ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

চৌগাছায় ঘূর্ণি ঝড় ফণীর প্রভাবে আগাম বৃষ্টিপাত, দিশেহার কৃষক ।।

মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা থেকে) যশোরের চৌগাছা সিমান্তবর্তী উপজেলা ধানের জন্য সারা জেলা জুড়ে বিরাট সুনাম থাকলেও ভারত থেকে ফণী নামক ঝড়ের প্রভাবে চৌগাছা জুড়ে আগাম বৃষ্টিপাত লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ সকালের আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। বেলা ১২টার কিছু পরে থেকে শুরু হয় ঝড় সাথে বৃষ্টিপাত, এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ঝড় না থাকলেও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়, এক মুহুত্তে সারা বাজার জনশূন্য হয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ফণীর আঘাত বাংলাদেশের সর্ব প্রথম চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ সহ পুরো দক্ষিণ ও পঞ্চিম অঞ্চল জুড়ে আগে আঘাত করতে পারে। গত ৪০ বছরের সব থেকে বড় ঝড় এই ফণী, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা সাধারণ জনগনের জানমাল রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচরণা করে যাচ্ছে। অত্র উপজেলাটি ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিয়ে গঠিত, নারায়ণপুর, চৌগাছা, ফুলসারা, পাশাপোল, হাকিমপুর, ধুলিয়ানি, স্বরুপদাহ, সিংহঝুলি,সুখপুকরিয়া,জগীদেশপুর, পাতিবিলা সহ চৌগাছা পৌরসভার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় মাঠ জুড়ে সোনালী ধান আর ধান। কিছু কিছু ধান আগেই কাটা হয়ে গেছে অন্য সব ফসলের তুলনায় ধানের খরচ ও কিন্তু অনেক বেশি, পানির দাম,সারের দাম, জনের দাম, জমি লিজের টাকা দিয়ে শেষ পর্যায়ে কৃষকের হাতে তেমন আর টাকা থাকেনা। তারপরে এমন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাধারণ কৃষকরা কি করবে, কি ভাবে ফসল ঘরে তুলবে এই নিয়ে দিশেহারা চৌগাছার কৃষক জনগোষ্ঠী। চৌগাছা উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে,চৌগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জমিতে পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় সচেষ্ট হতে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরো চাষে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অন্য সব বছরের তুলনায় এ বছর অত্র উপজেলায় সব থেকে বেশি ১৮৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১৪থেকে ১৫ হাজার টাকা। যদি ভালো ফলন হল তবে ১ বিঘা জমিতে ২৪ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া যাবে। এই ধান বাজারে বিক্রি করলে বড় জোর ১৭হাজার ও তার কম বেশি টাকা হতে পারে। একে তো ধানের ফলনের থেকেও তুলনা মূলক খরচ অনেক বেশি তারপরে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ফসল ক্ষয়-ক্ষতি ভাবনায় চৌগাছার কৃষক দিশেহারা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

চৌগাছায় ঘূর্ণি ঝড় ফণীর প্রভাবে আগাম বৃষ্টিপাত, দিশেহার কৃষক ।।

আপডেট টাইম ০৩:০৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯

মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা থেকে) যশোরের চৌগাছা সিমান্তবর্তী উপজেলা ধানের জন্য সারা জেলা জুড়ে বিরাট সুনাম থাকলেও ভারত থেকে ফণী নামক ঝড়ের প্রভাবে চৌগাছা জুড়ে আগাম বৃষ্টিপাত লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ সকালের আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। বেলা ১২টার কিছু পরে থেকে শুরু হয় ঝড় সাথে বৃষ্টিপাত, এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ঝড় না থাকলেও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়, এক মুহুত্তে সারা বাজার জনশূন্য হয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ফণীর আঘাত বাংলাদেশের সর্ব প্রথম চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ সহ পুরো দক্ষিণ ও পঞ্চিম অঞ্চল জুড়ে আগে আঘাত করতে পারে। গত ৪০ বছরের সব থেকে বড় ঝড় এই ফণী, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা সাধারণ জনগনের জানমাল রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচরণা করে যাচ্ছে। অত্র উপজেলাটি ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিয়ে গঠিত, নারায়ণপুর, চৌগাছা, ফুলসারা, পাশাপোল, হাকিমপুর, ধুলিয়ানি, স্বরুপদাহ, সিংহঝুলি,সুখপুকরিয়া,জগীদেশপুর, পাতিবিলা সহ চৌগাছা পৌরসভার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় মাঠ জুড়ে সোনালী ধান আর ধান। কিছু কিছু ধান আগেই কাটা হয়ে গেছে অন্য সব ফসলের তুলনায় ধানের খরচ ও কিন্তু অনেক বেশি, পানির দাম,সারের দাম, জনের দাম, জমি লিজের টাকা দিয়ে শেষ পর্যায়ে কৃষকের হাতে তেমন আর টাকা থাকেনা। তারপরে এমন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাধারণ কৃষকরা কি করবে, কি ভাবে ফসল ঘরে তুলবে এই নিয়ে দিশেহারা চৌগাছার কৃষক জনগোষ্ঠী। চৌগাছা উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে,চৌগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জমিতে পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় সচেষ্ট হতে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরো চাষে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অন্য সব বছরের তুলনায় এ বছর অত্র উপজেলায় সব থেকে বেশি ১৮৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১৪থেকে ১৫ হাজার টাকা। যদি ভালো ফলন হল তবে ১ বিঘা জমিতে ২৪ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া যাবে। এই ধান বাজারে বিক্রি করলে বড় জোর ১৭হাজার ও তার কম বেশি টাকা হতে পারে। একে তো ধানের ফলনের থেকেও তুলনা মূলক খরচ অনেক বেশি তারপরে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ফসল ক্ষয়-ক্ষতি ভাবনায় চৌগাছার কৃষক দিশেহারা।