্রসীরা মাদ্রাসায় থাকাতে  ধর্মীয় পুস্তক আছড়ে ফেলে এবং মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে সফিকুল ইসলামের স্ত্রী বুলু বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে ওসি শাহজাহান কামাল উক্ত অভিযোগ গ্রহন না করে উল্টো অভিযোগকারী বুলু বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে বুলু বেগম উপায়ান্ত না পেয়ে বিগত ০৮ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর আদালতে দরখাস্ত ৯১৩/২২, ফৌঃ কাঃ বি আইনের ১৪৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং বিগত ১০ আগস্ট সফিকুল ইসলাম জামিন পায়। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেন এসআই মনির হোসেন। বাদীর অভিযোগ আছে, সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ায় এসআই মনির হোসেনকে হাইমচর বদলী করে দিয়েছেন ওসি।
গত ২৪ আগস্ট দুপুরে ওসি শাহজাহান কামাল ও এসআই মোঃ মোবারক আলীর ইন্ধনে শাহাদাত সরকার, মনির হোসেন সরকার, মিল্টন সরকার, সুজন ও নাজমা বেগম আরো ৮/১০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বাদী বুলু বেগম ও তার স্বামী সফিকুল ইসলামকে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে কুপিয়ে আহত করে। বুলু বেগম ও সফিকুল ইসলাম চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় এবং মতলব আমলী আদালত, চাঁদপুর বিগত ২৫ আগস্ট মামলা দায়ের করিলে আদালত থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ওসি শাহজাহান কামাল বিভিন্ন তালবাহানা করে কিন্তু আদালতের আদেশ থাকায় মামলাটি এফআইআর করতে বাধ্য হয় এবং তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এসআই মো. মোবারক আলীর নিকট তদন্ত ভার দেন।
পরে বিগত ২৫ আগস্ট রাত ৯ টা থেকে ১১ টা ও বিগত ২৮ আগস্ট বিকাল ৩ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ওসি শাহজাহান কামাল ও এস আই মোঃ মোবারক আলী এফআইআর ভুক্ত আসামীদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করে বাদীপক্ষ বুলু বেগম এর বিপক্ষে আসামি নাজমা বেগম কে দিয়ে নিজে অভিযোগ লিখে মতলব উত্তর থানার মামলা নং ২৮/২৬৪ তারিখ ২৮ আগস্ট রাত ১১.০৫টা রুজু করেন। এবং অভিযোগের শুরুতেই বাদী উল্লেখ করেন থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ করেন। এলাকায় জনশ্রæতি আছে ওসি শাহজাহান কামাল নাজমা বেগম থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে বাদীপক্ষে বুলু বেগমের পরিবারকে হয়রানি করতেছে। বাদী বুলু বেগম বিজ্ঞ আদালতে গত ২৯ আগস্ট বাদীর করা জি আর ২৬০/২২ইং মামলায় দরখাস্ত দিয়ে ওসি শাহজাহান কামাল ও এস আই মো. মোবারক আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত আদেশ প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, যে কেউ মামলা করতে পারে। তদন্ত করে দোষী হলে ব্যবস্থা নিবে। ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে বলেন, এগুলো ভুয়া কথা।