মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ মাদক আইনে দায়ের মামলায় রিমান্ড শেষে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল আলম ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন: নিরাপদ পানি নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার
আরো পড়ুন: সাহিত্যে নোবেল পেলেন দুজন
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে র্যাব। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-২ এর উপপরিদর্শক জসীম উদ্দীন তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে আদালত কারাবিধি অনুসারে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
এর আগে অস্ত্র ও মাদক আইনে হওয়া দুটি পৃথক মামলায় ফিরোজের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তার। ২১ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় শফিকুল আলম ফিরোজের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ঐদিন সকালে র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে।
২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। ওইদিনই সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো গন্ধ নেই। এটা নতুন আবিষ্কার।