ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু। টাঙ্গাইলে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তিন বাসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত। রাজধানীর জুরাইনে (,ডিএমপি,) ট্রাফিকের উদ্যোগে সাধারণ জনগণ,পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বরিশালে সাজানো মামলায় কারাবাস: ভুক্তভোগীর আক্ষেপ, বাদীর উল্লাস –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে কিশোর গ্যাংয়ের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গৃহবধুর আত্মহত্যা বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল পর্যটক ট্রেন

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  পর্যটক আকর্ষণ করতে ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল ট্রেনসেবা। সরকার বলছে, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ এ সেবা চালু হয়ে যাবে।

বার্তাসংস্থা ইউএনবি জানায়, এ ট্রেন চালু হলে ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ননস্টপ কক্সবাজার যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, বিশ্বের এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই ট্রেনে ৫৪টি বিলাসবহুল কোচ সংযুক্ত করা হবে।

ট্রেনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ট্রেনটি খুবই সীমিত পরিসরের বিরতি দেবে। পুরো ট্রেন হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, এমনকি ওয়াশরুমগুলো হবে লাক্সারিয়াস। তাছাড়া ক্যাটারিং সার্ভিসে উন্নত মানের খবার সরবরাহ করা হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার কারণে ট্রেনের ভেতরে হকার কিংবা অন্যান্য বিরক্তিকর বিষয়গুলো এড়ানো সম্ভব হবে।

ট্রেনে থাকছে ছয়টি মিটার গেজ কোচ, ১৩টি স্লিপিং কোচ, ২২টি চেয়ার কোচ, সাতটি পাওয়ার কার, ডিনার কারসহ নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য কয়েকটি কামরা। যার জন্য ব্যয় হবে ২৬৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সূত্র দিয়ে খবরে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন চারটি ট্রেন যাতায়াত করবে।

এ নতুন ট্রেনটি চালু করতে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মোট ব্যয়ের মধ্য থেকে সরকার অর্থায়ন করবে ৭৮ কোটি টাকা আর বাকি ২৭৪ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ ধরা হয়েছে।

দুটি প্রকল্পই চীনের সিআরইসি এবং বাংলাদেশি তমা কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। দোহাজারি থেকে চকরিয়া লাইনের জন্য ব্যয় হবে ২৬৮৭.৯৯ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশি ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লি. চীনের ওই কোম্পানির সঙ্গে দ্বিতীয় প্রকাল্প চকরিয়া টু ধুনদুম লাইনের কাজ করবে। ১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে ১৮৪টি রেলব্রিজ, নয়টি স্টেশন স্থাপন করা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু।

ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল পর্যটক ট্রেন

আপডেট টাইম ০১:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  পর্যটক আকর্ষণ করতে ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল ট্রেনসেবা। সরকার বলছে, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ এ সেবা চালু হয়ে যাবে।

বার্তাসংস্থা ইউএনবি জানায়, এ ট্রেন চালু হলে ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ননস্টপ কক্সবাজার যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, বিশ্বের এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই ট্রেনে ৫৪টি বিলাসবহুল কোচ সংযুক্ত করা হবে।

ট্রেনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ট্রেনটি খুবই সীমিত পরিসরের বিরতি দেবে। পুরো ট্রেন হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, এমনকি ওয়াশরুমগুলো হবে লাক্সারিয়াস। তাছাড়া ক্যাটারিং সার্ভিসে উন্নত মানের খবার সরবরাহ করা হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার কারণে ট্রেনের ভেতরে হকার কিংবা অন্যান্য বিরক্তিকর বিষয়গুলো এড়ানো সম্ভব হবে।

ট্রেনে থাকছে ছয়টি মিটার গেজ কোচ, ১৩টি স্লিপিং কোচ, ২২টি চেয়ার কোচ, সাতটি পাওয়ার কার, ডিনার কারসহ নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য কয়েকটি কামরা। যার জন্য ব্যয় হবে ২৬৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সূত্র দিয়ে খবরে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন চারটি ট্রেন যাতায়াত করবে।

এ নতুন ট্রেনটি চালু করতে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মোট ব্যয়ের মধ্য থেকে সরকার অর্থায়ন করবে ৭৮ কোটি টাকা আর বাকি ২৭৪ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ ধরা হয়েছে।

দুটি প্রকল্পই চীনের সিআরইসি এবং বাংলাদেশি তমা কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। দোহাজারি থেকে চকরিয়া লাইনের জন্য ব্যয় হবে ২৬৮৭.৯৯ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশি ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লি. চীনের ওই কোম্পানির সঙ্গে দ্বিতীয় প্রকাল্প চকরিয়া টু ধুনদুম লাইনের কাজ করবে। ১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে ১৮৪টি রেলব্রিজ, নয়টি স্টেশন স্থাপন করা হবে।