ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

ভারতের বিপক্ষে ডাক পেয়েছেন খেলতে না চাওয়া রশিদ!

টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না এমনটা বলেননি কখনো আদিল রশিদ। এই তো ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পরও বলেছেন, সাদা বলের ক্রিকেটে সব মনোযোগ থাকলেও টেস্ট খেলার আগ্রহ আছে তাঁর। ইচ্ছা প্রকাশ করেই নির্বাচকদের মন গলিয়ে ফেলেছেন রশিদ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে ডাক পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার।
ভারতীয় দুই লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব ওয়ানডেতে বড্ড ভুগিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। সেখানে স্বাগতিক দলের হয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রশিদ। এতেই হয়তো নির্বাচকদের মনে হয়েছে, টেস্টেও আদিল থাকলে মন্দ হয় না! অন্তত ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাচক এড স্মিথের কথায় সে সুরই মিলল, ‘এটা পরিষ্কার, আদিলের এভাবে টেস্ট স্কোয়াডে ফেরার ঘটনা একটু অস্বাভাবিক। তবে নির্বাচক কমিটির সবার মনে হয়েছে ইংল্যান্ড দলে আদিলের থাকা উচিত।’
তাঁর ওপর নির্বাচকদের এমন বিশ্বাস রশিদের নিশ্চয় ভালো লাগছে। অথচ এই লেগ স্পিনার নিজেই পরিকল্পনা করছিলেন ২০১৮ সালে অন্তত টেস্ট খেলবেন না। ফেব্রুয়ারিতেই কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের সঙ্গে শুধু সাদা বলের ক্রিকেট খেলার চুক্তি করেছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ দিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলার এ সিদ্ধান্ত তাঁর টেস্ট দলে ফেরার পথে বড় বাধা হতেও পারত। প্রধান নির্বাচক নিজেই যেমন জানিয়ে দিলেন, ‘আদিল ভালোভাবেই জানে, ২০১৯ মৌসুমে টেস্ট খেলতে চাইলে ওকে চার দিনের ক্রিকেট খেলার চুক্তিতে থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলোয়াড়দের অবশ্যই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।’
এবার অবশ্য এ নিয়মে যে পড়ছেন না রশিদ, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০ টেস্টে ৩৮ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৬ সালে। সেটাও ভারতের বিপক্ষেই, সে সফরে ইংল্যান্ডের ৪-০ ভরাডুবির পেছনে রশিদের নিষ্ক্রিয়তার ভূমিকা দেখেন অনেকেই। এমন অবস্থায় রশিদের দলভুক্তি প্রশ্ন তুলছেই।
ওদিকে ইয়র্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী মার্ক আর্থার ভয়ংকর খেপেছেন এ ঘটনায়। এভাবে সীমিত ওভারের জন্য চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়কে টেস্টে ডেকে নেওয়াটা খেলোয়াড় ও কাউন্টির জন্য ক্ষতিকর বলে ভাবেন আর্থার, ‘আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে ইংল্যান্ড আদিলকে ডেকেছে। সে এ মৌসুমে লাল বলের ক্রিকেটই খেলেনি। সে এমন ইচ্ছার কথাও জানায়নি কখনো। আমি আশা করি, ইংল্যান্ড জানে আদিলকে নিয়ে ওদের কী পরিকল্পনা এবং কাউন্টির ম্যাচ নিয়েও।’

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

ভারতের বিপক্ষে ডাক পেয়েছেন খেলতে না চাওয়া রশিদ!

আপডেট টাইম ০৬:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮

টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না এমনটা বলেননি কখনো আদিল রশিদ। এই তো ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পরও বলেছেন, সাদা বলের ক্রিকেটে সব মনোযোগ থাকলেও টেস্ট খেলার আগ্রহ আছে তাঁর। ইচ্ছা প্রকাশ করেই নির্বাচকদের মন গলিয়ে ফেলেছেন রশিদ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে ডাক পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার।
ভারতীয় দুই লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব ওয়ানডেতে বড্ড ভুগিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। সেখানে স্বাগতিক দলের হয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রশিদ। এতেই হয়তো নির্বাচকদের মনে হয়েছে, টেস্টেও আদিল থাকলে মন্দ হয় না! অন্তত ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাচক এড স্মিথের কথায় সে সুরই মিলল, ‘এটা পরিষ্কার, আদিলের এভাবে টেস্ট স্কোয়াডে ফেরার ঘটনা একটু অস্বাভাবিক। তবে নির্বাচক কমিটির সবার মনে হয়েছে ইংল্যান্ড দলে আদিলের থাকা উচিত।’
তাঁর ওপর নির্বাচকদের এমন বিশ্বাস রশিদের নিশ্চয় ভালো লাগছে। অথচ এই লেগ স্পিনার নিজেই পরিকল্পনা করছিলেন ২০১৮ সালে অন্তত টেস্ট খেলবেন না। ফেব্রুয়ারিতেই কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের সঙ্গে শুধু সাদা বলের ক্রিকেট খেলার চুক্তি করেছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ দিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলার এ সিদ্ধান্ত তাঁর টেস্ট দলে ফেরার পথে বড় বাধা হতেও পারত। প্রধান নির্বাচক নিজেই যেমন জানিয়ে দিলেন, ‘আদিল ভালোভাবেই জানে, ২০১৯ মৌসুমে টেস্ট খেলতে চাইলে ওকে চার দিনের ক্রিকেট খেলার চুক্তিতে থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলোয়াড়দের অবশ্যই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।’
এবার অবশ্য এ নিয়মে যে পড়ছেন না রশিদ, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০ টেস্টে ৩৮ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৬ সালে। সেটাও ভারতের বিপক্ষেই, সে সফরে ইংল্যান্ডের ৪-০ ভরাডুবির পেছনে রশিদের নিষ্ক্রিয়তার ভূমিকা দেখেন অনেকেই। এমন অবস্থায় রশিদের দলভুক্তি প্রশ্ন তুলছেই।
ওদিকে ইয়র্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী মার্ক আর্থার ভয়ংকর খেপেছেন এ ঘটনায়। এভাবে সীমিত ওভারের জন্য চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়কে টেস্টে ডেকে নেওয়াটা খেলোয়াড় ও কাউন্টির জন্য ক্ষতিকর বলে ভাবেন আর্থার, ‘আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে ইংল্যান্ড আদিলকে ডেকেছে। সে এ মৌসুমে লাল বলের ক্রিকেটই খেলেনি। সে এমন ইচ্ছার কথাও জানায়নি কখনো। আমি আশা করি, ইংল্যান্ড জানে আদিলকে নিয়ে ওদের কী পরিকল্পনা এবং কাউন্টির ম্যাচ নিয়েও।’