ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কালকিনিতে ১ মাস পর অবশেষে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করল স্ত্রী

কালকিনিতে ১ মাস পর অবশেষে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করল স্ত্রী

রকিবুজ্জামান,
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় অবশেষে ১ মাস ১১ দিন পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে স্বামী মোঃ নাজিমুদ্দিন কাজীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী রুবি বেগম(২৩)। রবিবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসির কাছে প্রকাশ্যে এ হত্যার দায় স্বীকার করেন ওই স্ত্রী। পরে সন্ধ্যায় এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের স্ত্রীকে আটক করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাযায়, উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার পূর্ব আলিপুর গ্রামের মান্নান কাজীর ছেলে মোঃ নাজিমুদ্দিন কাজীর(২৫) সঙ্গে একই এলাকার মোঃ কামাল সিকদারের মেয়ে রুবি বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ২১ জুন রাতে স্বামী মোঃ নাজিমুদ্দিন ষ্টোক করে মারা যায় বলে এলাকায় এমন প্রচার করে স্ত্রী রুবি বেগম। কিন্তু করোনার প্রকোপের কারনে তরিঘরি করে তার লাশ স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দাফন করা হয়।
এ মৃত্যুর একমাস গড়িয়ে গেলে নাজিমুদ্দিনের পরিবারের মধ্যে সন্দেহের দানা বাড়তে থাকে যে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার নাজিমুদ্দিনের ফুফু সামত্রবান(মতি বেগম) থানায় মামলা করার জন্য গেলে কালকিনি থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের মাদারীপুর কোর্টে মামলা করতে বলেন।
পরে অসহায় নিহতের পরিবার রবিবার এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান রেহানা নেয়ামুল ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে নিহত নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী রুবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবি নিজে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেন।

ইউপি চেয়ারম্যানের রেহানা নেয়ামুলের স্বামী নেয়ামুল আকন বিষয়টি কালকিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ সন্ধ্যার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্ত্রী রুবি বেগমকে আটক করেন।

ঘাতক রুবি বেগম স্বীকারক্তিতে বলেন, আলিপুর মোল্লারহাট বাজারের ঔষধের দোকানের চিকিৎসক আব্দুল আলির কাছ থেকে আমি ঘুমের ঔষুধ এনে দুধের সাথে মিশিয়ে আমার স্বামী মোঃ নাজিমুদ্দিনকে খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করি।

নিহতের ভাই নাইম ও ফুফু সামত্রবান(মতি বেগম) বলেন, আমাদের আগেই সন্দেহ হয়েছিল নাজিমুদ্দিন মারা যায়নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা গতকাল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। আমাদের মাদারীপুর কোর্টে গিয়ে মামলা দিতে বলে। পরে এলাকার লোকজন নিয়ে রুবিকে জিজ্ঞেসবাদ করলে রুবি ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে হত্যার দায় সবার সামনে স্বীকার করে।
পুলিশকে দুপুরে জানালো হলে পুলিশ সন্ধ্যায় এসে রুবিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার রোববার রাতে থানায় হত্যা মামলা করেছে। মামলার আসামী রুবিকে আটক শেষে আজ সোমবার মাদারীপুর জেল হাজতে পাঠানো

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

কালকিনিতে ১ মাস পর অবশেষে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করল স্ত্রী

আপডেট টাইম ০৩:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

কালকিনিতে ১ মাস পর অবশেষে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করল স্ত্রী

রকিবুজ্জামান,
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় অবশেষে ১ মাস ১১ দিন পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে স্বামী মোঃ নাজিমুদ্দিন কাজীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী রুবি বেগম(২৩)। রবিবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসির কাছে প্রকাশ্যে এ হত্যার দায় স্বীকার করেন ওই স্ত্রী। পরে সন্ধ্যায় এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের স্ত্রীকে আটক করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাযায়, উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার পূর্ব আলিপুর গ্রামের মান্নান কাজীর ছেলে মোঃ নাজিমুদ্দিন কাজীর(২৫) সঙ্গে একই এলাকার মোঃ কামাল সিকদারের মেয়ে রুবি বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ২১ জুন রাতে স্বামী মোঃ নাজিমুদ্দিন ষ্টোক করে মারা যায় বলে এলাকায় এমন প্রচার করে স্ত্রী রুবি বেগম। কিন্তু করোনার প্রকোপের কারনে তরিঘরি করে তার লাশ স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দাফন করা হয়।
এ মৃত্যুর একমাস গড়িয়ে গেলে নাজিমুদ্দিনের পরিবারের মধ্যে সন্দেহের দানা বাড়তে থাকে যে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার নাজিমুদ্দিনের ফুফু সামত্রবান(মতি বেগম) থানায় মামলা করার জন্য গেলে কালকিনি থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের মাদারীপুর কোর্টে মামলা করতে বলেন।
পরে অসহায় নিহতের পরিবার রবিবার এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান রেহানা নেয়ামুল ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে নিহত নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী রুবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবি নিজে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেন।

ইউপি চেয়ারম্যানের রেহানা নেয়ামুলের স্বামী নেয়ামুল আকন বিষয়টি কালকিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ সন্ধ্যার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্ত্রী রুবি বেগমকে আটক করেন।

ঘাতক রুবি বেগম স্বীকারক্তিতে বলেন, আলিপুর মোল্লারহাট বাজারের ঔষধের দোকানের চিকিৎসক আব্দুল আলির কাছ থেকে আমি ঘুমের ঔষুধ এনে দুধের সাথে মিশিয়ে আমার স্বামী মোঃ নাজিমুদ্দিনকে খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করি।

নিহতের ভাই নাইম ও ফুফু সামত্রবান(মতি বেগম) বলেন, আমাদের আগেই সন্দেহ হয়েছিল নাজিমুদ্দিন মারা যায়নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা গতকাল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। আমাদের মাদারীপুর কোর্টে গিয়ে মামলা দিতে বলে। পরে এলাকার লোকজন নিয়ে রুবিকে জিজ্ঞেসবাদ করলে রুবি ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে হত্যার দায় সবার সামনে স্বীকার করে।
পুলিশকে দুপুরে জানালো হলে পুলিশ সন্ধ্যায় এসে রুবিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার রোববার রাতে থানায় হত্যা মামলা করেছে। মামলার আসামী রুবিকে আটক শেষে আজ সোমবার মাদারীপুর জেল হাজতে পাঠানো