নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তালগাছ কেটেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন বরিশালের মৃত আফসের আলী হাওলাদারের ছেলে চাঁনমিয়া হাওলাদার (৭০)। বয়স হলেও গায়ের জোর একটুও কমেনি তার। এই বয়সেও ১০ কেজি ওজনের মুগুর আর আর ৫কেজি ওজনের চাপাতি দিয়ে বড় বড় তালগাছ কেটে ফেলছেন অনায়াসেই।
হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে যে অর্থ পান, তা বর্তমানে সামান্য বললেই চলে। প্রচন্ড আত্মসম্মানবোধ ভরা চাঁনমিয়ার শান্তনা শুধু এতোটুকুই। ‘কাজ করে খান তিনি, ভিক্ষা বা চুরি করেন না।’
অর্থাভাব মানুষকে পরিশ্রমী হতে বাধ্য করে। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এই চাঁনমিয়া। কথায় কথায় এমন কিছুই বুঝাতে চাইলেন তিনি। তবে পরিস্কার করে বললেন না যে অভাবের তাড়নায়ই বেছে নিয়েছেন এই কষ্টের পেশা। না বলার কারণ বলতে বুঝলাম তার আত্মসম্মানবোধ। চাঁনমিয়ার কাছে সম্মানটুকুই যেনো সব থেকে বড় সম্পদ।
তিনি কি কাজ করেন তা তার ছেলেমেয়ে সহ তার এলাকার লোক জানেনা। তাই গ্রামের ঠিকানা পুরোপুরি বলতে নারাজ। তবে বর্তমানে তিনি মাদারীপুরের শিবচর থানাধীন চান্দের-চর বাজার সংলগ্ন ফয়জুল ফকির এর বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন।
জানালেন প্রায় ৪০বছর ধরে আছেন এই পেশায়। ২০ বছর বয়স থেকে জীবিকার তাগিদে তালগাছকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তবে বয়সের সাথে সাথে এখন এই পেশার সাথে তাল মেলাতে কষ্ট হয়। কিন্তু কি আর করার চাঁনমিয়ার? তিনি যে এই কাজ ছাড়া জীবনে আর কিছুই শিখেননি। তাই এই কাজ ছাড়লে ঘুরবে না সংসার নামক গাড়ির চাকা।