মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা বুধবার ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন চার্চে উদ্যাপিত হবে। এই উপলক্ষে রাজধানীর সকল চার্চকে বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা ডিএমপি।
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজের সূচি প্রকাশ
এই দিনের অনুষ্ঠানে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ধর্মানুরাগীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে চার্চসমূহে যাতায়াত করতে পারেন সে লক্ষ্যে কিছু নিরাপত্তা নির্দেশনা দিচ্ছে ডিএমপি। পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ে নির্দেশনার এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন; উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা করা, আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে পার্টি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এক নজরে দেখে নিন পুরো নির্দেশনা-
১. প্রত্যেকটি চার্চের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও ম্যানুয়ালি দর্শনার্থীদের তল্লাশি করা হবে।
২. নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ড ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোঁটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দেশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না।
৩. চার্চ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিটি চার্চে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনা করে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করবেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
৪. চার্চ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি চার্চে আর্মড ব্যান্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করবেন। যারা তল্লাশির সময় পুলিশকে সাহায্য করবেন। নারী দর্শনার্থীদের তল্লাশির জন্য নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।
৫. চার্চ ও তার আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা বস্তু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক কাছের পুলিশকে অবহিত করুন। জরুরি প্রয়োজনে কল করুন ৯৯৯-এ।
৬. অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
৭. উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা করা, আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে পার্টি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
৮. ঢাকা মহানগরীর চার্চ এলাকায় যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন।
৯. চার্চসমূহের আশপাশে কোন ধরনের ভাসমান দোকান ও হকার বসতে দেওয়া হবে না।
১০. অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং প্রতিরোধে চার্চ এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।
১১. বড়দিনের অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীদের পকেটমার, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি সম্পর্কে সতর্ক হয়ে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন।
বড়দিন নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে উপরিউক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ডিএমপি।