ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪, ১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ২০২৪ উপলক্ষে । সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও বজ্রাপাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি “২য় বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য হলেন সাংবাদিক সাজ্জাদ চিশতী” “মাশরুমের পুষ্টিগত থেরাপিউটিক ও ঔষধি গুনাবলীর উপর, ভিশন-২০৪১, অর্জন শীর্ষক সেমিনার” কোরবানির হাট ও পশুর বর্জ্য অপসারণ তদারকিতে ঢাদসিক’র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সাংবাদিক রিয়াদ তালুকদারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন তলব উত্তরে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিএফ এর চাউল বিতরন লক্ষ্মীপুরে ভূমিসেবা সপ্তাহে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার টোল আদায় নরসিংদীতে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করলেন শিল্পমন্ত্রী

বাকেরগঞ্জ পৌর শহরে পাঁচটি সড়কের বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চরমে।

মোঃ জাহিদুল ইসলাম ( বাকেরগঞ্জ) বরিশাল।

পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাকেরগঞ্জ ডাকবাংলোর সামনে থেকে শুরু করে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এ অবস্থার চিত্র দেখা যায় বাকেরগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে, বাকেরগঞ্জ সংসদ সদস্য রতনা আমিন এর বাসভবন এর সামনে, সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর বাসভবনের সামনে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের সামনের সড়কের। উপজেলা শহরের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রধান এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাহিন্দ্রা সহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এটি ১৪ ইউনিয়নের জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান সড়ক। সড়কটি দিয়ে হাজারো যানবাহন নিত্যদিন যাতায়াত করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কগুলোর অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কটি উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। চলাচলের বেহাল অবস্থা। এখানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে এ অংশ একাকার হয়ে যায়। কিছু কিছু স্থানে হাঁটু সমান পানি জমা হয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত সুমন খান এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। সড়কটির বেহাল দশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক রাজু বলেন, ছোট যানবাহন প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। পাঁচ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে আধা ঘণ্টা। কাভার্ড ভ্যান চালক জসিম আহমেদ বলেন, গেল ৫ বছর যাবত এ এলাকার বাজারগুলোতে পণ্য দিতে আসি। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলে হেলেদুলে। খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দুষ্কর হয়ে যায়। আবার উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। নাকাল অবস্থা। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।

অপরদিকে একই পরিস্থিতি উপজেলা চত্তর থেকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের প্রান কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া সাহেবগঞ্জ টু চৌমাথা সড়ক। পৌরসভার ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ড থেকে বয়ে যাওয়া এক মাত্র বঙ্গবন্ধু সড়ক যে সড়কটি চৌমাথা টু কালিগঞ্জে সংযোগ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটি পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। অপরদিকে পৌর শহরের টিএনটি সড়কের উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এনিয়ে পৌরবাসীর মাঝে নানান ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাই সরকারের ইমেজ ধরে রাখতে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ২০২৪ উপলক্ষে ।

বাকেরগঞ্জ পৌর শহরে পাঁচটি সড়কের বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চরমে।

আপডেট টাইম ০৫:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

মোঃ জাহিদুল ইসলাম ( বাকেরগঞ্জ) বরিশাল।

পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাকেরগঞ্জ ডাকবাংলোর সামনে থেকে শুরু করে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এ অবস্থার চিত্র দেখা যায় বাকেরগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে, বাকেরগঞ্জ সংসদ সদস্য রতনা আমিন এর বাসভবন এর সামনে, সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর বাসভবনের সামনে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের সামনের সড়কের। উপজেলা শহরের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রধান এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাহিন্দ্রা সহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এটি ১৪ ইউনিয়নের জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান সড়ক। সড়কটি দিয়ে হাজারো যানবাহন নিত্যদিন যাতায়াত করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কগুলোর অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কটি উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। চলাচলের বেহাল অবস্থা। এখানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে এ অংশ একাকার হয়ে যায়। কিছু কিছু স্থানে হাঁটু সমান পানি জমা হয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত সুমন খান এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। সড়কটির বেহাল দশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক রাজু বলেন, ছোট যানবাহন প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। পাঁচ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে আধা ঘণ্টা। কাভার্ড ভ্যান চালক জসিম আহমেদ বলেন, গেল ৫ বছর যাবত এ এলাকার বাজারগুলোতে পণ্য দিতে আসি। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলে হেলেদুলে। খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দুষ্কর হয়ে যায়। আবার উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। নাকাল অবস্থা। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।

অপরদিকে একই পরিস্থিতি উপজেলা চত্তর থেকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের প্রান কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া সাহেবগঞ্জ টু চৌমাথা সড়ক। পৌরসভার ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ড থেকে বয়ে যাওয়া এক মাত্র বঙ্গবন্ধু সড়ক যে সড়কটি চৌমাথা টু কালিগঞ্জে সংযোগ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটি পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। অপরদিকে পৌর শহরের টিএনটি সড়কের উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এনিয়ে পৌরবাসীর মাঝে নানান ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাই সরকারের ইমেজ ধরে রাখতে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।