ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

প্রতিটি পরিবারকে আমরা দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ উন্নয়ন মেলা ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করেছি। এবার লক্ষ্য দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। দেশের প্রতিটি পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিকেএসএফ আয়োজিত উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:  সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৯ বার পেছালো

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি পরিবারকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা ১৯৯৬ সালে এটার নাম দিয়েছিলাম ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প। এখন এর নাম পরিবর্তন করে তার নাম দিয়েছি ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’। অর্থাৎ যার বাড়ি, তার বাড়িতে যতটুকু জায়গা থাকুক, সে যে ধরনের কাজ করতে চায়, সে সুযোগটা করে দেওয়া। তাদেরকে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কারণ বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে না দিলে তারা আর এই কাজ অব্যাহত রাখবে না। সেভাবেই একেকটা পরিবারকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ১৯৯৬ সালে যখন সরকারে ছিলাম, তখন প্রথম এই চিন্তাটা আমার মাথায় আসে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় প্রচেষ্টা নিয়েছি, দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে কী কী কাজ করা যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ এই সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া।

তিনি আরও বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করি। আমরা সবসময় হিসাব করেছি, আমাদের মূল শত্রুটা হলো দারিদ্র্য। আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে, দারিদ্র্যের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কর্মপরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করি। যখন আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, তখনই আমরা এটা তৈরি করি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ শুরু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমবার যখন সরকারে আসি, তখন দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আমরা পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ হাতে দেই। সেই সঙ্গে সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করে কার্যক্রম শুরু করে দিই। দারিদ্র্য নিরসন, বৈষম্য দূর করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা আমাদের লক্ষ্য ছিল এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়। পরবর্তীকালে যখন ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকারে আসি, তখন ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করি। যা এমডিজি এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। এরপর আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, আগামী দিনের জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, যেটা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি এর পরবর্তী ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা কীভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও ইতিমধ্যে শুরু করেছি এবং এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এসডিজি বাস্তবায়ন করবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

প্রতিটি পরিবারকে আমরা দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০১:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ উন্নয়ন মেলা ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করেছি। এবার লক্ষ্য দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। দেশের প্রতিটি পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিকেএসএফ আয়োজিত উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:  সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৯ বার পেছালো

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি পরিবারকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা ১৯৯৬ সালে এটার নাম দিয়েছিলাম ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প। এখন এর নাম পরিবর্তন করে তার নাম দিয়েছি ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’। অর্থাৎ যার বাড়ি, তার বাড়িতে যতটুকু জায়গা থাকুক, সে যে ধরনের কাজ করতে চায়, সে সুযোগটা করে দেওয়া। তাদেরকে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কারণ বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে না দিলে তারা আর এই কাজ অব্যাহত রাখবে না। সেভাবেই একেকটা পরিবারকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ১৯৯৬ সালে যখন সরকারে ছিলাম, তখন প্রথম এই চিন্তাটা আমার মাথায় আসে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় প্রচেষ্টা নিয়েছি, দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে কী কী কাজ করা যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ এই সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া।

তিনি আরও বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করি। আমরা সবসময় হিসাব করেছি, আমাদের মূল শত্রুটা হলো দারিদ্র্য। আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে, দারিদ্র্যের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কর্মপরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করি। যখন আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, তখনই আমরা এটা তৈরি করি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ শুরু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমবার যখন সরকারে আসি, তখন দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আমরা পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ হাতে দেই। সেই সঙ্গে সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করে কার্যক্রম শুরু করে দিই। দারিদ্র্য নিরসন, বৈষম্য দূর করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা আমাদের লক্ষ্য ছিল এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়। পরবর্তীকালে যখন ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকারে আসি, তখন ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করি। যা এমডিজি এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। এরপর আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, আগামী দিনের জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, যেটা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি এর পরবর্তী ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা কীভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও ইতিমধ্যে শুরু করেছি এবং এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এসডিজি বাস্তবায়ন করবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।