ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সোমবার বলেছে, তারা সংখ্যালুঘু রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন চালানোর প্রমাণ পেয়েছে। খবর এএফপি’র।
মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘে বৈঠক চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তহবিল দেয়ার ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মানবাধিকার গ্রুপের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ প্রতিবেদন তৈরী করলেও এ ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরী করতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রাপ্ত বয়স্ক এক হাজার ২৪ রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
এ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা গণহত্যার বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়ভাবে গণহত্যা বা জাতি নিধন শব্দের ব্যবহার এড়িয়ে চলা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গার অধিকাংশ মুসলিম। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের বসবাস। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশে অনেকে রোহিঙ্গাদের অবজ্ঞা করে এবং তাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতা ছিলো চরম ও বৃহৎ পরিসরে।’
এতে আরো বলা হয়, সামরিক বাহিনীর অভিযানের ধরন ও পরিসর দেখে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, তারা অনেক সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে এ অভিযান চালায়।
অনেক এলাকায় অপরাধীরা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ কিছু কৌশলের আশ্রয় নেয়। তাদের এসব কৌশলের মধ্যে ছিল ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ এবং রোহিঙ্গাদের বহন করা নৌকা ডুবিয়ে দেয়া।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম ১০:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র সোমবার বলেছে, তারা সংখ্যালুঘু রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন চালানোর প্রমাণ পেয়েছে। খবর এএফপি’র।
মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘে বৈঠক চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তহবিল দেয়ার ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মানবাধিকার গ্রুপের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ প্রতিবেদন তৈরী করলেও এ ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরী করতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রাপ্ত বয়স্ক এক হাজার ২৪ রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
এ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা গণহত্যার বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়ভাবে গণহত্যা বা জাতি নিধন শব্দের ব্যবহার এড়িয়ে চলা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গার অধিকাংশ মুসলিম। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের বসবাস। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশে অনেকে রোহিঙ্গাদের অবজ্ঞা করে এবং তাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতা ছিলো চরম ও বৃহৎ পরিসরে।’
এতে আরো বলা হয়, সামরিক বাহিনীর অভিযানের ধরন ও পরিসর দেখে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, তারা অনেক সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে এ অভিযান চালায়।
অনেক এলাকায় অপরাধীরা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ কিছু কৌশলের আশ্রয় নেয়। তাদের এসব কৌশলের মধ্যে ছিল ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ এবং রোহিঙ্গাদের বহন করা নৌকা ডুবিয়ে দেয়া।