ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু। টাঙ্গাইলে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তিন বাসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত। রাজধানীর জুরাইনে (,ডিএমপি,) ট্রাফিকের উদ্যোগে সাধারণ জনগণ,পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বরিশালে সাজানো মামলায় কারাবাস: ভুক্তভোগীর আক্ষেপ, বাদীর উল্লাস –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে কিশোর গ্যাংয়ের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গৃহবধুর আত্মহত্যা বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

কর না দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ: অর্থমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ   রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার জন্য এবছর কোনা অজুহাত শোনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল। সেইসঙ্গে বাজেটে ঘোষিত নির্দেশনার বাইরে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো খাতে কর ছাড় দেয়া যাবে না উল্লেখ করে, সামর্থ থাকার পরেও যারা কর দিচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এনবিআরকে নিদের্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে যোগ্য করে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে এনবিআরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এনবিআর বলছে, দেশে কর দেয় ৪৪ লাখ লোক, আমি ধরলাম এটা ৫০ লাখ। এনবিআরে চেয়ারম্যান নিজেই বলেছেন ৪ কোটি মানুষ আয়কর দেয়ার যোগ্যতা রাখে। তাহলে করদাতার সংখ্যা ৪ কোটি নয় কেন?

যারা কর ফাঁকি দেয় তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, কেন বাকিরা কর দিবে না? তাহলে আইন কেন রয়েছে? তাদের কেন ধরা হচ্ছে না? এটাতো বেআইনি কাজ। যখন কোন আইনের অপব্যবহার হয়, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা আয়কর দেবার উপযুক্ত কিন্তু দিচ্ছে না, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারাই ট্যাক্স পেমেন্ট করার ক্যাপাসিটি রাখে, তাদের ট্যাক্স নেটের আওতায় নিয়ে আসতে হবেই। কম বেশি যা হোক, কর দিতে হবে কোন ছাড় হবে না। অন্যান্য এলাকায়ও আমরা ছাড়ের পরিমান কম দিব। যেখানে সাধারণ মানুষের উপকার হয়, সেখানে আমরা বেশি বেশি ছাড় দিব। সেটা করতে আমরা রাজি।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের যারা ধনী লোক আছে, তারা এগিয়ে আসে না। এটা খুব খারাপ। তারা বিদেশে গিয়ে যে পরিমাণ শপিং একদিনে করে এর ১০ ভাগের ১ ভাগ ট্যাক্স হিসেবে প্রতিবছর দেয় তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও অনেক মজবুত হতো। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিরো টলারেন্স। আইন করেছি আইনের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আইনের অবমাননা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর হবো।

এনবিআরকে উদ্দেশ্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রয়োজনে ১ লাখ জনবল দিব। তারা বাড়িতে বাড়িতে যাবে, যারা আয়কর দেয়ার উপযুক্ত কিন্তু দিচ্ছে না তাদের সনাক্ত করবে।

বাজেট বইতে যেভাবে আছে সেভাবেই রাজস্ব আহরণ হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা বাজেট দিয়েছি। এখন আর কোন এসআরও (প্রজ্ঞাপন) ইস্যু নয়। আমাদের রেভিনিউ সংগ্রহ করতে হবে। এটা বাড়াতে হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠানটির আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের সদস্য ও কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ভোটের গনসংযোগ শেষে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু।

কর না দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ: অর্থমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৯:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ   রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার জন্য এবছর কোনা অজুহাত শোনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল। সেইসঙ্গে বাজেটে ঘোষিত নির্দেশনার বাইরে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো খাতে কর ছাড় দেয়া যাবে না উল্লেখ করে, সামর্থ থাকার পরেও যারা কর দিচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এনবিআরকে নিদের্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে যোগ্য করে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে এনবিআরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এনবিআর বলছে, দেশে কর দেয় ৪৪ লাখ লোক, আমি ধরলাম এটা ৫০ লাখ। এনবিআরে চেয়ারম্যান নিজেই বলেছেন ৪ কোটি মানুষ আয়কর দেয়ার যোগ্যতা রাখে। তাহলে করদাতার সংখ্যা ৪ কোটি নয় কেন?

যারা কর ফাঁকি দেয় তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, কেন বাকিরা কর দিবে না? তাহলে আইন কেন রয়েছে? তাদের কেন ধরা হচ্ছে না? এটাতো বেআইনি কাজ। যখন কোন আইনের অপব্যবহার হয়, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা আয়কর দেবার উপযুক্ত কিন্তু দিচ্ছে না, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারাই ট্যাক্স পেমেন্ট করার ক্যাপাসিটি রাখে, তাদের ট্যাক্স নেটের আওতায় নিয়ে আসতে হবেই। কম বেশি যা হোক, কর দিতে হবে কোন ছাড় হবে না। অন্যান্য এলাকায়ও আমরা ছাড়ের পরিমান কম দিব। যেখানে সাধারণ মানুষের উপকার হয়, সেখানে আমরা বেশি বেশি ছাড় দিব। সেটা করতে আমরা রাজি।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের যারা ধনী লোক আছে, তারা এগিয়ে আসে না। এটা খুব খারাপ। তারা বিদেশে গিয়ে যে পরিমাণ শপিং একদিনে করে এর ১০ ভাগের ১ ভাগ ট্যাক্স হিসেবে প্রতিবছর দেয় তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও অনেক মজবুত হতো। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিরো টলারেন্স। আইন করেছি আইনের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আইনের অবমাননা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর হবো।

এনবিআরকে উদ্দেশ্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রয়োজনে ১ লাখ জনবল দিব। তারা বাড়িতে বাড়িতে যাবে, যারা আয়কর দেয়ার উপযুক্ত কিন্তু দিচ্ছে না তাদের সনাক্ত করবে।

বাজেট বইতে যেভাবে আছে সেভাবেই রাজস্ব আহরণ হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা বাজেট দিয়েছি। এখন আর কোন এসআরও (প্রজ্ঞাপন) ইস্যু নয়। আমাদের রেভিনিউ সংগ্রহ করতে হবে। এটা বাড়াতে হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠানটির আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের সদস্য ও কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।