এস এম মহিউদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ঃ
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ(৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি আউটার স্টেডিয়ামে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবনে কোন নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেনি। ৭১-এ স্বাধীনতার যুদ্ধে কারাগারে ছিলেন। এখন নিশি রাতের ভোটের সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বিদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা জন্য যেতে না দেওয়া চরম মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। আমাদের এই দাবি পূরণ না হলে সরকার পতনের একদফার আন্দোলনের শুরু করতে বাধ্য হবো।
সভাপিতর বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ব্যবস্থার না হলে আগামীতে আপনার চিকিৎসাও বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।
গণ সমাবেশেকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে জমায়েত হতে থাকে। সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই পুরো আউটার স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে স্বনির্ভর বাজার পর্যন্ত লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।
গণ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহাম্মদ মজুমদার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুগ্ন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিনার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার,সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব রাজা, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবুর মাহবুবুল আলম সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ সুমনসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।