ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

মুজিববর্ষে বাড়ি পাবে ৬৮ হাজার দরিদ্র পরিবার

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের হত দরিদ্র ৬৮ হাজার ৩৮টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিবে সরকার। চলতি ও আগামি অর্থবছরে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দুই বছরে বরাদ্দ প্রয়োজন ২ হাজার ৪০ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮০ টাকা। যেখানে প্রতিটি বাড়িতে খরচ হবে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার পরিবারকে নতুন এ বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে নির্মাণ ও হস্তান্তর করা হবে।

আরো পড়ুন:  একনেক সভায় ৮ প্রকল্প অনুমোদন

চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ খাতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এ প্রস্তাবে বলা হয়, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সচিব বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থ দিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, এর ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি গ্রামে গৃহহীনদের মধ্য থেকে একটি পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দেয়া হবে। তাই ৬৮ হাজার ৩৮টি বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সভায় অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) বলেন, বাংলাদেশে অতি দরিদ্রতার হার যখন ক্রমশ নিম্নমুখী তখন ভিজিএফের সাহায্য ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী করবে এবং আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি (২০১৯-২০) এর সংশোধিত বাজেটে ভিজিএফের অব্যয়িত অর্থ থেকে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় অর্থ সংকুলান রেখে অবশিষ্ট অর্থ মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিতব্য বাড়িতে স্থানান্তর করার বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। উপস্থিত সব অনুবিভাগ প্রধান এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিবের (ত্রাণ) সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে পরিচালন/বিশেষ কার্যক্রম হতে উন্নয়ন ব্যয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রতিটি বাড়ি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা হিসাবে মোট ৮৯৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

মুজিববর্ষে বাড়ি পাবে ৬৮ হাজার দরিদ্র পরিবার

আপডেট টাইম ১২:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের হত দরিদ্র ৬৮ হাজার ৩৮টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিবে সরকার। চলতি ও আগামি অর্থবছরে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দুই বছরে বরাদ্দ প্রয়োজন ২ হাজার ৪০ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮০ টাকা। যেখানে প্রতিটি বাড়িতে খরচ হবে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার পরিবারকে নতুন এ বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে নির্মাণ ও হস্তান্তর করা হবে।

আরো পড়ুন:  একনেক সভায় ৮ প্রকল্প অনুমোদন

চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ খাতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এ প্রস্তাবে বলা হয়, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সচিব বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থ দিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, এর ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি গ্রামে গৃহহীনদের মধ্য থেকে একটি পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দেয়া হবে। তাই ৬৮ হাজার ৩৮টি বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সভায় অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) বলেন, বাংলাদেশে অতি দরিদ্রতার হার যখন ক্রমশ নিম্নমুখী তখন ভিজিএফের সাহায্য ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী করবে এবং আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি (২০১৯-২০) এর সংশোধিত বাজেটে ভিজিএফের অব্যয়িত অর্থ থেকে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় অর্থ সংকুলান রেখে অবশিষ্ট অর্থ মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিতব্য বাড়িতে স্থানান্তর করার বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। উপস্থিত সব অনুবিভাগ প্রধান এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিবের (ত্রাণ) সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে পরিচালন/বিশেষ কার্যক্রম হতে উন্নয়ন ব্যয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রতিটি বাড়ি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা হিসাবে মোট ৮৯৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।