ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিআাই খোলা মোড় ডিএনডি লেক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ আইনের সেবক আর মানুষের কল্যাণে সর্বদা বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন।। ইন্দুরকানীতে বিশ^ তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪ উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচী –ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী ও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি এলাকা হতে ৯৩২০ পিস ইয়াবা ও ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ। কুমিল্লা,মুরাদনগরে মোবাইল কোর্টে দুই মাদক সেবীকে-১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। নারায়ণগঞ্জে ইউসিবির উদ্যোগে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যখাতের উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “ “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ” দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইকবালসহ মোট ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

আনোয়ারায় কোরবানির ঈদকে সামনে দা-বটি ও ছুরিতে শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা

মোঃ ফখর উদ্দিন চট্টগ্রাম সংবাদদাতাঃ

কোরবানির ঈদের আর কিছু দিন বাকী টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার
কামার পাড়াগুলো।

বেড়ে গেছে কারীগরদের ব্যস্ততা। হাতুড়ি পেটা শব্দে মুখর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়া। সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করতে ব্যাস্ত তারা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।

কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। দেখা যায় কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুন রঙা লোহার খন্ড। কেউ ভোঁতা হয়ে পড়া দা ও ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউবা হাপর টানছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কামারের দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে।

তবে কামারপাড়ার কারীগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।

আনোয়ারা উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টারের কামার বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।

চাতরি চৌমুহনী বাজারের কামার জানান, কোরবানী ঈদে আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করি। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপেষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, কোরবানি ঈদের আর কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সিআাই খোলা মোড় ডিএনডি লেক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

আনোয়ারায় কোরবানির ঈদকে সামনে দা-বটি ও ছুরিতে শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা

আপডেট টাইম ০২:১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

মোঃ ফখর উদ্দিন চট্টগ্রাম সংবাদদাতাঃ

কোরবানির ঈদের আর কিছু দিন বাকী টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার
কামার পাড়াগুলো।

বেড়ে গেছে কারীগরদের ব্যস্ততা। হাতুড়ি পেটা শব্দে মুখর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়া। সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করতে ব্যাস্ত তারা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।

কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। দেখা যায় কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুন রঙা লোহার খন্ড। কেউ ভোঁতা হয়ে পড়া দা ও ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউবা হাপর টানছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কামারের দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে।

তবে কামারপাড়ার কারীগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।

আনোয়ারা উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টারের কামার বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।

চাতরি চৌমুহনী বাজারের কামার জানান, কোরবানী ঈদে আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করি। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপেষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, কোরবানি ঈদের আর কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।