নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: কোথাও তুহিন বন্ড, আবার কোথাও চাপাতি তুহিন নামে পরিচিত। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মতে, সে দূর্র্ধষ সন্ত্রাসী। রয়েছে তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা। কতই বা বয়স? এত কম বয়সে কি ভাবে হয়ে উঠলো চাপাতি তুহিন?
দেওভোগ শান্তিনগর এলাকার কাওসার হোসেনের ছেলে তুহিন। বেড়ে উঠেছে এ শহরেই। এক সময় হয়ে যান দেওভোগ এলাকার সন্ত্রাসী হাসান বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শহীদ নগরের র্যাব-১১ এর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ২০ মামলার আসামী ওই হাসান।
আরো পড়ুন : আড়াইহাজারে এসপি হারুন ‘আমার প্রিয় নেতা বাবু সাহেব’
হাসানের মৃত্যুর পর বয়স অল্প হলেও ওই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তুহিনের অধিনে। ধীরে ধীরে আমবাগান, বাংলাবাজার, পশ্চিম দেওভোগ মাদরাসা রোড, হাসেম বাগসহ আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রনে নেন। এলাকা গুলোতে ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে তার বিরুদ্ধে ছিলো হত্যা, মারধরের অভিযোগ। এছাড়া ছিনতাই, ইভ টিজিং, মাদক ব্যবসা, মেয়েদের উত্যক্ত করার মতো ঘটনা তার প্রতিদিনের কাজ।
এ বাহিনীতে তুহিনের সহযোগী ছিলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুলের (আজিজুল সার্জেন্ট) শ্যালক নিক্সন, চান্দু, পাভেল, মাইকেল, ডেবিট, বুলেট, হিটলার ও অমি।
এ বছরের ২৭ জুলাই রাতে দেওভোগ হাশেম নগর এলাকায় শাকিল হত্যা হয়। এরপর নিহতের ভাই বাদি হয়ে ফতুল্লা থানায় তুহিনকে প্রধান করে নিক্সন, চান্দুসহ অজ্ঞাত ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলো তুহিনসহ বাহিনীর অন্যান্যরা। এরই মধ্যে বাহিনীটির সদস্য চান্দু ও বুলেটকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অধরা থেকে যায় তুহিন। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি।
১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে তুহিনকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার গভীর রাতে নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করতে যায় র্যাব।
এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তুহিনের সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঙে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় তুহিন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।