ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪জনের কারাদণ্ড গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক: মেয়র রেজাউল টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ১০টন পলিথিন জব্দ দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়: মির্জা আজম “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: লোহাগাড়া সমিতি চট্টগ্রাম’র নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন : এটর্নি জেনারেল

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বিদেশে বসে যে বই লিখেছেন, তাতে দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
দুর্নীতিসহ ১১টি অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সদ্য একটি বই প্রকাশিত হয়। ওই বইয়ের আলোকে বিচারপতি এস কে সিনহার বিভিন্ন বক্তব্য গনমাধ্যমেও প্রকাশ পায়।
এ বইয়ের বিষয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিচারপতি সিনহা যা করছেন, এটা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নিজেই নষ্ট করছেন। তিনি বলেন, বিচারপতি এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকার সময় তার সঙ্গে যারা বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন তাদের সম্পর্কে কোনরকম কূট মন্তব্য করা বা নানা রকম বাজে কথা বলা খুবই অগ্রহণযোগ্য এবং এই কাজটা করে তিনি বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।
মাহবুবে আলম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনেক বিচারপতি কাজ করে গেছেন। তাদের কেউ তো সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি! তিনি (বিচারপতি এস কে সিনহা) তো স্পষ্ট করেননি, কেন তার সঙ্গে তার সহকারী বিচারপতিরা একসঙ্গে বসতে (আপিল বেঞ্চে) চাননি।
মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা সে সময় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে কেন বসতে চাননি- তা প্রকাশ পেলে আরও দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি আরও নষ্ট হবে।
বিচারপতি এস কে সিনহার প্রকাশিত বইয়ে আদালত অবমাননার মত কোনো উপাদান আছে কিনা এ বিষয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, বইটিতে যদি কোন বর্তমান বিচারপতি সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়ে থাকে এবং তারা (বিচারপতিরা) যদি মনে করেন তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মাহবুবে আলম বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা হল, বিচারপতি সিনহা যা করছেন এটা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উনি নিজেই নষ্ট করছেন।”
বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ ওঠার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।তখন বলা হয়, ওইসব অভিযোগের কারণে আপিল বিভাগের অন্য বিচারকরা আর সঙ্গে বসে মামলা নিষ্পত্তিতে রাজি নন। মাহবুবে আলম বলেন, “আমরা যা জেনেছি কাগজ পড়ে জেনেছি। কোনো বিচারপতির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলিনি। উনার সঙ্গে অন্য বিচারপতি সহকর্মীরা বসতে অস্বীকৃতি দেখিয়েছেন। আমার মনে হয় না, এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর কোথাও ঘটেছে।”
বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন বিচারপতি এস কে সিনহা। তার বই পাওয়া যাচ্ছে বেচাকেনার অনলাইন প্লাটফর্ম আমাজনে। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪জনের কারাদণ্ড

সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন : এটর্নি জেনারেল

আপডেট টাইম ০১:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বিদেশে বসে যে বই লিখেছেন, তাতে দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
দুর্নীতিসহ ১১টি অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সদ্য একটি বই প্রকাশিত হয়। ওই বইয়ের আলোকে বিচারপতি এস কে সিনহার বিভিন্ন বক্তব্য গনমাধ্যমেও প্রকাশ পায়।
এ বইয়ের বিষয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিচারপতি সিনহা যা করছেন, এটা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নিজেই নষ্ট করছেন। তিনি বলেন, বিচারপতি এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকার সময় তার সঙ্গে যারা বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন তাদের সম্পর্কে কোনরকম কূট মন্তব্য করা বা নানা রকম বাজে কথা বলা খুবই অগ্রহণযোগ্য এবং এই কাজটা করে তিনি বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।
মাহবুবে আলম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনেক বিচারপতি কাজ করে গেছেন। তাদের কেউ তো সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি! তিনি (বিচারপতি এস কে সিনহা) তো স্পষ্ট করেননি, কেন তার সঙ্গে তার সহকারী বিচারপতিরা একসঙ্গে বসতে (আপিল বেঞ্চে) চাননি।
মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা সে সময় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে কেন বসতে চাননি- তা প্রকাশ পেলে আরও দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি আরও নষ্ট হবে।
বিচারপতি এস কে সিনহার প্রকাশিত বইয়ে আদালত অবমাননার মত কোনো উপাদান আছে কিনা এ বিষয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, বইটিতে যদি কোন বর্তমান বিচারপতি সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়ে থাকে এবং তারা (বিচারপতিরা) যদি মনে করেন তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মাহবুবে আলম বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা হল, বিচারপতি সিনহা যা করছেন এটা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উনি নিজেই নষ্ট করছেন।”
বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ ওঠার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।তখন বলা হয়, ওইসব অভিযোগের কারণে আপিল বিভাগের অন্য বিচারকরা আর সঙ্গে বসে মামলা নিষ্পত্তিতে রাজি নন। মাহবুবে আলম বলেন, “আমরা যা জেনেছি কাগজ পড়ে জেনেছি। কোনো বিচারপতির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলিনি। উনার সঙ্গে অন্য বিচারপতি সহকর্মীরা বসতে অস্বীকৃতি দেখিয়েছেন। আমার মনে হয় না, এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর কোথাও ঘটেছে।”
বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন বিচারপতি এস কে সিনহা। তার বই পাওয়া যাচ্ছে বেচাকেনার অনলাইন প্লাটফর্ম আমাজনে। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।