ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুলপি মালাই বিক্রয় করে সাবলম্বী বাবুল হোসেন

মো: শহিদুল ইসলাম,কোটচাঁদপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:বাবুল হোসেন কুলপি মালাই বিক্রেতা।সদাহাস্যেৎজ্বল, চোঁখেমুখে আনন্দের ফল্গুধারা, দেখে বুঝার উপায় নেই বাবুল হোসেন একজন হত দরিদ্র কলপি মালাই বিক্রেতা।বাছের শেখ এর ৫ পুত্র সন্তান।বাবুল হোসেন তাদের একজন। অভাবী সংসার কিন্তু সুখের কমতি ছিলো না। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বাবুল হোসেনের পৈতিক ভিটা।দিনমজুর করে তাদের সংসার চলতো।সংসারের অভাব আর দিনমজুরের কাজ তা ভাল লাগতো না বাবুল হোসেনের। মনে মনে সব সময় নিজের স্বাধীন ভাবে কাজ করা তার বাসনা ছিল।হঠাৎ একদিন তার ফুপাতো বুনাই মফিজুর এর কথোপকথনে ফেরি করে কুলপি মালাই এর ব্যবসায়ী কাজে লেগে পড়েন।জীবিকার সন্ধানে চলে আসেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে।বিয়ে করেন পৌর শহরের রুদ্রপুর গ্রামে পলি খাতুনকে।সুখের সংসারে বাবুল হোসেন ও পলি খাতুনের দাম্পত্য জীবনের কোলজুঁড়ে আসে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে।বাবুল হোসেন জানায় কুলপি মালাই বিক্রয় করে প্রতিদিন ৫/৬ শত টাকা তাঁর আয়। এই কুলপি মালাই বিক্রয় করে তার সংসারের ভরনপোষণ শেষে রুদ্রপুর গ্রামে প্রায় ৪ শতক জমি ক্রয় করে বাবুল হোসেন বসতভিটা বানিয়ে সেখানে পরিবার নিয়ে আনন্দে দিনযাপন করছেন।ইতিমধ্যে বড় ছেলে কে বিবাহ দিয়েছেন। ১ছেলে তামিম ও ১ মেয়ে তানিয়া লেখাপড়ায় ব্যস্ত। বাবুলের স্বপ্ন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাবেন।তাঁরা চাকুরী করবেন। অনেক স্বপ্ন দেখেন বাবুল হোসেন তাঁর সন্তানদের নিয়ে।কুলপি মালাই বিক্রয় করে বাবুল হোসেন প্রতিমাসে ১৫ – ১৮ হাজার টাকা আয় করেন। দৈনন্দিন অভাবের সেই সংসারে এখন সুখের ঢেউ। দুধ, চিনি আর হালকা কনফিলোয়ার তৈরি করে ১ টা কলপি মালাইয়ে ২-৩ টাকা খরচ হয়। সেখানে কুলপি মালাই প্রতি বিক্রয় করেন ৫/ ১০/২০/২৫ / ৩০ টাকা হারে । তবে মাঝে মাঝে দুধের দাম বেশি হলে বা বর্ষাকালে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। সব মিলিয় বাবুল হোসেন জানালেন, সৎ ও হালাল রিজিক আর পরিশ্রমে সে এই কুলপি মালাই বিক্রয় ২০ বছরের সংসার জীবনে খুব ভাল আছেন এবং বাকী জীবনটা সুস্হ শরীরে এই ব্যবসা করে কাটাতে চান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

কুলপি মালাই বিক্রয় করে সাবলম্বী বাবুল হোসেন

আপডেট টাইম ০৪:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

মো: শহিদুল ইসলাম,কোটচাঁদপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:বাবুল হোসেন কুলপি মালাই বিক্রেতা।সদাহাস্যেৎজ্বল, চোঁখেমুখে আনন্দের ফল্গুধারা, দেখে বুঝার উপায় নেই বাবুল হোসেন একজন হত দরিদ্র কলপি মালাই বিক্রেতা।বাছের শেখ এর ৫ পুত্র সন্তান।বাবুল হোসেন তাদের একজন। অভাবী সংসার কিন্তু সুখের কমতি ছিলো না। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বাবুল হোসেনের পৈতিক ভিটা।দিনমজুর করে তাদের সংসার চলতো।সংসারের অভাব আর দিনমজুরের কাজ তা ভাল লাগতো না বাবুল হোসেনের। মনে মনে সব সময় নিজের স্বাধীন ভাবে কাজ করা তার বাসনা ছিল।হঠাৎ একদিন তার ফুপাতো বুনাই মফিজুর এর কথোপকথনে ফেরি করে কুলপি মালাই এর ব্যবসায়ী কাজে লেগে পড়েন।জীবিকার সন্ধানে চলে আসেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে।বিয়ে করেন পৌর শহরের রুদ্রপুর গ্রামে পলি খাতুনকে।সুখের সংসারে বাবুল হোসেন ও পলি খাতুনের দাম্পত্য জীবনের কোলজুঁড়ে আসে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে।বাবুল হোসেন জানায় কুলপি মালাই বিক্রয় করে প্রতিদিন ৫/৬ শত টাকা তাঁর আয়। এই কুলপি মালাই বিক্রয় করে তার সংসারের ভরনপোষণ শেষে রুদ্রপুর গ্রামে প্রায় ৪ শতক জমি ক্রয় করে বাবুল হোসেন বসতভিটা বানিয়ে সেখানে পরিবার নিয়ে আনন্দে দিনযাপন করছেন।ইতিমধ্যে বড় ছেলে কে বিবাহ দিয়েছেন। ১ছেলে তামিম ও ১ মেয়ে তানিয়া লেখাপড়ায় ব্যস্ত। বাবুলের স্বপ্ন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাবেন।তাঁরা চাকুরী করবেন। অনেক স্বপ্ন দেখেন বাবুল হোসেন তাঁর সন্তানদের নিয়ে।কুলপি মালাই বিক্রয় করে বাবুল হোসেন প্রতিমাসে ১৫ – ১৮ হাজার টাকা আয় করেন। দৈনন্দিন অভাবের সেই সংসারে এখন সুখের ঢেউ। দুধ, চিনি আর হালকা কনফিলোয়ার তৈরি করে ১ টা কলপি মালাইয়ে ২-৩ টাকা খরচ হয়। সেখানে কুলপি মালাই প্রতি বিক্রয় করেন ৫/ ১০/২০/২৫ / ৩০ টাকা হারে । তবে মাঝে মাঝে দুধের দাম বেশি হলে বা বর্ষাকালে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। সব মিলিয় বাবুল হোসেন জানালেন, সৎ ও হালাল রিজিক আর পরিশ্রমে সে এই কুলপি মালাই বিক্রয় ২০ বছরের সংসার জীবনে খুব ভাল আছেন এবং বাকী জীবনটা সুস্হ শরীরে এই ব্যবসা করে কাটাতে চান।