ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রচার প্রচারণায় জনতার ঢল । –২০১৮ সালে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আজিজুল’কে দীর্ঘ ০৬ বছর পর ফরিদপুর জেলার ভাংগা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বাকেরগঞ্জে জাহানারা মাহবুব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। নৌকার মাঝি নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী। চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দীনের গণসংযোগ চন্দনাইশে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বরিশাল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর বসবে। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ জাহিদ ফারুক শামীম বাকেরগঞ্জে পুলিশের উপর হামলার মামলায় দুই নারী গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজ ছাত্র নিহত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিক নিহত

না’গঞ্জে তারুন্যের রাজনীতিত্বে যারা প্রশংসার দাবিদার

শহর প্রতিনিধি:  নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিত্বে কৌশলগত দিক দিয়ে সিনিয়রদের চেয়ে বেশ জোড়ে সোরে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব দান দান কারি উদীয়মান নেতারা। আর এই সকল নেতৃত্ব স্থান দখল করা নেতাদের বিরুদ্ধে নেই তেমন কোন বির্তকিত কর্মকান্ডের অভিযোগ।

আরো পড়ুন :  সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে সাধারণ মানুষ

এ সকল তরুন নেতাদের মধ্যে যারা বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের অন্তরভুক্ত তাদের মধ্যে বেশ দাপটিয় কায়দায় সমালোচনা ছাড়াই সুনামের সাথে রাজপথে আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি। শুধু তাই নয় সারা দেশে যখন ছাত্রলীগকে নিয়ে নানা অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে।

তখনও রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সাবেক এই কমিটির নেতৃবৃন্দরা। সাবেক জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেতৃত্ব দেয়া সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজনের নেতৃত্বে থাকা কমিটির সকল নেতা ও কর্মীরাও একই পথে হেটেছেন। সেই সাথে প্রতিটি নেতাই সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতেও সক্ষম হয়েছেন।

এদিকে, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বয়স এক বছর ৪ মাস অতি বাহিত হলেও তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। তবে এই কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ সুনামের সাথেই তার সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যা আগামী দিনে তার রাজনৈতিক পথকে আরও সুগম করবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকরা।

অপরদিকে, প্রায় ৩য় দফা ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপির সহযোগী সংগঠন গুলোর তরুন নেতৃবৃন্দরা রাজনৈতিক মামলা হামলার শিকার হওয়ার পরও দল থেকে পিছু হটেননি। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্ব দেয়া সিনিয়র নেতাদের চেয়ে এই তরুন উদীয়মান নেতারা দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বেশ জোড়ে সোড়ে।

এই সকল তরুন নেতৃবৃন্দদের মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু। যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে মামলা হামলার শিকার হয়েও সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের পাশা পাশি সংগঠনকে চাঙ্গা করে রেখেছেন পাদর্শীতার সহিত।

তবে মজার বিষয় হলো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানা পদ ভাগিয়ে আনতে সক্ষম হলেও হয়ে আছেন একঘরে। গুরুত্বপুর্ন পদে থাকলেও সংগঠনটিকে শক্তিশালী করার পিছনে নেই তার পরিশ্রম। উল্টো মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার অভিযোগে বেশীর ভাগ সময় থাকেন আত্মগোপনে। ফলে সংগঠনের সকল কাজ একাই করে যাচ্ছেন সভাপতি আবুল কাউছার আশা আর তাকে সহযোগীতা করছেন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টো। বেশ কয়েক দিন পুর্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের বাড়ি থেকে মাদক সহ আটক করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃর ছেলেকে। ঠিক একই ধারায় সভাপতি আনোয়ার সাহাদাত সায়েম সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ও তার খালাতো ভাই সেলিম প্রধানের কারনে। সেই দিক দিয়ে এই সংগঠনের নেতাদের সমালোচনার কোন কমতি নেই।

অপরদিকে, জেলা ছাত্র দলের ক্ষেত্রে সভাপতি মশিউর রহমান রনি নিজের কমিটিকে পুর্নাঙ্গ রুপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ডাকঢোল পিটিয়ে। এক কথায় বলা চলে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনি ঘর গুছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরও দেশ গুছাতে মরিয়া হয়ে উঠে ছিলেন। সে নিজের কমিটিকে সাজাতে না পড়লেও কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের পদের লোভ সামাল দিতে পারেনি। তবে সেখান থেকেও মুখথুবড়ে পড়েছেন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসা এই নেতা।

আর সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব যার স্বপ্ন ছিলো সোনারাগাঁ থানা কমিটির পদে থাকার। কিন্তু বাবার অর্থের জোড়ে সোনার হরিণ “জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ” হাতে পেয়ে গেছেন। তবে এখন পযর্ন্ত কোন পাদর্শীতা দেখাতে সক্ষম হননি। শুরু থেকে দিয়ে যাচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়।

সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথে আন্দোলনে থাকা বিএনপি এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া উদীয়মান তরুন রাজনীতি বিদরাই আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব দিয়ে তাদের ধারাবাহিতকা অব্যাহত রাখবে। সেই সাথে এই সকল নেতৃত্বের মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিত্বে সুবাতাস বইবে বলে আশা করেন বিশ্লেষকরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রচার প্রচারণায় জনতার ঢল ।

না’গঞ্জে তারুন্যের রাজনীতিত্বে যারা প্রশংসার দাবিদার

আপডেট টাইম ০১:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯

শহর প্রতিনিধি:  নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিত্বে কৌশলগত দিক দিয়ে সিনিয়রদের চেয়ে বেশ জোড়ে সোরে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব দান দান কারি উদীয়মান নেতারা। আর এই সকল নেতৃত্ব স্থান দখল করা নেতাদের বিরুদ্ধে নেই তেমন কোন বির্তকিত কর্মকান্ডের অভিযোগ।

আরো পড়ুন :  সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে সাধারণ মানুষ

এ সকল তরুন নেতাদের মধ্যে যারা বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের অন্তরভুক্ত তাদের মধ্যে বেশ দাপটিয় কায়দায় সমালোচনা ছাড়াই সুনামের সাথে রাজপথে আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি। শুধু তাই নয় সারা দেশে যখন ছাত্রলীগকে নিয়ে নানা অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে।

তখনও রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সাবেক এই কমিটির নেতৃবৃন্দরা। সাবেক জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেতৃত্ব দেয়া সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজনের নেতৃত্বে থাকা কমিটির সকল নেতা ও কর্মীরাও একই পথে হেটেছেন। সেই সাথে প্রতিটি নেতাই সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতেও সক্ষম হয়েছেন।

এদিকে, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বয়স এক বছর ৪ মাস অতি বাহিত হলেও তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। তবে এই কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ সুনামের সাথেই তার সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যা আগামী দিনে তার রাজনৈতিক পথকে আরও সুগম করবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকরা।

অপরদিকে, প্রায় ৩য় দফা ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপির সহযোগী সংগঠন গুলোর তরুন নেতৃবৃন্দরা রাজনৈতিক মামলা হামলার শিকার হওয়ার পরও দল থেকে পিছু হটেননি। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্ব দেয়া সিনিয়র নেতাদের চেয়ে এই তরুন উদীয়মান নেতারা দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বেশ জোড়ে সোড়ে।

এই সকল তরুন নেতৃবৃন্দদের মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু। যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে মামলা হামলার শিকার হয়েও সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের পাশা পাশি সংগঠনকে চাঙ্গা করে রেখেছেন পাদর্শীতার সহিত।

তবে মজার বিষয় হলো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানা পদ ভাগিয়ে আনতে সক্ষম হলেও হয়ে আছেন একঘরে। গুরুত্বপুর্ন পদে থাকলেও সংগঠনটিকে শক্তিশালী করার পিছনে নেই তার পরিশ্রম। উল্টো মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার অভিযোগে বেশীর ভাগ সময় থাকেন আত্মগোপনে। ফলে সংগঠনের সকল কাজ একাই করে যাচ্ছেন সভাপতি আবুল কাউছার আশা আর তাকে সহযোগীতা করছেন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টো। বেশ কয়েক দিন পুর্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের বাড়ি থেকে মাদক সহ আটক করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃর ছেলেকে। ঠিক একই ধারায় সভাপতি আনোয়ার সাহাদাত সায়েম সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ও তার খালাতো ভাই সেলিম প্রধানের কারনে। সেই দিক দিয়ে এই সংগঠনের নেতাদের সমালোচনার কোন কমতি নেই।

অপরদিকে, জেলা ছাত্র দলের ক্ষেত্রে সভাপতি মশিউর রহমান রনি নিজের কমিটিকে পুর্নাঙ্গ রুপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ডাকঢোল পিটিয়ে। এক কথায় বলা চলে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনি ঘর গুছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরও দেশ গুছাতে মরিয়া হয়ে উঠে ছিলেন। সে নিজের কমিটিকে সাজাতে না পড়লেও কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের পদের লোভ সামাল দিতে পারেনি। তবে সেখান থেকেও মুখথুবড়ে পড়েছেন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসা এই নেতা।

আর সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব যার স্বপ্ন ছিলো সোনারাগাঁ থানা কমিটির পদে থাকার। কিন্তু বাবার অর্থের জোড়ে সোনার হরিণ “জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ” হাতে পেয়ে গেছেন। তবে এখন পযর্ন্ত কোন পাদর্শীতা দেখাতে সক্ষম হননি। শুরু থেকে দিয়ে যাচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়।

সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথে আন্দোলনে থাকা বিএনপি এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া উদীয়মান তরুন রাজনীতি বিদরাই আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব দিয়ে তাদের ধারাবাহিতকা অব্যাহত রাখবে। সেই সাথে এই সকল নেতৃত্বের মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিত্বে সুবাতাস বইবে বলে আশা করেন বিশ্লেষকরা।