স্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার কাচপুর খাসপাড়া এলাকায় অসহায় পরিবারের জায়গা জোড় করে দখলের চেষ্টা, দেশীয় অস্র নিয়ে হামলা, পিটিয়ে জখম, কলেজ ছাত্রী সহ নারীর শ্লীলতা হানি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লোটের অভিযোগ উঠেছে ।
৩ জুলাই শনিবার সকালে কাচপুর খাসপাড়া বিসিক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে
এ ঘটনায় জহিরুল ইসলামের ছেলে বাবু ইসলাম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৫ এ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৮৩/২০২২
মামলা সুত্রে জানাযায় ৩ জুলাই শনিবার সকালে আনোয়ার হোসেন (৪৮),মোসাঃ রুবিনা বেগম(৪২), আল আমিন(৩০), মোঃ মজিবর(৪৫),মাসুম(২৫),সহ ১২/১৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বেশ কয়েকজন হিজড়া সহ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্র নিয়ে জহিরুল ইসলামের বসত বাড়ীর পুকুর পাড় এসে জহিরুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সকলকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে এবং পুকুর পাড়ের বেড়া ভাংতে থাকে এ সময় বাবু ইসলাম ও তার মা নারগিস বেগম বোন রত্না তাদের গালি গালাজ করিতে বারন করিলে অভিযুক্তরা তাদের উপর চরাও হয়ে হামলা চালায় এ সময় তাদের আত্তচিৎকারে বাদীর খালাত বোন সহ আত্তীয় সজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর ও হামলা চালায় এবং টেনে হিঁচড়ে বাদির মা বোন দের কাপড় চোপর ছিরে মারাত্মক ভাবে শ্লিলতা হানি করে এ সময় বাদা দিতে গেলে বাদি বাবুকে লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে বাম পা মারাত্মক ভাবে যখম করে ।আসপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকার লুট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয় ভিতি দেখিয়ে চলে যায়।
ভোক্তভোগি জহিরুল ইসলাম আমাদের প্রতিবেদককে জানান আমার বাবা ৫২ বছর পূর্বে এই জায়গা সাব কাউলায় ক্রয় করেছেন আমাদের সকল কাগজ পত্র বৈধ সেই থেকে আমরা এখানে ভোগদখল সহ বসবাস করে আসছি এতদিন কোন ওয়ারিশ ছিল না । ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ওয়ারিশ দাবী করে আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা বেগম আমাদের জায়গা দখল করার জন্য বেশ কয়েক বছর যাবত পায়তারা করে আসছে, আমি অসুস্থ ও অসহায় তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি ও ভয় ভিতি দেখিয়ে আসছে ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে জানান এমন কোন ঘটনা ঘটেনি ওয়ারিস সুত্রে ২২,৫০ শতাংশ জায়গার মালিক আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের কাগজ পত্র আছে ।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার এস আই মজিবুর রহমানের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে জানান
আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।