ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু। টাঙ্গাইলে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তিন বাসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত। রাজধানীর জুরাইনে (,ডিএমপি,) ট্রাফিকের উদ্যোগে সাধারণ জনগণ,পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বরিশালে সাজানো মামলায় কারাবাস: ভুক্তভোগীর আক্ষেপ, বাদীর উল্লাস –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে কিশোর গ্যাংয়ের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গৃহবধুর আত্মহত্যা বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

মতলব উত্তরে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত ৬

মতলব উত্তরে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের সুলতানাবাদ ইউনিয়নে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা ও চশমা সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আমুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন গুরুতর আহত হন। এই দুই প্রার্থীর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় অন্তঃকোন্দলের কারণেই কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আহতরা হলেন, আমুয়াকান্দা গ্রামের মৃত জুলমাদ মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (৪৫), মোহন মোল্লার স্ত্রী রুমা বেগম (৪৭), মৃত দিদার বক্স প্রধানের ছেলে নৌকার চীফ এজেন্ট নূরুল ইসলাম (৬০), একই গ্রামের মজলু বেপারি, সোলায়মান প্রধান, মৃত আলীমুদ্দিন জমাদারের ছেলে শাহজাহান জমাদার (৫৫), সোলায়মান জমাদার (৫০)। তবে তাদের মধ্যে শাহজাহান জমাদার চশমা প্রতিকের কর্মী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদেরকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে নূরল ইসলাম, মোহন মোল্লা ও রুমা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাবেদ ইকবাল তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
ঘটনা সূত্রে যানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। ২৮ নভেম্বর নির্বাচন শেষে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুবকর সিদ্দিক খোকন ঘোড়া প্রতীক জয়ী হয়। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাবিবা ইসলাম সিফাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সোহেল (আনারস) ও জসিম উদ্দিন জমাদার (চশমা) প্রতীক পরাজিত হয়েছে। নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বাড়ি একই এলাকায় এবং পারিবারিক অন্তঃকোন্দলের কারনেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আমুয়াকান্দা গ্রামের নূরুল ইসলামের স্ত্রী নূরজাহান বেগম জানান, ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টার সময় তার স্বামী বাজার করার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাহির হলে বেরীবাধে উপস্থিত হলে চশমা প্রতিকের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ও এলোপাথারি মারধর করে। নুরুল ইসলামের ডাক চিৎকার শুনে কিছু লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে। রুমা বেগম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাবিবা ইসলাম সিফাতের নির্বাচন করায় চশমা প্রতীকের জসিম উদ্দিন জমাদারের হুকুমে এ হামলা করা হয়েছে। জসিম জমাদারের ছোট ভাই জুয়েল জমাদার হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে।
এ বিষয়ে পরাজিত আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের হাবিবা ইসলাম সিফাত বলেন, আবুবকর সিদ্দিক খোকন ও জসিম উদ্দিন জমাদারের কর্মীরা আমার নৌকা প্রতিকের সর্মথকদের উপর হামলা করেছে। আমি এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানাই।
এ বিষয়ে সুলতানাবাদ ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক খোকন জানান, আমার বাড়ি থেকে হাবিবা ইসলাম সিফাতের বাড়ি ৩ কিলোমিটার দূরে। সংঘর্ষের ভয়ে ওই গ্রামে আমি প্রচার প্রচারনা করতেও যাইনি। আমি ফোনে খবর পেয়েছি চশমা প্রতীকের জসিম জমাদার ও নৌকা প্রতীকের হাবিবা ইসলাম সিফাতের কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমার কোন হাত নেই। আমার কোন কর্মীও এই ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায় বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। সুলতানাবাদ ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের ধারণা বিষয়টি পারিবারিক অথবা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটতে পারে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু।

মতলব উত্তরে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত ৬

আপডেট টাইম ০৯:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

মতলব উত্তরে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের সুলতানাবাদ ইউনিয়নে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা ও চশমা সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আমুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন গুরুতর আহত হন। এই দুই প্রার্থীর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় অন্তঃকোন্দলের কারণেই কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আহতরা হলেন, আমুয়াকান্দা গ্রামের মৃত জুলমাদ মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (৪৫), মোহন মোল্লার স্ত্রী রুমা বেগম (৪৭), মৃত দিদার বক্স প্রধানের ছেলে নৌকার চীফ এজেন্ট নূরুল ইসলাম (৬০), একই গ্রামের মজলু বেপারি, সোলায়মান প্রধান, মৃত আলীমুদ্দিন জমাদারের ছেলে শাহজাহান জমাদার (৫৫), সোলায়মান জমাদার (৫০)। তবে তাদের মধ্যে শাহজাহান জমাদার চশমা প্রতিকের কর্মী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদেরকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে নূরল ইসলাম, মোহন মোল্লা ও রুমা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাবেদ ইকবাল তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
ঘটনা সূত্রে যানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। ২৮ নভেম্বর নির্বাচন শেষে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুবকর সিদ্দিক খোকন ঘোড়া প্রতীক জয়ী হয়। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাবিবা ইসলাম সিফাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সোহেল (আনারস) ও জসিম উদ্দিন জমাদার (চশমা) প্রতীক পরাজিত হয়েছে। নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বাড়ি একই এলাকায় এবং পারিবারিক অন্তঃকোন্দলের কারনেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আমুয়াকান্দা গ্রামের নূরুল ইসলামের স্ত্রী নূরজাহান বেগম জানান, ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টার সময় তার স্বামী বাজার করার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাহির হলে বেরীবাধে উপস্থিত হলে চশমা প্রতিকের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ও এলোপাথারি মারধর করে। নুরুল ইসলামের ডাক চিৎকার শুনে কিছু লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে। রুমা বেগম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাবিবা ইসলাম সিফাতের নির্বাচন করায় চশমা প্রতীকের জসিম উদ্দিন জমাদারের হুকুমে এ হামলা করা হয়েছে। জসিম জমাদারের ছোট ভাই জুয়েল জমাদার হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে।
এ বিষয়ে পরাজিত আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের হাবিবা ইসলাম সিফাত বলেন, আবুবকর সিদ্দিক খোকন ও জসিম উদ্দিন জমাদারের কর্মীরা আমার নৌকা প্রতিকের সর্মথকদের উপর হামলা করেছে। আমি এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানাই।
এ বিষয়ে সুলতানাবাদ ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক খোকন জানান, আমার বাড়ি থেকে হাবিবা ইসলাম সিফাতের বাড়ি ৩ কিলোমিটার দূরে। সংঘর্ষের ভয়ে ওই গ্রামে আমি প্রচার প্রচারনা করতেও যাইনি। আমি ফোনে খবর পেয়েছি চশমা প্রতীকের জসিম জমাদার ও নৌকা প্রতীকের হাবিবা ইসলাম সিফাতের কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমার কোন হাত নেই। আমার কোন কর্মীও এই ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায় বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। সুলতানাবাদ ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের ধারণা বিষয়টি পারিবারিক অথবা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটতে পারে।