মোঃ আল আমিন হোসেন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বালিথুবায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইটভাটা চালু করতে ওই ইটভাটায় কর্মরত স্থানীয় ও চাকরি সূত্রে আসা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গণস্বাক্ষর যুক্ত মানবিক আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কাছে।
রাবিবার (২২ জানুয়ারী) তাদের পক্ষে জনৈক মামুনুর রহমান সবুজ এই আবেদন করেন। গণস্বাক্ষরে ৪৫০ লোকের স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়া এর সাথে ইটভাটার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, সহকারি কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট চাঁদপুর, ফায়ার সার্ভিস ফরিদগঞ্জসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবদনের অনুলিপি দিয়েছেন।
আবেদনে তারা জানান, ইতিপূর্বে এফ এন্ড এফ নামে ইটভাটা চালু থাকার করণে স্থানীয় বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থার সুযোগ হয়েছিল। মাঝে নানাকারণে সেটি বন্ধ হওয়ার পর সম্প্রতি স্থানীয় আলম তপদারের নামে এক ব্যবসায়ী এলাকাবাসীর অনুরোধে মা-রহমত নাম দিয়ে ইটভাটাটি পুনরায় চালু করে। এতে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪শতাধিক লোকের নুতন কর্ম জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু কাগজপত্র জটিলতার কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই তারা মানবিক দিক বিবেচনা করে ইটভাটাটি চালু করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বুলবুল আহমেদ নামে এক শ্রমিক জানান, তিনি ইটভাটায় দৈনিক হাজিরা ভিত্তিত কাজ করছিলেন। কিন্তু ইটভাটাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। বাড়িতে টাকা পাঠাবে দূরের কথা এখন নিজে চলতেই কষ্ট হচ্ছে।
একই জেলার দৈনিক শ্রমিক হাজিরায় কাজ করা মোত্তাকিনও একই উক্তি জানিয়ে বলেন, এখন আমাদের কি হবে। এই সময় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি।
স্থানীয় মামুনুর রহমান সবুজ জানান. ইটভাটা চালু হওয়ায় তার মতো দুই শতাদিক শ্রমিকের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। এখন তারা পথে বসেছেন। এই কাজ শিখেছেন তাই অন্যকাজ করা এই সময় কষ্টদায়ক। কারভুলে তাদের এই দুঃখ সহ্য করতে হচ্ছে তারা জানে না। তবে প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে ইটভাটাটি চালু হলে তাদের দ্রব্যমূল্যের এই দুঃসময়ে কিছুটা হলও বিপদমুক্ত হবে।