ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ঘূর্ণিঝড় মিধিলীর ১৫ দিন পরেও সড়কে গাছ, যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন। বাকেরগঞ্জ -৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চুন্নুর মনোনয়ন পত্র স্থগিত, দুইজনের বাতিল ময়মনসিংহে ডিবি পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর জানাজায় লাখো মুসল্লীর ঢল “জীবন্ত দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর” চট্টগ্রামে ভুয়া ভোটার দেখানোর দায়ে ৫ আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল সোনারগাঁয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এ এইচ এম মাসুদ দুলাল বিএনপি এখন সন্ত্রাসী জঙ্গী বাহিনীর মত হয়ে গেছে : মাহবুবউল আলম হানিফ জাগ্রত একুশে সাংবাদিক সম্মাননা পদক পেলেন লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

খাবারের সন্ধানে এসে শিকারীর ফাঁদে ও কীটনাশকের বিষে মরছে হরিণ

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

সীতাকুণ্ড উপকূলে মিঠাপানি ও খাবারের সন্ধানে এসে শিকারীর ফাঁদ ও কীটনাশকযুক্ত সবজি খেয়ে মারা পড়ছে বহু হরিণ। এতে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে উদ্বিগ্ন বন কর্মকর্তারাও। ফলে তারা উপকূলে পাহারা জোরদার করেছেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের কয়েকটি ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় এখনো প্রচুর হরিণ রয়েছে। এসব হরিণ প্রায়শই রাতের অন্ধকারে শীতকালীন সবজি খেতে কিংবা মিঠাপানি পান করতে লোকালয়ে নেমে আসে। হরিণ লোকালয়ে নেমে আসার সুযোগে একশ্রেণির শিকারী নানারকম ফাঁদ পেতে রেখে হরিণের মাংস বিক্রি করে।

বিশেষ করে সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড ও বাঁশবাড়িয়া সাগর উপকূলে মাঝেমধ্যেই এভাবে হরিণ ধরা পড়া ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গত ১৫ ডিসেম্বরেরও বিশালাকার একটি হরিণ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর এলাকায় সবজির বিষক্রিয়ায় মারা গেলে খবর পেয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে পোস্টমর্টেম শেষে সেটি দাফন করা হয়। এছাড়া আরো অনেকগুলো হরিণের হাড়গোড় বনের বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে দেখেছেন বন কর্মকর্তারা।

সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ আছে। হরিণগুলো শুকনো মৌসুমে মিঠা পানির সন্ধানে উপকূলে আসে। এতে হরিণগুলো কখনো শিকারীর ফাঁদে আবার কখনো কৃষকের সবজি খেয়ে কীটনাশকের বিষক্রিয়ার শিকার হন।

উপকূলীয় বনবিভাগের রেঞ্জ সহযোগী ফরেস্টার বলেন, উপকূলে পানি ও সবজি খেতে এসে অনেক হরিণ মারা পড়ছে। কয়েকদিন আগেও একটি বিশাল হরিণ বিষমিশ্রিত সবজি খেয়ে মারা গেছে। আমরা সেটি উদ্ধারের পর পোস্টমর্টেম করলে হরিণের শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাই।

তিনি জানান,বিষ মিশ্রিত সবজি খেয়ে মাঝে মধ্যেই হরিণ মারা পড়ছে বলে আমরা ধারণা করছি। কারণ সবজি ক্ষেতের অনেক স্থানেই হরিণের হাড়গোড় পড়ে আছে এবং সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ নেমে আসার মতো পায়ের ছাপ আমরা দেখেছি। এছাড়া অনেক ক্ষেত ও উপকূলীয় এলাকায় শিকারীদের পেতে রাখা ফাঁদও দেখেছি। এসব ফাঁদে আটকা পড়া হরিণগুলো বেঘোরে মারা পড়ছে। এজন্য উপকূলীয় এলাকায় একটি সভা করে এলাকাবাসীকে সচেতন করার উদ্যোগের প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

খাবারের সন্ধানে এসে শিকারীর ফাঁদে ও কীটনাশকের বিষে মরছে হরিণ

আপডেট টাইম ০৪:২৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

সীতাকুণ্ড উপকূলে মিঠাপানি ও খাবারের সন্ধানে এসে শিকারীর ফাঁদ ও কীটনাশকযুক্ত সবজি খেয়ে মারা পড়ছে বহু হরিণ। এতে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে উদ্বিগ্ন বন কর্মকর্তারাও। ফলে তারা উপকূলে পাহারা জোরদার করেছেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের কয়েকটি ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় এখনো প্রচুর হরিণ রয়েছে। এসব হরিণ প্রায়শই রাতের অন্ধকারে শীতকালীন সবজি খেতে কিংবা মিঠাপানি পান করতে লোকালয়ে নেমে আসে। হরিণ লোকালয়ে নেমে আসার সুযোগে একশ্রেণির শিকারী নানারকম ফাঁদ পেতে রেখে হরিণের মাংস বিক্রি করে।

বিশেষ করে সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড ও বাঁশবাড়িয়া সাগর উপকূলে মাঝেমধ্যেই এভাবে হরিণ ধরা পড়া ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গত ১৫ ডিসেম্বরেরও বিশালাকার একটি হরিণ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর এলাকায় সবজির বিষক্রিয়ায় মারা গেলে খবর পেয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে পোস্টমর্টেম শেষে সেটি দাফন করা হয়। এছাড়া আরো অনেকগুলো হরিণের হাড়গোড় বনের বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে দেখেছেন বন কর্মকর্তারা।

সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ আছে। হরিণগুলো শুকনো মৌসুমে মিঠা পানির সন্ধানে উপকূলে আসে। এতে হরিণগুলো কখনো শিকারীর ফাঁদে আবার কখনো কৃষকের সবজি খেয়ে কীটনাশকের বিষক্রিয়ার শিকার হন।

উপকূলীয় বনবিভাগের রেঞ্জ সহযোগী ফরেস্টার বলেন, উপকূলে পানি ও সবজি খেতে এসে অনেক হরিণ মারা পড়ছে। কয়েকদিন আগেও একটি বিশাল হরিণ বিষমিশ্রিত সবজি খেয়ে মারা গেছে। আমরা সেটি উদ্ধারের পর পোস্টমর্টেম করলে হরিণের শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাই।

তিনি জানান,বিষ মিশ্রিত সবজি খেয়ে মাঝে মধ্যেই হরিণ মারা পড়ছে বলে আমরা ধারণা করছি। কারণ সবজি ক্ষেতের অনেক স্থানেই হরিণের হাড়গোড় পড়ে আছে এবং সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ নেমে আসার মতো পায়ের ছাপ আমরা দেখেছি। এছাড়া অনেক ক্ষেত ও উপকূলীয় এলাকায় শিকারীদের পেতে রাখা ফাঁদও দেখেছি। এসব ফাঁদে আটকা পড়া হরিণগুলো বেঘোরে মারা পড়ছে। এজন্য উপকূলীয় এলাকায় একটি সভা করে এলাকাবাসীকে সচেতন করার উদ্যোগের প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।