মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কারণে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন। অন্য দুইজন হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন : মতিঝিলে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং বুথ চালু
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৮ সমঝোতা স্মারক
এর আগে সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আরও অনেকে জামিনের আবেদন করেন।
বাদীপক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের এ আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। এরপর বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় এই তিনজন ছাড়াও আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠান বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা।
চিঠিতে বলা হয় ‘বাদী একজন মামলাবাজ। তিনি শেখ হাসিনার দাপটে খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছেন বাদী।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আইএসের কাছে এ বিষয়ে লেখা হয়েছে। কাজেই এ বি সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।’
আরজিতে আরও বলা হয়, ‘এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান বাদী এ বি সিদ্দিকীকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে এইবার বাদী বাঁচতে পারবেন না বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়।’
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘এ ধরনের চিঠি পেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন। তারপরও হুমকি পেয়ে তিনি মামলা করলেন। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।’