আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৬৫ দিন অলস সময় কাটিয়ে গত শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার পর মাছ শিকারের জন্য নেমে পড়েন কুয়াকাটা উপকূলের জেলেরা। প্রথম দিন থেকেই জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে।
জালভর্তি মাছ পাওয়ায় জেলেদের মুখে হাসি। এ যেন স্বপ্নের যাত্রা শেষে সোনার হরিণ পাওয়া। তড়িঘড়ি করে নদী ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করে প্রথম দিন থেকেই বাজার ধরেন জেলেরা। দীর্ঘদিন পর ষষ্ঠ দিনেও জালভর্তি মাছ নিয়ে মহিপুর ঘাটে এলে ট্রলার মালিক, অনেক আড়তদার ও জেলেদের মাঝে আনন্দ উল্লাস দেখা গেছে। ফিরে আসা জেলে আবদুল জলিল, আব্বাস মিয়া বলেন, এক খেও দিছি, যা পাইছি তড়িঘড়ি করে ভালো দাম পাওয়ার জন্য আজ ষষ্ঠ দিনে প্রথম বাজার ধরলাম।
দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, মৎস্য ঘাটে ২০ থেকে ২৫টি মাছ ধরা ট্রলার নোঙর করে আছে। ওই ট্রলার থেকে ঘাট শ্রমিকরা মাছ উঠাছেন অপরদিকে টল সেটে মাছ বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, প্রথম দিন থেকে প্রতি দিন অন্তত ২৫টি মাছ ধরা ট্রলার ঘাটে এসেছে ভালো মাছ পাওয়া গেছে। এতে ভালো দামও পাওয়া যাবে। মহিপুরের মার্কেটিং অফিসার বলেন, আজ ষষ্ঠ দিনেও মৎস্য বাজারে মোট ১১ হাজার ৮৬৯ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৭৮০ কেজি অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৮৯ কেজি। মোট মাছ বিক্রি হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার। এর মধ্যে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৮৪ হাজার ৪৬০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, এখন প্রতিদিনই যেমন ট্রলারের সংখ্যা বাড়বে, মাছের সংখ্যা বাড়বে, তেমনি রাজস্ব বাড়বে আশাবাদী।
###