ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

করোনায় ৯৫% মৃত্যুই আইসিইউতে,স্বাস্থ্য সচেতনতাই একমাত্র মুক্তির পথ- মত বিশেষজ্ঞদের

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:

চট্টগ্রামে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হওয়া পাঁচজনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের বয়স ৫০ উর্ধ্বে। শুধু এ পাঁচ জনই নয়। গেল পাঁচদিনের তথ্য বলছে, গড়ে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন করে। অর্থাৎ পাঁচের অধিক মৃত্যু দেখেছে প্রতিদিন চট্টগ্রাম। হঠাৎ মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? এমন প্রশ্নে চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণের ধরন যেমন অনেকটাই বদলেছে, তেমনি করোনা পজিটিভ ছাড়াও যারা দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হার বেশি হচ্ছে। তাই সংক্রমণ রোধে অবশ্যই সকলকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

বর্তমান চিত্র তুলে ধরে চট্টগ্রামের প্রথম করোনা ডেডিকেটেড চিকিৎসা কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ফোকালপার্সন ও সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. আবদুর রব মাসুম বলেন, ‘সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম মাস কয়েক আগে শতকরা ১০% রোগীকে বেশি দেখভাল করতে হতো। অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের অবস্থা একটু খারাপ ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জনই খারাপ অবস্থায় ভুগছেন। একই সাথে যাদের আইসিইউ প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যে গেল কয়েকদিনের চিত্র বলছে- যারাই মারা গেছেন তাদের ৯৫ % আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের সকলেই পজিটিভ কোভিড ছাড়াও দীর্ঘ মেয়াদি অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত উল্লেখ করে এ চিকিৎসক আরও বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার,শ্বাসকষ্ট ও মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণজনিতরাই মারা যাচ্ছেন। যাদের বয়সই ৫০ এর উপর।

এমন অবস্থায় সকলকে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, কোনভাবেই ৫০ উর্ধ্ব যারা আছেন বা যারা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে ভুগছেন, তারা কোনভাবেই বাসা-বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়। মোট মৃত্যুর সিংহভাগই এ বয়সীরা। তাই এখন থেকে সকলকেই আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ এ চিকিৎসকের।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

করোনায় ৯৫% মৃত্যুই আইসিইউতে,স্বাস্থ্য সচেতনতাই একমাত্র মুক্তির পথ- মত বিশেষজ্ঞদের

আপডেট টাইম ০৭:৪৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:

চট্টগ্রামে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হওয়া পাঁচজনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের বয়স ৫০ উর্ধ্বে। শুধু এ পাঁচ জনই নয়। গেল পাঁচদিনের তথ্য বলছে, গড়ে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন করে। অর্থাৎ পাঁচের অধিক মৃত্যু দেখেছে প্রতিদিন চট্টগ্রাম। হঠাৎ মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? এমন প্রশ্নে চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণের ধরন যেমন অনেকটাই বদলেছে, তেমনি করোনা পজিটিভ ছাড়াও যারা দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হার বেশি হচ্ছে। তাই সংক্রমণ রোধে অবশ্যই সকলকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

বর্তমান চিত্র তুলে ধরে চট্টগ্রামের প্রথম করোনা ডেডিকেটেড চিকিৎসা কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ফোকালপার্সন ও সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. আবদুর রব মাসুম বলেন, ‘সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম মাস কয়েক আগে শতকরা ১০% রোগীকে বেশি দেখভাল করতে হতো। অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের অবস্থা একটু খারাপ ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জনই খারাপ অবস্থায় ভুগছেন। একই সাথে যাদের আইসিইউ প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যে গেল কয়েকদিনের চিত্র বলছে- যারাই মারা গেছেন তাদের ৯৫ % আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের সকলেই পজিটিভ কোভিড ছাড়াও দীর্ঘ মেয়াদি অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত উল্লেখ করে এ চিকিৎসক আরও বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার,শ্বাসকষ্ট ও মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণজনিতরাই মারা যাচ্ছেন। যাদের বয়সই ৫০ এর উপর।

এমন অবস্থায় সকলকে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, কোনভাবেই ৫০ উর্ধ্ব যারা আছেন বা যারা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে ভুগছেন, তারা কোনভাবেই বাসা-বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়। মোট মৃত্যুর সিংহভাগই এ বয়সীরা। তাই এখন থেকে সকলকেই আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ এ চিকিৎসকের।