ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে

দুদক ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয় : টিআইবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের না ধরে, ছোটখাটো দুর্নীতি নিয়েই কার্যক্রম চালাচ্ছে। দুদক বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি করা এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয় প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি ফলোআপ গবেষণা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। দুদকের ওপর একটি ফলোআপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশের জন্য সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

গবেষণাপত্রের ফলাফলে বলা  হয়েছে, দুদকের কার্যক্রম ও ক্ষমতার ব্যবহারের কারণে এর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদক রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। দুদক সরকারবিরোধীদের ওপর হয়রানিমূলক কাজ করে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের প্রতি সংস্থাটি নমনীয়। কারণ দুর্নীতির ঘটনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ আচরণ পেতে সমর্থ হয়নি বলেও জানিয়েছে টিআইবি। দুদকের তদন্ত ও মামলা দায়ের প্রশ্নে বলা হয়েছে, সম্পদের মালিকানার অবৈধ পরিবর্তন, ব্যাংক খাত ও সম্পদ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের ক্ষমতা প্রয়োগের ঘাটতি আছে। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে প্যানেল আইনজীবীদের মধ্যে ঘাটতি আছে।

সংস্থাটির মতে, কমিশন পক্ষপাতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সকলের বিরুদ্ধে সমানতালে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। তথ্যদাতাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাদের বেশিরভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত। তবে কয়েকজন রয়েছেন যারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য। দুদকের কর্ম সম্পাদনের স্বাধীনতাও কিছুটা নিম্ন বলেছে টিআইবি। এ বিষয়ে সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে দুদক সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের চাপের সম্মুখীন থাকে। আর কিছু ক্ষেত্রে সরকারের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য দুদক নিজস্ব ধারাপ্রসূত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকে। দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সাড়া প্রদানের হার কম হওয়ার একটি কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুদকের অভিযোগ বাছাই ব্যবস্থা।

ড. ইফতেখার বলেন, ২০১৬-২০১৮ সালে মোট ৪৭ হাজার ৫৪৯টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ২০৯টি অভিযোগ (৬.৭৫%) অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়, অথচ আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে এই হার ৬৬ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা। দুদকের তথ্য মতে, অধিকাংশ অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের বলে গন্য হয় না। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২ হাজার ৩৬৯টি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দুদক ২০১৬-২০১৮ সালে ৪ হাজার ৩৮টি অনুসন্ধানের মধ্য থেকে ৮৪৮টি (২১%) মামলা করেছ, যা আন্তর্জাতিক মানদন্ড ৭৫ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, গত কয়েক বছরে দুদকের দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার হার গড়ে ৪০ থেকে বেড়ে ৫৭.৭% হলেও তা আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে (৭৫ শতাংশের বেশি) এখনও কম।

সংবাদিকদের বরাত দিয়ে টিআইবি জানায়, গত তিন বছরে (২০১৬-১৮) নিস্পত্তি হওয়া ৮৫৭টি মামলার মধ্যে মোট ৪৯৫টি মামলায় সাজার রায় হয়েছে। এ ধরনের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুদকের নিরপেক্ষতার বিষয়ে মানুষের ধারণা খুব ইতিবাচক নয়ে। দুদকের কর্মকর্তাদের ওপর আস্থার অভাব রায়েছে বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের মতে, দুদককে দ্নুীতি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অর্পণ করা হলেও একই ধরনের দুনীতির মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ নয়ে। টিআইবি বলছে, জনগণের ধারণায় দুদক ক্ষুদ্র দুর্নীতির ওপর বেশি মনোযোগী এবং বড় দ্রুনীতিবাজ ধরার ক্ষেত্রে দুদকের দৃশ্যমান সাফল্য তেমন একটা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কাগজে-কলমে দুদকের স্বাধীন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে তিনি মনে করনে। তিনি আর বলেন, দুদক বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে অনুমতি নেয়ার যে বিষয় রয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক। আমরা আশা করি, আদালতে এই ধারাটি বাতিল হবে। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

