আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সাংবাদিক সংস্থা’র উদ্যোগে আজ বুধবার লক্ষ্মীপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রসাসক অন্ঞ্জন চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিকাল ৪ টার দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাধিক সংস্থার লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার কার্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা ও নতুন জেলা কমিটিদের পরিচয় পত্র বিতরণ করা হয়।
এ সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাধিক সংস্থা লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়নের প্রধান উপ পরিচালক আবু জাফর, লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম তপন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা, সাংবাদিক সংস্থার জেলা শাখার নব্য সাধারণ সম্পাদক কাজী নাঈম উদ্দিন, দালাল বাজার ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যাপক আজিজুর রমান আযম, বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, অর্থ সম্পাদক মুনায়েম হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ডা:আ ন ম বাহার উদ্দিন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মঞ্জুর আলম চৌধুরী, মহিলা ও শিশু সম্পাদক আলেয়া বেগমসহ আমন্ত্রিত মেহমানবৃন্দ। সভায় দেশে গুম, খুন,বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও রাজনৈতিক সহিংসুতাসহ সাম্প্রদায়িক হামলা-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়। অপর দিকে আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন, সিরিয়া যুদ্ধ বন্ধের আহবান ও কাশমির নাগরিদের ভারতীয় আগ্রাসান থেকে মুক্তি, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকতা দিয়ে পূনর্বাসন নিশ্চিত দাবি জানানো হয়।১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হলেও বিচার বঞ্চিত হচ্ছে বহু মানুষ। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ বিচারের বাণী যেন নিরবে নিভৃতে কাঁদছে।
অন্যদিকে বিনাবিচারে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ বছর জেলে বন্দি ডেসটিনির ৪৫ লাখ পরিবারের বিশ্বস্ততার প্রতীক এবং আস্থাভাজন ডেসটিনি- 2000 লিমিটেডের এমডি ও দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক এবং বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল আমিন। রফিকুল আমিন শুধু একজন ব্যবসায়ী নয়, তিনি দু’টি মিডিয়ার কর্ণধার। তার প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ চাকরি করে জীবন জীবিকা নির্ভর করতো। কিন্তু, দীর্ঘ আট বছর ডেসটিনির কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ বেকার হয়ে পড়েছে। তারা মানবতার জীবন যাপন করছে। অথচ ডেসটিনির ক্রেতা-পরিবেশক বিনিয়োগকারীদের যেখানে কোনো অভিযোগ নেই, সেখানে দুদকের মিথ্যা মামলায় ডেসটিনির বন্দি হয়ে রয়েছে দীর্ঘ আট বছর। কিছু হলুদ মিডিয়ার মিথ্যা সংবাদ আর দুদকের তদন্ত বিহীন মামলার জালে বন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ডেসটিনির ৪৫ লাখ পরিবার। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। শেষ হচ্ছে না ডেসটিনির বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলা দুটি।
এতে গত ৮ বছর ডেসটিনির অবরুদ্ধ অর্ধ শিক্ষিত ডেসটিনির ২৫ লাখ যুবক আজ বেকার। আর ১৩ লাখ নারী হয়ে পড়েছে কর্মহীন। বেকারত্ব জীবন যে কত কঠিন বা কষ্টের তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে চলেছে বিচার বঞ্চিত ডেসটিনির ৪৫ লাখ পরিবার।বাংলাদেশের মানুষ হ য ব র ল চাইনা তারা শান্তি চাই,তাই মানবাধিকার যেন লঙ্গন না হয় সে দিকে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।