ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাটে বহিষ্কৃত জাপা নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান টাঙ্গাইলে সদর সার্কেলের কার্যালয় পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার বগুড়ায় গ্রাহকের ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও সংস্থা সিডো

মুরাদনগরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ১৪ দিন পর ৪ মাতব্বরসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

মুরাদনগরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ১৪ দিন পর ৪ মাতব্বরসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণীতে পুড়–য়া এক ছাত্রীকে(১৪) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ করায় অর্থবিনিময়ে গ্রাম্য মাতব্বরদের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকির অভিরেযাগও উঠেছে ধর্ষকের বিরুদ্ধে। অবশেষে ঘটনার ১৪ দিন পর ৪ গ্রাম্য মাতব্বর, ধর্ষকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করে ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে।
অভিযুক্ত ধর্ষক কাশেম মিয়া (৫৫) পালাসুতা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে।

গত ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কেমতলী গ্রামে ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটলেও গত বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মুরাদনগর থানা একটি ধর্ষণের মামলা করেন।

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী মুরাদনগর উপজেলার দারারো দ্বীনেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। লকডাউনের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় মায়ের সঙ্গে ছাগল লালন পালন করতো। গত ১২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ীর আঙ্গীনায় ছাগলকে ঘাস খাইতে দিয়ে ঘরে আসলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা কাশেম মিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার করলে অভিযুক্ত কাশেম দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পাশের বাড়ীর লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর মা-বাবা স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়। তারা ওই পরিবারটিকে কোন প্রকার সহযোগিতা না করে উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন, স্থানীয় মাতব্বর হযরত আলী হর্জন, নুরুল ইসলাম ও মনির হোসেন ভূক্তভোগি পরিবারকে কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা বলে। আর যদি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে পুরো পরিবারকে মেরে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়। বিচার না পেয়ে উল্টো ওই পরিবারটি ভয়ে দিনাতিপাত করছিল। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে বুধবার রাতেই ওই পরিবারটিকে সুরক্ষা দিয়ে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই গ্রামের ৪ জন মাতব্বরসহ অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক কাশেম মিয়া ও মাতব্বররা পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তারিখ ঃ ২৬-০৮-২০২১ ইং

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

মুরাদনগরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ১৪ দিন পর ৪ মাতব্বরসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট টাইম ০৯:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১

মুরাদনগরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ১৪ দিন পর ৪ মাতব্বরসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণীতে পুড়–য়া এক ছাত্রীকে(১৪) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ করায় অর্থবিনিময়ে গ্রাম্য মাতব্বরদের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকির অভিরেযাগও উঠেছে ধর্ষকের বিরুদ্ধে। অবশেষে ঘটনার ১৪ দিন পর ৪ গ্রাম্য মাতব্বর, ধর্ষকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করে ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে।
অভিযুক্ত ধর্ষক কাশেম মিয়া (৫৫) পালাসুতা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে।

গত ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কেমতলী গ্রামে ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটলেও গত বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মুরাদনগর থানা একটি ধর্ষণের মামলা করেন।

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী মুরাদনগর উপজেলার দারারো দ্বীনেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। লকডাউনের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় মায়ের সঙ্গে ছাগল লালন পালন করতো। গত ১২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ীর আঙ্গীনায় ছাগলকে ঘাস খাইতে দিয়ে ঘরে আসলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা কাশেম মিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার করলে অভিযুক্ত কাশেম দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পাশের বাড়ীর লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর মা-বাবা স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়। তারা ওই পরিবারটিকে কোন প্রকার সহযোগিতা না করে উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন, স্থানীয় মাতব্বর হযরত আলী হর্জন, নুরুল ইসলাম ও মনির হোসেন ভূক্তভোগি পরিবারকে কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা বলে। আর যদি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে পুরো পরিবারকে মেরে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়। বিচার না পেয়ে উল্টো ওই পরিবারটি ভয়ে দিনাতিপাত করছিল। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে বুধবার রাতেই ওই পরিবারটিকে সুরক্ষা দিয়ে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই গ্রামের ৪ জন মাতব্বরসহ অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক কাশেম মিয়া ও মাতব্বররা পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তারিখ ঃ ২৬-০৮-২০২১ ইং