ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ায় প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমজীবী ও পথচারীদের ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণে আওয়ামীলীগ নেতা দুলু বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু। টাঙ্গাইলে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তিন বাসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত। রাজধানীর জুরাইনে (,ডিএমপি,) ট্রাফিকের উদ্যোগে সাধারণ জনগণ,পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বরিশালে সাজানো মামলায় কারাবাস: ভুক্তভোগীর আক্ষেপ, বাদীর উল্লাস –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে কিশোর গ্যাংয়ের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গৃহবধুর আত্মহত্যা বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হবে না : সিইসি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:   ভোটের মর্যাদা, ভোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, ভোট প্রদানে সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং ভোটারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এতে করে ভোটের রাতে কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে এ পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে, আইনগত ভিত্তি এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবলমাত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে খুলনার জিয়া হল চত্বরে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা।

সিইসি আরও বলেন, সরকার, জেলা-উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি গঠনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে জনগণ। জনগণের ভোট নিয়েই জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দিয়ে দেয়। উদাহারণ হিসেবে তিনি কেসিসি’র সর্বশেষ নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে উল্লিখিত অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ইভিএমে ভোট হলে এ ধরনের অনিয়মের কোনো সুযোগই থাকবে না।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার প্রসঙ্গ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা ইভিএমের বিরোধিতা করছেন, তারা আসলে ইভিএম সম্পর্কে না জেনেই করছেন। তিনি তাদেরকে ইভিএম সম্পর্কে ভালো করে জেনে শুনে ধারণা নেয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সংশ্লিষ্টরা ইভিএম’র ত্রুটি বা গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিলে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ইভিএমের অনিয়মনের বিষয়ে বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যেমন ত্রুটি হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইভিএম-এও ত্রুটি হতে পারে। আর সেটি হলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু প্রযুক্তির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। তবে, ইভিএম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না- উল্লেখ করে এ কে এম নূরুল হুদা বলেন, এখনও ইভিএম’র আইনগত ভিত্তি হয়নি। ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সংশোধন হলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করা হবে। তবে, সকল কেন্দ্রে সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিগত দিনে মোতায়েন করা হয়েছে। সেটি মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ বা অন্যকোনো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আর আলোচনার সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।

স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। ইভিএম সম্পর্কিত বিশেষ উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইভিএম প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। ইভিএম প্রদর্শনীতে নগরীর ২টি ওয়ার্ডের চারটি এলাকার ৭ হাজার ৩৯ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। উদ্বোধনের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণের জন্য ১৪টি কক্ষ ও ১৫ সেট ইভিএম মেশিন রয়েছে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমজীবী ও পথচারীদের ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণে আওয়ামীলীগ নেতা দুলু

কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হবে না : সিইসি

আপডেট টাইম ১০:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:   ভোটের মর্যাদা, ভোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, ভোট প্রদানে সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং ভোটারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এতে করে ভোটের রাতে কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে এ পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে, আইনগত ভিত্তি এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবলমাত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে খুলনার জিয়া হল চত্বরে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা।

সিইসি আরও বলেন, সরকার, জেলা-উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি গঠনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে জনগণ। জনগণের ভোট নিয়েই জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দিয়ে দেয়। উদাহারণ হিসেবে তিনি কেসিসি’র সর্বশেষ নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে উল্লিখিত অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ইভিএমে ভোট হলে এ ধরনের অনিয়মের কোনো সুযোগই থাকবে না।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার প্রসঙ্গ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা ইভিএমের বিরোধিতা করছেন, তারা আসলে ইভিএম সম্পর্কে না জেনেই করছেন। তিনি তাদেরকে ইভিএম সম্পর্কে ভালো করে জেনে শুনে ধারণা নেয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সংশ্লিষ্টরা ইভিএম’র ত্রুটি বা গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিলে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ইভিএমের অনিয়মনের বিষয়ে বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যেমন ত্রুটি হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইভিএম-এও ত্রুটি হতে পারে। আর সেটি হলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু প্রযুক্তির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। তবে, ইভিএম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না- উল্লেখ করে এ কে এম নূরুল হুদা বলেন, এখনও ইভিএম’র আইনগত ভিত্তি হয়নি। ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সংশোধন হলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করা হবে। তবে, সকল কেন্দ্রে সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিগত দিনে মোতায়েন করা হয়েছে। সেটি মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ বা অন্যকোনো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আর আলোচনার সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।

স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। ইভিএম সম্পর্কিত বিশেষ উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইভিএম প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। ইভিএম প্রদর্শনীতে নগরীর ২টি ওয়ার্ডের চারটি এলাকার ৭ হাজার ৩৯ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। উদ্বোধনের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণের জন্য ১৪টি কক্ষ ও ১৫ সেট ইভিএম মেশিন রয়েছে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