ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

কম টাকায় সোনার বার কিনে দেওয়া কথা বলে প্রতারণা

মাসুদ হাসান রিদম :  শুল্ক বিভাগের জব্দ করা সোনা কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ  লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।  এই চক্রটি নিজেদের শুল্ক বিভাগের সহকারি কমিশনার পরিচয়ও দিত তারা। পাঁচ বছর আগে একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণাই ছিল তাদের মূল কাজ।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময়ে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের  বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ জান্নাত আরা।
এমন অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি  বুধবার রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের নবাবি ভোজের সামনে থেকে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুল্ক কমিশনার হিসেবে পরিচয়দানকারি খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন, তার দুই ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার এবং  সাইফুল ইসলাম।  এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১৮ টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেইলি রোড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা শুল্ক বিভাগের  জব্দকরা সোনার বার কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।  ওমর মবিন মোবাইলে পাওয়া  মৃনাল নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানাযায়, তাকে নিলামে মাল কিনে দেবে বলে গত ৬ জানুয়ারি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আসামি ওমর মবিনের মোবাইলের হোয়াট অ্যাপের মেসেজে ৪০ কোটি টাকার চেকের কপি ও অসংখ্য ফাঁকা চেকের কপি পাওয়া যায়।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কখনও নিজেদের শুল্ক বিভাগের কমিশনার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভিকটিম সিআইডির সাথে যোগাযোগ করেছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন পাঁচ থেকে সাত বছর আগে একজন সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হন। এই চক্রটি রাজধানীর বড় বড় হোটেলে খাবার খেতে যেতেন যাতে তার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে বুঝতে পারে এরা বড় মাপের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান,   রুহুল আমিন এবং উপপরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

কম টাকায় সোনার বার কিনে দেওয়া কথা বলে প্রতারণা

আপডেট টাইম ১১:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৯
মাসুদ হাসান রিদম :  শুল্ক বিভাগের জব্দ করা সোনা কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ  লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।  এই চক্রটি নিজেদের শুল্ক বিভাগের সহকারি কমিশনার পরিচয়ও দিত তারা। পাঁচ বছর আগে একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণাই ছিল তাদের মূল কাজ।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময়ে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের  বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ জান্নাত আরা।
এমন অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি  বুধবার রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের নবাবি ভোজের সামনে থেকে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুল্ক কমিশনার হিসেবে পরিচয়দানকারি খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন, তার দুই ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার এবং  সাইফুল ইসলাম।  এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১৮ টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেইলি রোড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা শুল্ক বিভাগের  জব্দকরা সোনার বার কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।  ওমর মবিন মোবাইলে পাওয়া  মৃনাল নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানাযায়, তাকে নিলামে মাল কিনে দেবে বলে গত ৬ জানুয়ারি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আসামি ওমর মবিনের মোবাইলের হোয়াট অ্যাপের মেসেজে ৪০ কোটি টাকার চেকের কপি ও অসংখ্য ফাঁকা চেকের কপি পাওয়া যায়।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কখনও নিজেদের শুল্ক বিভাগের কমিশনার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভিকটিম সিআইডির সাথে যোগাযোগ করেছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন পাঁচ থেকে সাত বছর আগে একজন সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হন। এই চক্রটি রাজধানীর বড় বড় হোটেলে খাবার খেতে যেতেন যাতে তার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে বুঝতে পারে এরা বড় মাপের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান,   রুহুল আমিন এবং উপপরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত।