ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে থাকার প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ফলে আরও অন্তত এক বছর তিনি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আগামী এক বছরের মধ্যে দলে তার নেতৃত্ব নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করা হবে না। বুধবার রাতে ভোটাভুটিতে থেরেসা মের পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে। দলের ৬৩ শতাংশ এমপি ছিল তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৭ শতাংশ। ভোটে হেরে গেলে দলের প্রধানের পদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হতো তাকে।

জয়ের পর থেরেসা মে দলের এমপিদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এটি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে তাকে সহায়তা করবে বলেও জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মে। কিন্তু আগাম নির্বাচনে বড় পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের চেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তির খসড়া মে গত মাসে তৈরি করেছেন, তাতে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া কিংবা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু মের ওই খসড়া তার দলের ভেতরেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে। ওই চুক্তির খসড়া নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে মে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তাতেই তার দলে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে চলে আসে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ইইউবিরোধীরা মের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোট ডেকে বসেন। নেতৃত্বের পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার পর টেরিজা মে ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ রাতের ভোটাভুটিতে সহকর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে সহকর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।’

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

আপডেট টাইম ০২:২০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে থাকার প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ফলে আরও অন্তত এক বছর তিনি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আগামী এক বছরের মধ্যে দলে তার নেতৃত্ব নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করা হবে না। বুধবার রাতে ভোটাভুটিতে থেরেসা মের পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে। দলের ৬৩ শতাংশ এমপি ছিল তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৭ শতাংশ। ভোটে হেরে গেলে দলের প্রধানের পদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হতো তাকে।

জয়ের পর থেরেসা মে দলের এমপিদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এটি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে তাকে সহায়তা করবে বলেও জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মে। কিন্তু আগাম নির্বাচনে বড় পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের চেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তির খসড়া মে গত মাসে তৈরি করেছেন, তাতে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া কিংবা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু মের ওই খসড়া তার দলের ভেতরেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে। ওই চুক্তির খসড়া নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে মে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তাতেই তার দলে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে চলে আসে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ইইউবিরোধীরা মের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোট ডেকে বসেন। নেতৃত্বের পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার পর টেরিজা মে ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ রাতের ভোটাভুটিতে সহকর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে সহকর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।’