মোহাম্মদ রফিক, কুুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার খোকসায় পাপিয়া খাতুন নামে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছেন। ওই উপজেলার হিলালপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর থেকে নববধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি, খোকসা সরকারি ডিগি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী পাপিয়া খাতুনের সঙ্গে একই কলেজের শামীম রেজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাত্রীর বাবার বাড়ি উপজেলার হিলালপুর গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ছেলের পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে নববধূকে তার বাবার বাড়িতে রেখে শামীম নিজের বাড়ি ফিরে যান।
গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী শামীম ফিরে না আসায় এ নিয়ে নবদম্পতির মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাতেই নববধূ তার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন পাপিয়ার কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত নববধূর বাবা ওমর আলী জানান, পাপিয়াকে রেখে জামাই শামীম রেজা পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। এতে অভিমান করে পাপিয়া আত্মহত্যা করেছে।