মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:–

চাল আত্নসাতের সাথে জড়িত হাওয়ার অভিযোগ উঠে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ৭ নং আইলচারা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী খাকচার জোয়ারর্দ্দারের বিরুদ্ধে। খাকচার জোয়ারর্দ্দার আইলচারা গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর পুত্র। ঘটনাটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ের।সেই সময়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলেও কোন এক অজানা কারণে প্রশাসনের নজরের আড়ালে থাকে।

খাকচার জোয়ারর্দ্দারের চাল আত্নসাতের ঘটনার একটি ভিডিও আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সোমবার (১৬ নভেম্বর)। যার ভিডিও লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ত্রাণ সহযোগিতা বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে যখন কঠোর, ঠিক সেই মুহুর্তে কুষ্টিয়ার আইলচারায় ওএমএস’র চাল আত্মসাত নিয়ে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। দশ বস্তা ওএমএস’র চাল আইলচারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী খাকছার আলী আত্মসাৎ করেছেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠেছে।ঘটনাসূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচচারা ইউনিয়নের ওএমএস.র বরাদ্দকৃত চাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী খাকছার আলী জোয়ার্দ্দার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ওই এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুসের ভ্যান যোগে বল্লভপুরের আসান নামের ব্যক্তির মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে যান। লোকজনের কাছ থেকে সই করে নিয়ে চাল না দেওয়ায় এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন ওই আওয়ামীলীগের নেতার বাড়িতে চাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ফাঁস করে দেন।এ বিষয়ে ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমাকে ১০ বস্তা চাল দিয়েছে খাকচার জোয়ারর্দ্দারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং আমি তার বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। সেই সময় স্থানীয়রা আইলচারা-নাজিরপুর ক্যাম্প ইনচার্জ আহসান হাবীব ঘটনাস্থলে যান। তিনিও বিষয়টি ধামাচাপা দেন বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এব্যাপারে তৎকালীন নাজিরপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ আহসান হাবিবের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, আমি কিছু জানি না, যারা আপনাকে তথ্য দিয়ে তাদের কাছে গিয়ে তথ্য নেন বলে ফোন কেটে দেন। তবে খাকছার আলী জোয়ার্দ্দার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা সত্যা নয়। সত্য হলে তো পুলিশ চাল উদ্ধার করতো।ক্যাম্পের পুলিশ সেখানে গিয়েছিল আপনি তাকেও ম্যানেজ করেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনি আসুন সাক্ষাতে কথা হবে। এদিকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন, খাকচার জোয়ারর্দ্দার ।আর তার এ ঘোষনার পর থেকে ইউনিয়নের লোক জনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন, সে যদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে তাহলে এই ইউনিয়নে দূর্ণীতি ছাড়া আর কিছুই থাকবে না । সাধারণ জনগন মনে করেন, তিনি নির্বাচিত হলে আওয়ামীলেগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তিনি একাই যথেষ্ট। আইলচারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা দাবি জানান, তাকে ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয়ভাবে রুখতে না পারলে তা এই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের জন্য আত্নঘাতি হবে।