ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

শীতে কীভাবে নিবেন শিশুর যত্ন?

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ডেস্ক :   ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়াও পরিবর্তন হয়। শরীর এক আবহাওয়ার সাথে কাটিয়ে নতুন আবহাওয়ায় সাথে তাল মিলাতে কিছুটা সময় নেয়। ঠিক এ সময় সবাই কিছুটা অসুস্থ অনুভব করে। স্বাভাবিক ভাবে শিশুদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়।

তাই শিশুরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই শীতে ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি লাগাটা স্বাভাবিক। তবে কখনো কখনো এ ঠাণ্ডা নিউমনিয়ায় পরিনত হতে পারে। এমনিতেই শিশুর প্রতি আলাদা যত্ন নিতে হয়। কিন্তু শীত এলে তার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিতে হয়। আসুন জেনে নেই এ শীতে শিশুর যত্ন নিতে আমাদের করনীয়-

গোসল: শিশুর শরীরের তেল ও ময়লা ধুয়ে ফেলতে গোসল করানো জরুরী। গোসল করানোর সময় সুগন্ধিবিহীন বাচ্চাদের সাবান ব্যবহার করুন।

তবে শীতে বাচ্চাদের শরীরে বড়দের সাবান লাগাবেন না। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শিশুর গোসলের জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নিবেন না। গোসল শেষে দ্রুত শরীর ও মাথা ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে।

ময়েশ্চারাইজ: শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে সব থেকে বেশি জরুরী ময়েশ্চারাইজার। শিশুকে গোসল করানোর পর কোমল তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছিয়ে মশ্চারাইজার লাগান। তবে কোন ক্রিম বা লোশনের চেয়ে অলিভ অয়েল ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল ভালো হবে।

ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন: অধিকাংশ সময় ভেজা শরীর থেকেই ঠাণ্ডা, কাশি লাগে। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে শিশু যেন ভেজা শরীরে না থাকে। তাই আদ্রতা থেকে শিশুর ত্বক বাঁচাতে ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন করুন। ভেজা ডায়পার যতবেশি আপনার শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে থাকবে ত্বকে ততবেশি বুটি ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই শিশুর ডায়পার ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ পড়িয়ে রাখবে না।

সুতি কাপড় ব্যবহার: শিশুদের শীতে গরম কাপড় পাড়ানো জন্য আমরা ব্যস্ত হয়ে পরি। অথচ দুধ খাওয়ার সময় শিশুদের শরীর স্বভাবিকের চেয়ে বেশি গরম থাকে।তাই শিশুর শরীরে বাতাস চলাচল করা জন্য সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।

পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার: শিশুদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। গোসলের পর সামান্য পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি হাতে নিয়ে হালকা করে শিশুর ত্বকে লাগিয়ে দিন।

অ্যালোভেরা জেল: শিশুর ত্বক শীতে সুরক্ষা দিতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা কাণ্ড ভেঙ্গে সেখান থেকে জেল নিয়ে ত্বকের শুষ্ক জায়গায় লাগিয়ে দেখুন ত্বক নরম ও কোমল থাকবে।

গরম পানি পান: শুষ্ক শীতের সময়ে পানি কম পান করা হয়। অথচ গরমের সময়ের মতো শীতের সময়ও বেশি পানি পান করা উচিত। তাই শিশুকে ঠাণ্ডা পানি পা না করিয়ে। কুসুম গরম পানি পান করান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

শীতে কীভাবে নিবেন শিশুর যত্ন?

আপডেট টাইম ০১:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

স্বাস্থ্য ডেস্ক :   ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়াও পরিবর্তন হয়। শরীর এক আবহাওয়ার সাথে কাটিয়ে নতুন আবহাওয়ায় সাথে তাল মিলাতে কিছুটা সময় নেয়। ঠিক এ সময় সবাই কিছুটা অসুস্থ অনুভব করে। স্বাভাবিক ভাবে শিশুদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়।

তাই শিশুরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই শীতে ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি লাগাটা স্বাভাবিক। তবে কখনো কখনো এ ঠাণ্ডা নিউমনিয়ায় পরিনত হতে পারে। এমনিতেই শিশুর প্রতি আলাদা যত্ন নিতে হয়। কিন্তু শীত এলে তার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিতে হয়। আসুন জেনে নেই এ শীতে শিশুর যত্ন নিতে আমাদের করনীয়-

গোসল: শিশুর শরীরের তেল ও ময়লা ধুয়ে ফেলতে গোসল করানো জরুরী। গোসল করানোর সময় সুগন্ধিবিহীন বাচ্চাদের সাবান ব্যবহার করুন।

তবে শীতে বাচ্চাদের শরীরে বড়দের সাবান লাগাবেন না। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শিশুর গোসলের জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নিবেন না। গোসল শেষে দ্রুত শরীর ও মাথা ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে।

ময়েশ্চারাইজ: শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে সব থেকে বেশি জরুরী ময়েশ্চারাইজার। শিশুকে গোসল করানোর পর কোমল তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছিয়ে মশ্চারাইজার লাগান। তবে কোন ক্রিম বা লোশনের চেয়ে অলিভ অয়েল ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল ভালো হবে।

ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন: অধিকাংশ সময় ভেজা শরীর থেকেই ঠাণ্ডা, কাশি লাগে। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে শিশু যেন ভেজা শরীরে না থাকে। তাই আদ্রতা থেকে শিশুর ত্বক বাঁচাতে ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন করুন। ভেজা ডায়পার যতবেশি আপনার শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে থাকবে ত্বকে ততবেশি বুটি ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই শিশুর ডায়পার ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ পড়িয়ে রাখবে না।

সুতি কাপড় ব্যবহার: শিশুদের শীতে গরম কাপড় পাড়ানো জন্য আমরা ব্যস্ত হয়ে পরি। অথচ দুধ খাওয়ার সময় শিশুদের শরীর স্বভাবিকের চেয়ে বেশি গরম থাকে।তাই শিশুর শরীরে বাতাস চলাচল করা জন্য সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।

পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার: শিশুদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। গোসলের পর সামান্য পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি হাতে নিয়ে হালকা করে শিশুর ত্বকে লাগিয়ে দিন।

অ্যালোভেরা জেল: শিশুর ত্বক শীতে সুরক্ষা দিতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা কাণ্ড ভেঙ্গে সেখান থেকে জেল নিয়ে ত্বকের শুষ্ক জায়গায় লাগিয়ে দেখুন ত্বক নরম ও কোমল থাকবে।

গরম পানি পান: শুষ্ক শীতের সময়ে পানি কম পান করা হয়। অথচ গরমের সময়ের মতো শীতের সময়ও বেশি পানি পান করা উচিত। তাই শিশুকে ঠাণ্ডা পানি পা না করিয়ে। কুসুম গরম পানি পান করান।