ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উন্মোচন চুরির অপবাদ দেওয়ায় হত্যা

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর কাঠ ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।

চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে টাঙ্গাইলের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করে তার দোকানের কর্মচারী। ঘটনাটি ঘটার আড়াই মাস পর ওই যুবককে গ্রেফতারের পর তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষ বাগবাড়ি যক্ষ্মা হাসপাতালের সামনে থেকে সামছুল হক (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে সামছুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গদুরগাতি গ্রামে বুদ্ধু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ইয়াছিন ৬ মাস আগে সামছুল হকের কাঠের দোকানে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে কাজ করতেন। তাকে বিভিন্ন সময় চুরির অপবাদ দেয়া হতো। সর্বশেষ ৭ মাস আগে তার দোকান থেকে কুড়াল হারিয়ে যায়। সেই চুরির অপবাদও ইয়াছিনকে দেয়া হয় এবং তার বাবাকে ডেকে এনে ইয়াছিনকে মারধর করানো হয়। আর সেই আক্রোশে তিনি দোকান ছেড়ে চলে যায়।

লাশ উদ্ধারের আগের দিন রাতে সামছুল হক মোবাইল ব্যবহার করতে করতে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক ওই সময় ইয়াছিন লাঠি দিয়ে তার পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে। সামছুল মাটিতে পরে যাওয়ার পর ইয়াছিন চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ইয়াছিন এসে দেখতে পায় সামছুল সেখানেই জীবিত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে পুনরায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সামছুলের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।

কিছুদিন আগে সামছুলের ফোনে অন্য সিম ব্যবহার করে কথা বলে ইয়াছিন। সেই সূত্র ধরেই ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যা কথা স্বীকার করেন। এই হত্যাকাণ্ডটি তিনি একাই ঘটিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উন্মোচন চুরির অপবাদ দেওয়ায় হত্যা

আপডেট টাইম ১১:০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর কাঠ ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।

চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে টাঙ্গাইলের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করে তার দোকানের কর্মচারী। ঘটনাটি ঘটার আড়াই মাস পর ওই যুবককে গ্রেফতারের পর তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষ বাগবাড়ি যক্ষ্মা হাসপাতালের সামনে থেকে সামছুল হক (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে সামছুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গদুরগাতি গ্রামে বুদ্ধু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ইয়াছিন ৬ মাস আগে সামছুল হকের কাঠের দোকানে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে কাজ করতেন। তাকে বিভিন্ন সময় চুরির অপবাদ দেয়া হতো। সর্বশেষ ৭ মাস আগে তার দোকান থেকে কুড়াল হারিয়ে যায়। সেই চুরির অপবাদও ইয়াছিনকে দেয়া হয় এবং তার বাবাকে ডেকে এনে ইয়াছিনকে মারধর করানো হয়। আর সেই আক্রোশে তিনি দোকান ছেড়ে চলে যায়।

লাশ উদ্ধারের আগের দিন রাতে সামছুল হক মোবাইল ব্যবহার করতে করতে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক ওই সময় ইয়াছিন লাঠি দিয়ে তার পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে। সামছুল মাটিতে পরে যাওয়ার পর ইয়াছিন চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ইয়াছিন এসে দেখতে পায় সামছুল সেখানেই জীবিত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে পুনরায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সামছুলের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।

কিছুদিন আগে সামছুলের ফোনে অন্য সিম ব্যবহার করে কথা বলে ইয়াছিন। সেই সূত্র ধরেই ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যা কথা স্বীকার করেন। এই হত্যাকাণ্ডটি তিনি একাই ঘটিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।