মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার, জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর:
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের প্রবাসী হালিম মিয়ার ২০ মাস বয়সী শিশু কন্যা রাইসাকে অপহরণের ১২ ঘন্টার মধ্যেই জীবিত উদ্ধার ও একজন অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
জানা যায় তিতাস থানার উলুকান্দি গ্রামের প্রবাসী হালিম মিয়ার স্ত্রী জান্নাত আক্তার তাঁর ২০ মাস বয়সী শিশু কন্যা রাইসাকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ২৮ জানুৃয়ারি ভোরে সাড়ে ৪ টার দিকে ঘুমন্ত মেয়েকে বিছানায় রেখে বাতরুমে যায় এবং ফিরে এসে দেখতে পান তার কোলের শিশুকন্যা রাইসা বিছানায় নেই।
এমন ত্ব অবস্থায় ভোরবেলা নিখোঁজ শিশু রাইসার খোঁজ পেতে পরিবারের লোকজন ব্যস্ত এমন সময় অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার বিনিময়ে অপহৃত শিশুটিকে ফেরত প্রদানের শর্ত দেয়। এবং পুলিশ প্রশাসনকে বিষটি জানাতে নিষেধ করা হয়,জানালে শিশু রাইসাকে হত্যা করা হবে বলে অপহরণকারী জানায়।
তিতাস থানার পুলিশকে শিশুটি নিখোঁজ ও মুক্তিপণের বিষয়টি জানায় তাৎক্ষণিক তিতাস থানার পুলিশ উদ্ধার তৎপর প্রক্রিয়া শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) মহোদয়ের সরাসরি দিক-নির্দেশনায় আমরা তিতাস থানার ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম ও কুমিল্লা ডিবি পুলিশের যৌথ একটি টিম উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। সারাদিন তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সফলতার সাথে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। প্রায় ১২ ঘন্টা শিশুটি অপরহণের পর,তিতাসের উত্তর বলরামপুর গ্রামের অপহরণচক্রের সদস্য কবির হোসেনের নিকট থেকে শিশু রাইসা কে সতর্কতার সাথে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ, উদ্ধারের পরপর দ্রুত তাকে শাররীক চেকআপের জন্য তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় ও পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ঘটনাটি জানার সাথে সাথে উদ্ধার অভিযানের পরিচালনার নির্দেশ দেন। যেন শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
অপহরণ চক্রের পেছনে কারা জড়িত ও মূলরহস্য খুঁজে বের করতে তিতাস থানার তদন্তকর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। অপহরণ, মাদক, সন্ত্রাস ও সকল প্রকার অপরাধ দমনে জেলার প্রত্যেক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
উদ্ধারকৃত শিশু রাইসার বাবা প্রবাসী হালিম মিয়া তার সন্তান ফিরে পাওয়ার প্রতিক্রায়া বলেন: পুলিশের উদ্ধার কার্যক্রমের প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।