ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

এ কেমন ষড়যন্ত্র, শিশু কে নিয়ে মিথ্যেচার!

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে গৃহকত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এক শিশু গৃহপরিচারিকার জীবন নিয়ে মিথ্যেচার করে তাকে সুন্দর ও ভবিষ্যৎ সুখকর জীবন থেকে বিতারিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি চক্র। এর ফলে শিশুটির লেখাপড়া বন্ধ হওয়া সহ তার জীবন যাপন করাও দূরহ হয়ে পড়তে যাচ্ছে। তবুও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই গৃহকত্রীর নামে অপপ্রচার চালানো থেকে। সম্পূর্ণ মিথ্যে ও মনগড়া তথ্য দিয়ে বানোয়াট গল্প তৈরী করে তা লোকমুখে ছড়িয়ে দিয়েছে ওই চক্রটি। এতে গৃহকত্রী স্কুল শিক্ষিকা যেমন বিড়ম্বনায় পড়েছেন তেমনী বিষয়টি থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি গৃহপরিচারিকা শিশুটিকে তার অভিভাবকদের ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে আপাতত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরতি হলেও শিশুটি তার খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার আশ্রয় টুকু হারিয়ে আবার পূর্বের অভাবগ্রস্থ অনিশ্চিত জীবনে গিয়ে পতিত হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষিকার বিন্দুমাত্র ক্ষতি না হলেও শিশুটি চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে। যা কোন ভাবেই আশা করা যায়না। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের অপকর্মের কারণে তা মুখ বুঝে মেনে নিতে হচ্ছে। সমাজের জন্য এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। অথচ এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতরা হচ্ছেন সমাজের জনপ্রতিনিধি, সম্পদশালী ও প্রশাসনের নিকটস্থ ব্যক্তি। জানা যায়, শহরের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা তার দায়িত্বজ্ঞানহীন, অকর্মন্য ও বখাটে স্বামীর হাত থেকে তার সন্তানদের রক্ষার জন্য পৃথকভাবে বসবাস করেন। কিন্তু দুষ্টু ও নষ্ট চরিত্র ও প্রকৃতির স্বামী তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে সমাজে হেয় করতে সে হেন নাই অপচেষ্টা করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে সে সম্প্রতি গৃহপরিচারিকা ৭ বছর বয়সের একটি কন্যা শিশুর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে ওই শিক্ষিকাকে অপদস্ত করতে এলাকার কাউন্সিলর সহ একজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। শিক্ষিকা শিশুটিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে বহুতল ভবনের তিন তলার বাসায় ছোট পরিসরের বেলকনিতে আটকে রেখে যায় এবং স্কুল থেকে ফেরার পর তাকে মুক্ত করা হয়। এসময় শিশুটি প্রসাব পায়খানা করা, খাওয়া-দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কোন কাজ করতে পারেনা। রোদ, বৃষ্টি, শীতে একাকী সারাটি দিন চরম দুরাবস্থার মধ্যে কাটাতে বাধ্য হয়। এমনকি এসময় শিশুটির প্রসাব বা পায়খানা পেলে সে পলিথিন ব্যাগে করে তা জানালার রেলিং দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। এতে আশে পাশের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এ নিয়ে থানা পুলিশকেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পূর্ণরুপে মিথ্যে। স্বয়ং শিশুটি জানায়, এটা তার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা। সে কখনো এমনতর জঘন্য কান্ড করেনি। তাছাড়া তার গৃহকত্রীর বিরুদ্ধে তাকে বন্দি করে রাখার বিষয়টি অত্যন্ত নোংরা মানসিকতার কল্প কাহিনী। বরং সে বলে, আমি প্রতিদিন ম্যাডামের সাথে স্কুলে যাই এবং তার সাথেই দুপুরের খাওয়া স্কুলেই খেয়ে থাকি। স্কুল শেষে তার সাথেই বাসায় ফিরি। কোন দিন ম্যাডামের স্কুল ছাড়া কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্কুলের দপ্তরি কাকু তাকে স্কুলে নেয়া ও বাড়িতে রেখে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। ম্যাডাম তাকে একেবারে মেয়ের মত ভালোবাসে। এমনকি ম্যাডামের ছেলে ও মেয়েও তাকে খুবই ¯েœহ করে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তোমার পায়খানা আশে পাশে ফেলানোর কারণে প্রতিবেশিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তোমাকে তোমার মায়ের কাছে ফেরত