দুদক ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয় : টিআইবি

আপডেট টাইম ০১:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের না ধরে, ছোটখাটো দুর্নীতি নিয়েই কার্যক্রম চালাচ্ছে। দুদক বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি করা এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয় প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি ফলোআপ গবেষণা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। দুদকের ওপর একটি ফলোআপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশের জন্য সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

গবেষণাপত্রের ফলাফলে বলা  হয়েছে, দুদকের কার্যক্রম ও ক্ষমতার ব্যবহারের কারণে এর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদক রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। দুদক সরকারবিরোধীদের ওপর হয়রানিমূলক কাজ করে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের প্রতি সংস্থাটি নমনীয়। কারণ দুর্নীতির ঘটনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ আচরণ পেতে সমর্থ হয়নি বলেও জানিয়েছে টিআইবি। দুদকের তদন্ত ও মামলা দায়ের প্রশ্নে বলা হয়েছে, সম্পদের মালিকানার অবৈধ পরিবর্তন, ব্যাংক খাত ও সম্পদ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের ক্ষমতা প্রয়োগের ঘাটতি আছে। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে প্যানেল আইনজীবীদের মধ্যে ঘাটতি আছে।

সংস্থাটির মতে, কমিশন পক্ষপাতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সকলের বিরুদ্ধে সমানতালে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। তথ্যদাতাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাদের বেশিরভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত। তবে কয়েকজন রয়েছেন যারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য। দুদকের কর্ম সম্পাদনের স্বাধীনতাও কিছুটা নিম্ন বলেছে টিআইবি। এ বিষয়ে সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে দুদক সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের চাপের সম্মুখীন থাকে। আর কিছু ক্ষেত্রে সরকারের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য দুদক নিজস্ব ধারাপ্রসূত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকে। দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সাড়া প্রদানের হার কম হওয়ার একটি কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুদকের অভিযোগ বাছাই ব্যবস্থা।

ড. ইফতেখার বলেন, ২০১৬-২০১৮ সালে মোট ৪৭ হাজার ৫৪৯টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ২০৯টি অভিযোগ (৬.৭৫%) অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়, অথচ আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে এই হার ৬৬ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা। দুদকের তথ্য মতে, অধিকাংশ অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের বলে গন্য হয় না। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২ হাজার ৩৬৯টি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দুদক ২০১৬-২০১৮ সালে ৪ হাজার ৩৮টি অনুসন্ধানের মধ্য থেকে ৮৪৮টি (২১%) মামলা করেছ, যা আন্তর্জাতিক মানদন্ড ৭৫ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, গত কয়েক বছরে দুদকের দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার হার গড়ে ৪০ থেকে বেড়ে ৫৭.৭% হলেও তা আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে (৭৫ শতাংশের বেশি) এখনও কম।

সংবাদিকদের বরাত দিয়ে টিআইবি জানায়, গত তিন বছরে (২০১৬-১৮) নিস্পত্তি হওয়া ৮৫৭টি মামলার মধ্যে মোট ৪৯৫টি মামলায় সাজার রায় হয়েছে। এ ধরনের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুদকের নিরপেক্ষতার বিষয়ে মানুষের ধারণা খুব ইতিবাচক নয়ে। দুদকের কর্মকর্তাদের ওপর আস্থার অভাব রায়েছে বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের মতে, দুদককে দ্নুীতি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অর্পণ করা হলেও একই ধরনের দুনীতির মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ নয়ে। টিআইবি বলছে, জনগণের ধারণায় দুদক ক্ষুদ্র দুর্নীতির ওপর বেশি মনোযোগী এবং বড় দ্রুনীতিবাজ ধরার ক্ষেত্রে দুদকের দৃশ্যমান সাফল্য তেমন একটা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কাগজে-কলমে দুদকের স্বাধীন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে তিনি মনে করনে। তিনি আর বলেন, দুদক বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে অনুমতি নেয়ার যে বিষয় রয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক। আমরা আশা করি, আদালতে এই ধারাটি বাতিল হবে। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।