ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা নারায়ণগঞ্জের বন্দর ষষ্ঠ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহন ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেএ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রামগঞ্জে ২টি কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

 লঞ্চ ডুবির ১৫ বছর পর মতলবে স্বজনদের কান্না আজও থামেনি

আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ বুধবার মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাবাসীর জন্য ভয়াল ১৯ ফেব্রুয়ারী। ২০০৫ সালের এই দিনে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মতলবগামী এম ভি মহারাজ লঞ্চটি কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা নামক স্থানে উল্টে নিমজ্জিত হয়। ভয়াল এ ট্রাজেডির ১৫ বছর পূরণ হল বুধবার। বছর শেষে এই দিনটি ফিরে এলে  মনে পরে যায় সেই ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারীর ভয়াল লঞ্চ দূর্ঘটনার কথা। যেদিন অনেকেই তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে।এ দূর্ঘটনায় লঞ্চে থাকা প্রায় দু’শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী-শিশু ও পুরুষ প্রাণ হারায়। লঞ্চটিতে মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার যাত্রী ছিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না থেমে নেই আজও। মতলববাসীর জন্যে আজকের দিনটি হচ্ছে শোকাবহ এক স্মরণীয় দিন।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ও ক্রিড়া সংগঠক মোহাম্মদ আলী, তার কন্যা মতলব কঁচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার, আইসিডিডিআরবির ডা. মো. মাসুম, দগরপুর গ্রামের প্রকৌশলী ফারুক দেওয়ান, মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির কর্মকর্তা ফরুক দেওয়ানসহ পরিবারবর্গ, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের মতলব উত্তর প্রতিনিধি বাবুল মুফতির শ্যালক নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু শিকদার, ঘাসিরচর গ্রামের আবু হানিফ, পাঠানচক গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, বাদল হোসেন, মধ্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু মুন্সি,  দার্গাপুর গ্রামের সুমন মিয়াসহ নাম জানা নাজানা অনেকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে আসা লুধুয়ার তোফায়েল হোসেন পাটোয়ারী জানায়, সেই পরিস্থিতি কাউকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব সয়। এক কথায় বলাযায় মৃত্যুকে যেনো কাছ থেকে দেখে আসলাম। মিলাদ, মাহফিল, দোয়া ও শোক সভার মাধ্যমে আজকের দিনটিকে স্বরণ করে রাখেন নিহতদের স্বজনেরা। নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মতলবের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল করা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

 লঞ্চ ডুবির ১৫ বছর পর মতলবে স্বজনদের কান্না আজও থামেনি

আপডেট টাইম ০১:২৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ বুধবার মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাবাসীর জন্য ভয়াল ১৯ ফেব্রুয়ারী। ২০০৫ সালের এই দিনে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মতলবগামী এম ভি মহারাজ লঞ্চটি কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা নামক স্থানে উল্টে নিমজ্জিত হয়। ভয়াল এ ট্রাজেডির ১৫ বছর পূরণ হল বুধবার। বছর শেষে এই দিনটি ফিরে এলে  মনে পরে যায় সেই ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারীর ভয়াল লঞ্চ দূর্ঘটনার কথা। যেদিন অনেকেই তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে।এ দূর্ঘটনায় লঞ্চে থাকা প্রায় দু’শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী-শিশু ও পুরুষ প্রাণ হারায়। লঞ্চটিতে মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার যাত্রী ছিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না থেমে নেই আজও। মতলববাসীর জন্যে আজকের দিনটি হচ্ছে শোকাবহ এক স্মরণীয় দিন।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ও ক্রিড়া সংগঠক মোহাম্মদ আলী, তার কন্যা মতলব কঁচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার, আইসিডিডিআরবির ডা. মো. মাসুম, দগরপুর গ্রামের প্রকৌশলী ফারুক দেওয়ান, মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির কর্মকর্তা ফরুক দেওয়ানসহ পরিবারবর্গ, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের মতলব উত্তর প্রতিনিধি বাবুল মুফতির শ্যালক নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু শিকদার, ঘাসিরচর গ্রামের আবু হানিফ, পাঠানচক গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, বাদল হোসেন, মধ্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু মুন্সি,  দার্গাপুর গ্রামের সুমন মিয়াসহ নাম জানা নাজানা অনেকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে আসা লুধুয়ার তোফায়েল হোসেন পাটোয়ারী জানায়, সেই পরিস্থিতি কাউকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব সয়। এক কথায় বলাযায় মৃত্যুকে যেনো কাছ থেকে দেখে আসলাম। মিলাদ, মাহফিল, দোয়া ও শোক সভার মাধ্যমে আজকের দিনটিকে স্বরণ করে রাখেন নিহতদের স্বজনেরা। নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মতলবের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল করা হয়।