মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ বিএসএফের পুশইনে বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিক না হলে কেউ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে প্রস্তুত রয়েছে। অবৈধভাবে পুশইনের যে কোনও চেষ্টা বিজিবি প্রতিরোধ করতে সক্ষম’।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। হাজার হাজার মানুষের কথা বলা হলেও তারা সংখ্যায় খুব কম, শ খানেক হতে পারে। প্রবেশকারীরা বাংলাদেশি কিনা, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিনা, ভিসা শেষ হয়ে গেছে কিনা, এ রকম জটিলতায় পড়ে লোকজন বাংলাদেশে ফেরত আসতে চাচ্ছে কিনা- তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, অন্য কোনও দেশের নাগরিক হলে তারা বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শতাধিকেরও বেশি ব্যক্তিকে বিজিবি অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে সীমান্তে পুশইন শুরু হয়েছে।
এটি আতঙ্কের বিষয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মোটেও আতঙ্কের বিষয় নয়। আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে বাংলাদেশের মাটিতে ঢুকতে দেব না। ঢুকতে দেব না মানে, আমরা তো রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দিয়েছি, সেই বিষয় নয়। আমাদের সুনিশ্চিত হতে হবে যেগুলো পুশইন করাচ্ছে, সেগুলো বাংলাদেশের নাগরিক কিনা। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, তাহলে আমরা এগুলোকে রিসিভ করতে পারি। যদি তারা বাংলাদেশের নাগরিক না হয়, তাহলে তাদের কোনো ক্রমেই গ্রহণ করব না।
তিনি বলেন, বিগত দিনে বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি পাঁচজন, ১০ জন কিংবা ২৫ জন, ৫০ জন করে তারা পুশইন করানোর চেষ্টা করেছে। তখন দেখেছি রোহিঙ্গাদের পুশইন করার একটা প্রচেষ্টা নিয়েছিল। রোহিঙ্গারা বিভিন্নভাবে ভারতে ঢুকে গিয়েছিল। তারা বাংলাদেশে চলে আসতে চেয়েছিল, আমরা ঢুকতে দিইনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুনিশ্চিত না হয়ে কাউকে আমাদের মাটিতে ঢুকতে দেব না, এটা হলো আমাদের কথা। আমাদের বিজিবিও সচেতন আছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে এটা উসকানিমূলক কিনা-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, না, কোনো উসকানিমূলক নয়। যদি হাজার হাজার বা শত শত হতো, তাহলে একটা আলোচনার ব্যবস্থা হতো। ভারত সরকার তো আমাদের কাছে কোনো চিঠি দেয়নি, কোনো আবেদনও করেনি। যারাই গিয়েছিল তারাই পালিয়ে আসছেন কিনা কিংবা অবৈধভাবে গিয়েছেন বা অবৈধভাবে ফেরত আসছেন কিনা সবকিছু আমাদের জানতে হবে।
আগের চেয়ে তো পুশইনের সংখ্যা বেড়েছে-এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো কিছু বেড়েছে, আমি সেটা অস্বীকার করছি না। তাদের রাজ্যে একটু কড়াকড়ি করেছে। সে জন্য হয়তো আমাদের যারা ইচ্ছা করে থেকে গেছেন কিংবা তারা ভিসার তোয়াক্কা করে নাই বা তারা অনেক দিন ধরে থেকে গেছেন, এ বিষয়ে চিন্তা করেন নাই, তারা হয়তো আবারও এ রকমভাবে আন-অফিশিয়াল আসার জন্য প্রচেষ্টা নিতে পারেন। এগুলো আমাদের অ্যাজাম্পশন, যেহেতু আমাদের সঙ্গে তারা কোনোভাবে আলোচনায় আসেনি। আমাদের দেশের মানুষ অনেক বছর ধরে ওখানে (ভারতে) যাওয়া-আসা করে। কেউ শ্রমজীবী হিসেবে, কেউ পেশাদার হিসেবে যায়, কেউ অন্য কোনো সেবা যেমন চিকিৎসা বা পড়াশোনা করার জন্য যায়।