ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৯ বার পেছালো

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আবারও পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। এ‌ নি‌য়ে প্রতি‌বেদনটি দা‌খি‌লের তা‌রিখ ৬৯ বারের ম‌তো পেছানো হলো। আজ বৃহস্প‌তিবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ত‌বে, এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম। তাই, ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ৩০ ডি‌সেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

আরো পড়ুন: গাজায় টানা দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩২

গত ১১ ন‌ভেম্বর হাইকোর্ট চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ ক‌রে‌ছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল আলম সে‌দিন আদালত‌কে জানান, তদন্তে কোনো ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দু’টি মিলেছে। এ দু’টিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই’র ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন-রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)। সেই থেকে সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনাটি ধোঁয়াশাতেই রয়ে গেছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৯ বার পেছালো

আপডেট টাইম ০১:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আবারও পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। এ‌ নি‌য়ে প্রতি‌বেদনটি দা‌খি‌লের তা‌রিখ ৬৯ বারের ম‌তো পেছানো হলো। আজ বৃহস্প‌তিবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ত‌বে, এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম। তাই, ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ৩০ ডি‌সেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

আরো পড়ুন: গাজায় টানা দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩২

গত ১১ ন‌ভেম্বর হাইকোর্ট চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ ক‌রে‌ছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল আলম সে‌দিন আদালত‌কে জানান, তদন্তে কোনো ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দু’টি মিলেছে। এ দু’টিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই’র ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন-রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)। সেই থেকে সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনাটি ধোঁয়াশাতেই রয়ে গেছে।