ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’। বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশি হচ্ছে বলে জানা গেছে। শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়েই পিকনিক করছে গ্রামের যুবকরা।
অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি) শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।’ সেখানে কয়েকটি জীবিত পাখি (ডাহুক) ও পাখির মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই এ পোস্টে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তারপরে সেটা প্রচারের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আরও বড় অপরাধ করা হয়েছে।
এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখিরা আসে আশ্রয় নিতে। কিছু এলাকায় এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে। নদী বেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন বেশি হয়ে থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ ফলে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি ফেরি করে বিক্রি করে থাকে।
বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এমএ বশার বলেন, অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে এই শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোনো ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিত বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করা।
এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন, শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে। আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারিদের অনুৎসাহিত করা।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’।

আপডেট টাইম ০৫:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’। বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশি হচ্ছে বলে জানা গেছে। শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়েই পিকনিক করছে গ্রামের যুবকরা।
অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি) শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।’ সেখানে কয়েকটি জীবিত পাখি (ডাহুক) ও পাখির মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই এ পোস্টে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তারপরে সেটা প্রচারের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আরও বড় অপরাধ করা হয়েছে।
এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখিরা আসে আশ্রয় নিতে। কিছু এলাকায় এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে। নদী বেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন বেশি হয়ে থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ ফলে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি ফেরি করে বিক্রি করে থাকে।
বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এমএ বশার বলেন, অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে এই শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোনো ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিত বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করা।
এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন, শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে। আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারিদের অনুৎসাহিত করা।###