ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রং ফর্সার ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদ ও হাইড্রোকুইনোন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে বিক্রি হওয়া ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদের উপস্থিতি পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)।

সোমবার (২ মার্চ) বিএসটিআই পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল বারী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ছয়টি স্কিন ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) ও দুইটি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫.৮৫ পিপিএম, পাকিস্তানের এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬২৯.৯৬ পিপিএম, পাকিস্তানের কিউ. সি ইন্টারন্যাশনাল এর নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৩৮ পিপিএম, পাকিস্তানের ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ২৮৫.৮৮ পিপিএম, পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬৫৪.১৩ পিপিএম, পাকিস্তানের পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা  ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৪৫ পিপিএম, পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ১৯৩.৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০.৬৮ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৯৪৮.৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪.৭৩ পিপিএম পাওয়া গেছে।

সাজ্জাদুল বারী জানান, স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯)-এ মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম।

‘মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি (পারদ) ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।’

বিএসটিআইয়ের নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ক্রিম বিক্রি বন্ধ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

রং ফর্সার ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদ ও হাইড্রোকুইনোন

আপডেট টাইম ১০:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে বিক্রি হওয়া ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদের উপস্থিতি পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)।

সোমবার (২ মার্চ) বিএসটিআই পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল বারী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ছয়টি স্কিন ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) ও দুইটি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫.৮৫ পিপিএম, পাকিস্তানের এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬২৯.৯৬ পিপিএম, পাকিস্তানের কিউ. সি ইন্টারন্যাশনাল এর নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৩৮ পিপিএম, পাকিস্তানের ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ২৮৫.৮৮ পিপিএম, পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬৫৪.১৩ পিপিএম, পাকিস্তানের পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা  ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৪৫ পিপিএম, পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ১৯৩.৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০.৬৮ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৯৪৮.৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪.৭৩ পিপিএম পাওয়া গেছে।

সাজ্জাদুল বারী জানান, স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯)-এ মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম।

‘মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি (পারদ) ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।’

বিএসটিআইয়ের নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ক্রিম বিক্রি বন্ধ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।