দেয়া হবে। এতে তুমি কি রাজি আছো? সে জানায়, আমি এখান থেকে যাবো না। এখানে আমি খাবার ও পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছি। তাছাড়া আমাকে এখানে বেশি কাজ করতেও হয়না, শুধুমাত্র দিনে একবার ঘর মোছার কাজ ছাড়া আর কিছু করতে হয়না। মায়ের কাছে গেলে বা অন্য কোন খানে থাকলে আমাকে অনেক কাজ করতে হবে এবং পড়া শোনাটা আর করা হবেনা। আমি বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আমার সে আশা পূরণ হবে না। আমি কোথাও যেতে চাইনা। আপনারা আমাকে এখানে থাকার ব্যবস্থা করেন বলে সে কান্না করতে থাকে। এ ব্যাপারে ওই প্রধান শিক্ষিকা বলেন, মানুষ কতটা পশুর চরিত্রের হলে এমনতর মিথ্যেচার করতে পারে তা আমার বুঝে আসেনা। আমার স্বামী একজন নিচু প্রকৃতির মানুষ, তা আপনারা সকলেই জানেন। তার কারণে আমি সম্মান, সম্পদ ও জীবনের সুন্দর সময়গুলো হারিয়েছি। আমার অর্থ-সম্পদ নষ্ট করে সে অকর্মন্যের মতো জীবন যাপন করায় এক প্রকার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমার জীবনে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার সাথে বসবাস থেকে বিরত হই এবং পৃথকভাবে অবস্থান করছি। কিন্তু সে তার নোংরামী বন্ধ করেনি। সম্প্রতি থানার সর্বোচ্চ কর্মকর্তার ছায়াসঙ্গী হিসেবে অবস্থান করায় সে নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে জাহির করতেই এমন জঘন্য কাজ করেছে। কিন্তু আপনারা যাচাই করে দেখুন ষড়যন্ত্রকারীরা কতটুকু সত্য বলেছে। এসময় স্কুলের দপ্তরীসহ শিক্ষিকারা জানান, শিশুটি যা বলেছে তা সবই সত্য। প্রধান শিক্ষিকা শিশুটিকে নিজে স্কুলে ভর্তি করেছেন এবং সাথে করে আনেন ও নিয়ে যান। অথচ শিশুটির পরিবার থেকে পড়াশোনা করানোর কোন দাবি ছিলনা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের গৃহপরিচারিকাকে কি পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছেন? দেন নি। আমরা যতদূর জানি এ অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তারা তাদের কাজের মেয়ের সাথে কি ধরণের আচরণ করেন। তারা এই ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানান এবং বিচার দাবি করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

এ কেমন ষড়যন্ত্র, শিশু কে নিয়ে মিথ্যেচার!

আপডেট টাইম ০৯:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে গৃহকত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এক শিশু গৃহপরিচারিকার জীবন নিয়ে মিথ্যেচার করে তাকে সুন্দর ও ভবিষ্যৎ সুখকর জীবন থেকে বিতারিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি চক্র। এর ফলে শিশুটির লেখাপড়া বন্ধ হওয়া সহ তার জীবন যাপন করাও দূরহ হয়ে পড়তে যাচ্ছে। তবুও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই গৃহকত্রীর নামে অপপ্রচার চালানো থেকে। সম্পূর্ণ মিথ্যে ও মনগড়া তথ্য দিয়ে বানোয়াট গল্প তৈরী করে তা লোকমুখে ছড়িয়ে দিয়েছে ওই চক্রটি। এতে গৃহকত্রী স্কুল শিক্ষিকা যেমন বিড়ম্বনায় পড়েছেন তেমনী বিষয়টি থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি গৃহপরিচারিকা শিশুটিকে তার অভিভাবকদের ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে আপাতত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরতি হলেও শিশুটি তার খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার আশ্রয় টুকু হারিয়ে আবার পূর্বের অভাবগ্রস্থ অনিশ্চিত জীবনে গিয়ে পতিত হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষিকার বিন্দুমাত্র ক্ষতি না হলেও শিশুটি চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে। যা কোন ভাবেই আশা করা যায়না। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের অপকর্মের কারণে তা মুখ বুঝে মেনে নিতে হচ্ছে। সমাজের জন্য এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। অথচ এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতরা হচ্ছেন সমাজের জনপ্রতিনিধি, সম্পদশালী ও প্রশাসনের নিকটস্থ ব্যক্তি। জানা যায়, শহরের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা তার দায়িত্বজ্ঞানহীন, অকর্মন্য ও বখাটে স্বামীর হাত থেকে তার সন্তানদের রক্ষার জন্য পৃথকভাবে বসবাস করেন। কিন্তু দুষ্টু ও নষ্ট চরিত্র ও প্রকৃতির স্বামী তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে সমাজে হেয় করতে সে হেন নাই অপচেষ্টা করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে সে সম্প্রতি গৃহপরিচারিকা ৭ বছর বয়সের একটি কন্যা শিশুর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে ওই শিক্ষিকাকে অপদস্ত করতে এলাকার কাউন্সিলর সহ একজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। শিক্ষিকা শিশুটিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে বহুতল ভবনের তিন তলার বাসায় ছোট পরিসরের বেলকনিতে আটকে রেখে যায় এবং স্কুল থেকে ফেরার পর তাকে মুক্ত করা হয়। এসময় শিশুটি প্রসাব পায়খানা করা, খাওয়া-দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কোন কাজ করতে পারেনা। রোদ, বৃষ্টি, শীতে একাকী সারাটি দিন চরম দুরাবস্থার মধ্যে কাটাতে বাধ্য হয়। এমনকি এসময় শিশুটির প্রসাব বা পায়খানা পেলে সে পলিথিন ব্যাগে করে তা জানালার রেলিং দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। এতে আশে পাশের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এ নিয়ে থানা পুলিশকেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পূর্ণরুপে মিথ্যে। স্বয়ং শিশুটি জানায়, এটা তার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা। সে কখনো এমনতর জঘন্য কান্ড করেনি। তাছাড়া তার গৃহকত্রীর বিরুদ্ধে তাকে বন্দি করে রাখার বিষয়টি অত্যন্ত নোংরা মানসিকতার কল্প কাহিনী। বরং সে বলে, আমি প্রতিদিন ম্যাডামের সাথে স্কুলে যাই এবং তার সাথেই দুপুরের খাওয়া স্কুলেই খেয়ে থাকি। স্কুল শেষে তার সাথেই বাসায় ফিরি। কোন দিন ম্যাডামের স্কুল ছাড়া কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্কুলের দপ্তরি কাকু তাকে স্কুলে নেয়া ও বাড়িতে রেখে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। ম্যাডাম তাকে একেবারে মেয়ের মত ভালোবাসে। এমনকি ম্যাডামের ছেলে ও মেয়েও তাকে খুবই ¯েœহ করে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তোমার পায়খানা আশে পাশে ফেলানোর কারণে প্রতিবেশিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তোমাকে তোমার মায়ের কাছে ফেরত দেয়া হবে। এতে তুমি কি রাজি আছো? সে জানায়, আমি এখান থেকে যাবো না। এখানে আমি খাবার ও পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছি। তাছাড়া আমাকে এখানে বেশি কাজ করতেও হয়না, শুধুমাত্র দিনে একবার ঘর মোছার কাজ ছাড়া আর কিছু করতে হয়না। মায়ের কাছে গেলে বা অন্য কোন খানে থাকলে আমাকে অনেক কাজ করতে হবে এবং পড়া শোনাটা আর করা হবেনা। আমি বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আমার সে আশা পূরণ হবে না। আমি কোথাও যেতে চাইনা। আপনারা আমাকে এখানে থাকার ব্যবস্থা করেন বলে সে কান্না করতে থাকে। এ ব্যাপারে ওই প্রধান শিক্ষিকা বলেন, মানুষ কতটা পশুর চরিত্রের হলে এমনতর মিথ্যেচার করতে পারে তা আমার বুঝে আসেনা। আমার স্বামী একজন নিচু প্রকৃতির মানুষ, তা আপনারা সকলেই জানেন। তার কারণে আমি সম্মান, সম্পদ ও জীবনের সুন্দর সময়গুলো হারিয়েছি। আমার অর্থ-সম্পদ নষ্ট করে সে অকর্মন্যের মতো জীবন যাপন করায় এক প্রকার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমার জীবনে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার সাথে বসবাস থেকে বিরত হই এবং পৃথকভাবে অবস্থান করছি। কিন্তু সে তার নোংরামী বন্ধ করেনি। সম্প্রতি থানার সর্বোচ্চ কর্মকর্তার ছায়াসঙ্গী হিসেবে অবস্থান করায় সে নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে জাহির করতেই এমন জঘন্য কাজ করেছে। কিন্তু আপনারা যাচাই করে দেখুন ষড়যন্ত্রকারীরা কতটুকু সত্য বলেছে। এসময় স্কুলের দপ্তরীসহ শিক্ষিকারা জানান, শিশুটি যা বলেছে তা সবই সত্য। প্রধান শিক্ষিকা শিশুটিকে নিজে স্কুলে ভর্তি করেছেন এবং সাথে করে আনেন ও নিয়ে যান। অথচ শিশুটির পরিবার থেকে পড়াশোনা করানোর কোন দাবি ছিলনা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের গৃহপরিচারিকাকে কি পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছেন? দেন নি। আমরা যতদূর জানি এ অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তারা তাদের কাজের মেয়ের সাথে কি ধরণের আচরণ করেন। তারা এই ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানান এবং বিচার দাবি করেন।