মনির হোসেন, নেএকোনা প্রতিনিধিঃ
পূর্বের ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া
সাগুলী গ্রামে হাসান শাহ মাজারের
ওরস শরিফের অনুষ্ঠান চলাকালে কিশোরদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে সুমন নামের এক কিশোরের নিহতের ঘটনা ঘটেছে । এ সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছে ৪ জন কিশোর ।
করোনা মহামারী অমিক্রণ প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ,গণসমাবেশ বন্ধ রয়েছে ,সকল জনসমাবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মাজারের অনুষ্ঠান চলে কি করে ।
এই অনুষ্ঠান চলছিল শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামে হাসান শাহ মাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সুমন মিয়া (১৬) উপজেলার চিথোলিয়া গ্রামের মৃত ইনছান মিয়ার ছেলে।
নিহত সুমনের মা বলেন , ছেলেকে ১ বছরের মানুষ রেখে তার বাবা মারা যায়, মানুষের বাড়ি গিয়ে কাজ করে ছেলেকে বড় করেছি এর উপার্জনে চলত আমার সংসার ।
আহতরা হলেন— একই এলাকার রিফাত আকন্দ, হাসান, বিজয়, রেদোয়ান আহম্মেদ রিয়াদ।
জানা গেছে, চিরাং ইউনিয়নে সাগুলী গ্রামে ওই মাজারে বার্ষিক ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শনিবার রাতে ওই ছয়জন মাজারের ওরসে গিয়েছিল। রাত ১১টার দিকে কিশোরদের দুগ্রুপের মধ্যে পূর্বের ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহত হয়, ও কিশোর সুমন সংঘর্ষের ছুরির আঘাতে নিহত।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপর তিনজন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আনুমানিক রাত ৩ ঘটিকার সময় সুমন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
সংঘর্ষে নিহতের বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম বলেন , সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ১ জন ,এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে, মাজারের অনুষ্ঠানের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে, বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মাজারের খাদেম সিরাজ উদ্দিন ফকির বলেন ,প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই মজার অনুষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করেছি