ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে দিলো এসআই জাহিদ

আখতারুজ্জামান,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জনগণের সেবক যে পুলিশ তা আরেকবার প্রমানিত হলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্য এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম সেটাই করে দেখিয়েছেন। জানা যায়, গত ২৮ মার্চ বুধবার সোনামসজিদ পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার খাসেরহাট এলাকার মাস্টার্স এর ছাত্রী জোসনা খাতুন। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে জোসনার নিকট থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এক যুবক। সে ব্যাগে কিছু টাকাসহ একটি স্বর্ণের চেইন ও আঙটিও ছিলো। এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম জানান, ছিনতাই এর পরে জোসনা আমার নিকট এসে সব ঘটনা খুলে বলে। শুরু করে কান্নাকাটি। ছিনতাইকারির কোন পরিচয় কিংবা নাম ঠিকানা জানা ছিলো না মেয়েটির। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি আমলে নিয়ে আমি সোনামসজিদ পার্ক এলাকার বিভিন্নস্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরবর্তিতে ৩ এপ্রিল বুধবার শিবগঞ্জের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে চেইন ও আঙটি উদ্ধার করি। এসআই জাহিদ আরো জানান, যে যুবক ছিনতাই করেছিলো তার পরিবারে মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতেই সে ছিনতাই করে বলে অকপটে স্বীকার করে। ছিনতাই এর পরে যে স্বর্ণের দোকানে চেইন ও আঙটি বিক্রয় করা হয়েছিলো তা জানায় আমাকে ছিনতাইকারি যুবক। পওে সে যুবকের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরিস্থিতির স্বীকার হয়েই যে ছিনতাই করেছিলো তা স্পষ্ট বুঝা যায়। সতর্ক করে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে। তাঁর পরিবারকে চিকিৎসার জন্য কিছু টাকাও দিয়ে আসি। এসআই জাহিদ আরো জানান, মানুষ মানুষের জন্য সে দিক বিবেচনা করেই আজ মেয়েটির ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে জোসনা ও তাঁর ছোট ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিলাম। দায়িত্বের বাইরে আমিও একজন মানুষ। যখন চেইন ও আঙটি জোসনা ও তাঁর ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিই তখন তাদের চোখেমুখে ছিলো এক অন্যরকমের সুখ, এক অন্য রকমের আনন্দ। যেতে যেতে তাদের একটাই কথা কানে বাজছিলো আমার তা হচ্ছে, জনগণের সেবক পুলিশ সেটা জাহিদ ভাই দেখিয়ে দিলেন। এটাইতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এমন ঘটনা সত্যি বিরল ইতিহাস হয়ে থাকলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে দিলো এসআই জাহিদ

আপডেট টাইম ০৬:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

আখতারুজ্জামান,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জনগণের সেবক যে পুলিশ তা আরেকবার প্রমানিত হলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্য এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম সেটাই করে দেখিয়েছেন। জানা যায়, গত ২৮ মার্চ বুধবার সোনামসজিদ পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার খাসেরহাট এলাকার মাস্টার্স এর ছাত্রী জোসনা খাতুন। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে জোসনার নিকট থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এক যুবক। সে ব্যাগে কিছু টাকাসহ একটি স্বর্ণের চেইন ও আঙটিও ছিলো। এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম জানান, ছিনতাই এর পরে জোসনা আমার নিকট এসে সব ঘটনা খুলে বলে। শুরু করে কান্নাকাটি। ছিনতাইকারির কোন পরিচয় কিংবা নাম ঠিকানা জানা ছিলো না মেয়েটির। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি আমলে নিয়ে আমি সোনামসজিদ পার্ক এলাকার বিভিন্নস্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরবর্তিতে ৩ এপ্রিল বুধবার শিবগঞ্জের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে চেইন ও আঙটি উদ্ধার করি। এসআই জাহিদ আরো জানান, যে যুবক ছিনতাই করেছিলো তার পরিবারে মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতেই সে ছিনতাই করে বলে অকপটে স্বীকার করে। ছিনতাই এর পরে যে স্বর্ণের দোকানে চেইন ও আঙটি বিক্রয় করা হয়েছিলো তা জানায় আমাকে ছিনতাইকারি যুবক। পওে সে যুবকের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরিস্থিতির স্বীকার হয়েই যে ছিনতাই করেছিলো তা স্পষ্ট বুঝা যায়। সতর্ক করে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে। তাঁর পরিবারকে চিকিৎসার জন্য কিছু টাকাও দিয়ে আসি। এসআই জাহিদ আরো জানান, মানুষ মানুষের জন্য সে দিক বিবেচনা করেই আজ মেয়েটির ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে জোসনা ও তাঁর ছোট ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিলাম। দায়িত্বের বাইরে আমিও একজন মানুষ। যখন চেইন ও আঙটি জোসনা ও তাঁর ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিই তখন তাদের চোখেমুখে ছিলো এক অন্যরকমের সুখ, এক অন্য রকমের আনন্দ। যেতে যেতে তাদের একটাই কথা কানে বাজছিলো আমার তা হচ্ছে, জনগণের সেবক পুলিশ সেটা জাহিদ ভাই দেখিয়ে দিলেন। এটাইতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এমন ঘটনা সত্যি বিরল ইতিহাস হয়ে থাকলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের।