ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আইনের সেবক আর মানুষের কল্যাণে সর্বদা বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন।। ইন্দুরকানীতে বিশ^ তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪ উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচী –ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী ও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি এলাকা হতে ৯৩২০ পিস ইয়াবা ও ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ। কুমিল্লা,মুরাদনগরে মোবাইল কোর্টে দুই মাদক সেবীকে-১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। নারায়ণগঞ্জে ইউসিবির উদ্যোগে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যখাতের উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “ “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ” দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইকবালসহ মোট ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাজধানীতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন ও এনবিআর ঘেরাও

হবিগঞ্জে ছালেকার কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড

  • লিটন পাঠান
  • আপডেট টাইম ০৪:৫৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • ৬২৬ বার পড়া হয়েছে

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ভূমিহীন গৃহহীন বিধবা ছালেকার সংসার চলে ভিক্ষাবৃত্তিতে জোটেনি কোনো ভাতার কার্ড। উপজেলার সিংহগ্রামের মৃত মকবুল হোসেনে স্ত্রী ছালেকা খাতুন স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। স্থানীয় লোকজন ও বিধবা ছালেকা খাতুনের সাথে আলাপকালে জানা যায় ছালেকার স্বামী মকবুল হোসেনের নিজের বাড়িতে যৎসামান্য জমি-জমা চাষ ও স্বামীর আয়-রোজগারে কোনোমতে সংসার চলছিল তার রয়েছে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। যথাসময়ে ছেলে-মেয়েদের বিয়েও দেন বিয়ের পর ছেলেরা তাদের ছেড়ে চলে যায় যে যার মতো এদিকে বৃদ্ধ স্বামীর আয়-রোজগার না থাকায় শেষ বয়সে এসে জীবন নির্বাহ করতে ভিটেমাটিটুকু বিক্রি করতে হয়।

তারা হয়ে পড়েন ভূমিহীন এরই মধ্যে বছর দশেক পূর্বে স্বামী মকবুল হোসেন মারা যান এতে সালেকা পড়েন মহাবিপদে। নিরুপায় হয়ে আশ্রায় নেন একই গ্রামের তাউস মিয়ার বাড়িতে। বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব ছালেকা অন্যের বাড়িতে থেকে ভিক্ষা করে যা পান, তা দিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ছালেকা বলেন, আমি শুনেছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গরিব অসহায় ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছে। আমি সরকারের কাছে একটি ঘর চাই, যাতে মরার সময় অন্তত নিজের ঘরে মরতে পারি যেখানেই ঘর দেওয়া হোক না কেন আমি যেতে চাই মাথা গোঁজার ঠাই চাই।

এ পর্যন্ত কোনো প্রকার ভাতা বা সহায়তার কার্ড পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গরিব, আমাকে কে কার্ড দেবে? ভোট এলে অনেকে আশ্বাস দেয় পরে আর খোঁজ রাখে না কেউ। তাই এ নিয়ে আর ভাবি না যতদিন শরীর চলে এভাবেই চলতে চাই ছেলেরা খোঁজ নেয় কি না জানতে চাইলে ছালেকা বলেন তারা তো আমার মতোই বউ-বাচ্চা নিয়ে কোনোমতে চলছে কে কোথায় থাকে তাও জানি না বাড়ি-ঘর থাকলে হয়তো তারা আসতো। এ ব্যাপারে আলাপ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীন বলেন, নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া গেলে ছালেকা খাতুনকে একটি ঘর দেওয়ার চেষ্টা করব।
Attachments area

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

আইনের সেবক আর মানুষের কল্যাণে সর্বদা বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন।।

হবিগঞ্জে ছালেকার কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড

আপডেট টাইম ০৪:৫৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ভূমিহীন গৃহহীন বিধবা ছালেকার সংসার চলে ভিক্ষাবৃত্তিতে জোটেনি কোনো ভাতার কার্ড। উপজেলার সিংহগ্রামের মৃত মকবুল হোসেনে স্ত্রী ছালেকা খাতুন স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। স্থানীয় লোকজন ও বিধবা ছালেকা খাতুনের সাথে আলাপকালে জানা যায় ছালেকার স্বামী মকবুল হোসেনের নিজের বাড়িতে যৎসামান্য জমি-জমা চাষ ও স্বামীর আয়-রোজগারে কোনোমতে সংসার চলছিল তার রয়েছে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। যথাসময়ে ছেলে-মেয়েদের বিয়েও দেন বিয়ের পর ছেলেরা তাদের ছেড়ে চলে যায় যে যার মতো এদিকে বৃদ্ধ স্বামীর আয়-রোজগার না থাকায় শেষ বয়সে এসে জীবন নির্বাহ করতে ভিটেমাটিটুকু বিক্রি করতে হয়।

তারা হয়ে পড়েন ভূমিহীন এরই মধ্যে বছর দশেক পূর্বে স্বামী মকবুল হোসেন মারা যান এতে সালেকা পড়েন মহাবিপদে। নিরুপায় হয়ে আশ্রায় নেন একই গ্রামের তাউস মিয়ার বাড়িতে। বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব ছালেকা অন্যের বাড়িতে থেকে ভিক্ষা করে যা পান, তা দিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ছালেকা বলেন, আমি শুনেছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গরিব অসহায় ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছে। আমি সরকারের কাছে একটি ঘর চাই, যাতে মরার সময় অন্তত নিজের ঘরে মরতে পারি যেখানেই ঘর দেওয়া হোক না কেন আমি যেতে চাই মাথা গোঁজার ঠাই চাই।

এ পর্যন্ত কোনো প্রকার ভাতা বা সহায়তার কার্ড পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গরিব, আমাকে কে কার্ড দেবে? ভোট এলে অনেকে আশ্বাস দেয় পরে আর খোঁজ রাখে না কেউ। তাই এ নিয়ে আর ভাবি না যতদিন শরীর চলে এভাবেই চলতে চাই ছেলেরা খোঁজ নেয় কি না জানতে চাইলে ছালেকা বলেন তারা তো আমার মতোই বউ-বাচ্চা নিয়ে কোনোমতে চলছে কে কোথায় থাকে তাও জানি না বাড়ি-ঘর থাকলে হয়তো তারা আসতো। এ ব্যাপারে আলাপ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীন বলেন, নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া গেলে ছালেকা খাতুনকে একটি ঘর দেওয়ার চেষ্টা করব।
Attachments area