মাজেদ ভুঁইয়া ঃ স্টাফ রিপোর্টার
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণের সংবাদ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথে নূরুজ্জামান মোল্লা নামের এক সিনিয়র সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল বাহিনীর সদস্যরা।
রবিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার হালুয়াপাড়া ব্রিজের সামনে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি নূরুজ্জামান মোল্লা ওপর হামলার এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহবুব আলম জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ দিকে হালুয়াপাড়া শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটায়।
উপজেলা ধামগড় ইউপির হালুয়াপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে মাহমুদা (১৫)কে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আসছিল পার্শ্ববর্তী জাঙ্গাল গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে হৃদয়। মাহমুদা প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দেয়।
রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে হৃদয় ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ওই ছাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নেওয়ার সময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন চালকসহ অপহরণ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আটক করে পুলিশকে খবর দেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে মাইক্রোবাস সহ চালককে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।
অপহরণের ঘটনার খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা। সংবাদ সংগ্রহের পর বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান কামাল বাহিনীর সদস্য অপহরণকারী হৃদয় ও তার আত্মীয়স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লার ওপর সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
এ হামলায় নূরুজ্জামান মোল্লার মাথায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়ে গুরুত্বর জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পুলিশ সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লাকে মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলাকারীরা ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বাহিনীর। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গলায় ছুরি চালানো মামলা রয়েছে।